এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > হেভিওয়েট বিরোধী নেতার দলে যোগদান আটকাতে পথে তৃণমূল কর্মীরা, পোস্টারে বিস্ফোরক অভিযোগ!

হেভিওয়েট বিরোধী নেতার দলে যোগদান আটকাতে পথে তৃণমূল কর্মীরা, পোস্টারে বিস্ফোরক অভিযোগ!

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – -2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে তৃতীয়বারের জন্য তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় বসার পরেই ভোটের আগে যারা বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন, তারা আবার তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরতে চেয়ে আবেদন করতে শুরু করেন। কিন্তু অনেক জেলাতেই সেই সমস্ত নেতা-নেত্রীদের যাতে না নেওয়া হয়, তার জন্য রাজ্য নেতৃত্বের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। বর্তমানে যত সময় যাচ্ছে, ততই দলবদল করতে চাওয়া নেতা-নেত্রীদের ইচ্ছা প্রকাশের তালিকা ক্রমশ দীর্ঘায়িত হচ্ছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে।

আর এই পরিস্থিতিতে উত্তর 24 পরগনার বসিরহাট পৌরসভার 7 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পারমিতা মজুমদার এবং উত্তর 24 পরগনা জেলা কংগ্রেসের সভাপতি অমিত মজুমদার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করতে পারেন বলে জল্পনা ছড়িয়ে পড়ল। কিন্তু অতীতের মত এই দম্পতির তৃণমূলে যোগদান যাতে আটকানো যায়, তার জন্য রীতিমতো পোস্টার দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলতে দেখা গেল শাসকদলের একাংশকে। অর্থাৎ কোনোমতেই যে কংগ্রেসের এই দুই নেতা নেত্রীকে তারা দলে গ্রহণ করবে না, তা জানিয়ে দিল স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।

স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান করার ইচ্ছা প্রকাশ বা সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই যেভাবে এই দুই কংগ্রেস নেতা-নেত্রী সম্পর্কে আপত্তি জানিয়ে পোস্টার দিতে দেখা গেল তৃণমূলের একাংশকে, তাতে একটা জিনিস পরিষ্কার যে, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই নিজেদের আপত্তি সেই ওপরতলায় পাঠিয়ে দিতে চাইল স্থানীয় তৃণমূলের নেতা কর্মীরা। 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে তৃতীয়বারের জন্য তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় বসার পরেই ভোটের আগে যারা বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন, তারা আবার তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরতে চেয়ে আবেদন করতে শুরু করেন। কিন্তু অনেক জেলাতেই সেই সমস্ত নেতা-নেত্রীদের যাতে না নেওয়া হয়, তার জন্য রাজ্য নেতৃত্বের কাছে আবেদন করা হয়েছিল।

বর্তমানে যত সময় যাচ্ছে, ততই দলবদল করতে চাওয়া নেতা-নেত্রীদের ইচ্ছা প্রকাশের তালিকা ক্রমশ দীর্ঘায়িত হচ্ছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে। আর এই পরিস্থিতিতে উত্তর 24 পরগনার বসিরহাট পৌরসভার 7 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পারমিতা মজুমদার এবং উত্তর 24 পরগনা জেলা কংগ্রেসের সভাপতি অমিত মজুমদার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করতে পারেন বলে জল্পনা ছড়িয়ে পড়ল। কিন্তু অতীতের মত এই দম্পতির তৃণমূলে যোগদান যাতে আটকানো যায়, তার জন্য রীতিমতো পোস্টার দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলতে দেখা গেল শাসকদলের একাংশকে।

অর্থাৎ কোনোমতেই যে কংগ্রেসের এই দুই নেতা নেত্রীকে তারা দলে গ্রহণ করবে না, তা জানিয়ে দিল স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান করার ইচ্ছা প্রকাশ বা সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই যেভাবে এই দুই কংগ্রেস নেতা-নেত্রী সম্পর্কে আপত্তি জানিয়ে পোস্টার দিতে দেখা গেল তৃণমূলের একাংশকে, তাতে একটা জিনিস পরিষ্কার যে, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই নিজেদের আপত্তি সেই ওপরতলায় পাঠিয়ে দিতে চাইল স্থানীয় তৃণমূলের নেতা কর্মীরা।

সূত্রের খবর, এদিন বসিরহাট মহকুমার বিভিন্ন জায়গায় একটি পোস্টার দেখা যায়। যেখানে লেখা রয়েছে, “বিজেপির দালাল এবং কংগ্রেস- সিপিএম হয়ে সিম্বল বিক্রি এই অমিত মজুমদারকে তৃণমূল কংগ্রেস দলে নিচ্ছে না, নেবে না।” পাশাপাশি অমিত মজুমদার এবং তার সহধর্মিণী পারমিতা মজুমদারের বিরুদ্ধেও ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয় সেই পোস্টারে। কিন্তু কেন এই রকম পোস্টার দেওয়া হল? এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা কৌশিক দত্ত এবং বঙ্কিম মুখোপাধ্যায় বলেন, “দুর্নীতির পাশাপাশি কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং গরীব মানুষের টাকা নয়ছয় করার অভিযোগ রয়েছে পারমিতা মজুমদার এবং অমিত মজুমদারের বিরুদ্ধে। এত কিছু করার পরেও তারা আবার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করতে চাইছেন। যা আমরা একেবারেই বরদাস্ত করব না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই অবস্থায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করার জন্য অনেক জায়গায় তারা আবেদন জানিয়েছেন। এই খবর পাওয়ার পর আমরা বৃহত্তর আন্দোলন করব। আর তার আগে যোগদান যাতে না হয়, তাই আমরা বসিরহাট শহরের একাধিক জায়গায় পোস্টার মারতে বাধ্য হলাম।” অর্থাৎ কংগ্রেসের এই দুই নেতা নেত্রীর তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের চেষ্টার খবর পেয়েই এখন রীতিমত ময়দানে নেমে পড়ল স্থানীয় তৃনমূলের কর্মী-সমর্থকরা। এক্ষেত্রে দলের ওপরতলায় বার্তা পাঠিয়ে যাতে তাদের আবেদনকে মান্যতা দেওয়া হয়, তার জন্যই রীতিমতো এই দুই নেতা নেত্রীর বিরুদ্ধে পোস্টার দিয়ে সরব হতে দেখা গেল ঘাসফুল শিবিরের একাংশকে। সেদিক থেকে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব স্থানীয় নেতা কর্মীদের মতকে মর্যাদা দেবে, নাকি দলে গ্রহণ করবে এই দুই কংগ্রেস নেতা-নেত্রীকে, তা অবশ্যই লক্ষণীয় বিষয় রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের কাছে।

যদিও বা তৃণমূলের একাংশ এই ব্যাপারে তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পোস্টার দিলেও, তা মানতে নারাজ উত্তর 24 পরগনা জেলা কংগ্রেসের সভাপতি অমিত মজুমদার। এদিন তিনি বলেন, “আমরা কোনো দুর্নীতি করিনি। কারণ আমরা শাসক দলের লোক নই। যার যেটা মনে হয়, তিনি বলতেই পারেন। তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে এখনও আমার এই ব্যাপারে কোনো রকম কথাবার্তা বা আলোচনা হয়নি।” অর্থাৎ তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বরা এই ব্যাপারে আপত্তি তুললেও, তৃণমূলে যোগদানের ব্যাপারে যে কোনো কথা হয়নি, তা জানিয়ে দিলেন এই হেভিওয়েট কংগ্রেস নেতা।

তবে একাংশ বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে তৃণমূলে যোগদান নিয়ে যদি কোনো কথা হয় এবং সেই কথা যদি প্রকাশ্যে বলে দেন অমিত মজুমদার, তাহলে তিনি আরও ব্যাকফুটে চলে যাবেন। তাই এখন সুকৌশলে গোটা বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি। তবে তৃণমূলের স্থানীয় নেতা কর্মীদের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে যে পোস্টার দেওয়া হল, তাতে তিনি যদি তৃণমূলে যোগ দেওয়ার চেষ্টাও করেন, তাহলে সেক্ষেত্রে স্থানীয় নেতা কর্মীদের মানভঞ্জন করা যে তার সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!