এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > হেভিওয়েট মন্ত্রীর সভার কারণে আটকে গেল করোনা ভ্যাকসিনের গাড়ি! জোর বিতর্ক রাজ্যে!

হেভিওয়েট মন্ত্রীর সভার কারণে আটকে গেল করোনা ভ্যাকসিনের গাড়ি! জোর বিতর্ক রাজ্যে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –গত মার্চ মাস থেকে গোটা দেশকে লড়াই করতে হচ্ছে করোনা ভাইরাসের সঙ্গে। কিন্তু নতুন বছর পড়ার সাথে সাথেই সেই ভাইরাসের ভ্যাকসিন বের হতে শুরু করেছে। স্বাভাবিক ভাবেই আশায় প্রহর গুনছেন দেশের মানুষ। ইতিমধ্যেই কলকাতায় সেই ভ্যাকসিনের গাড়ি এসে পৌঁছেছে। বুধবার সকালে বিশেষ কনভয় করে কোভিশিল্ড নামে সেই ভ্যাকসিন পূর্ব বর্ধমানে এসে পৌঁছয়। কিন্তু বাঁকুড়ার দিকে যখন সেই গাড়ি যেতে শুরু করেছিল, ঠিক তখনই সেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের নানা কৃষি আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভের কারণে সেই গাড়ি আটকে যায়। যে বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। স্বাভাবিকভাবেই একটি সভার কারণে যেভাবে মানুষের জীবনে নিশ্চিত করা এই করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের গাড়ি আটকে গেল, এখন তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কি এত বেশি জরুরি হয়ে পড়েছিল যে, মানুষের জীবন নিশ্চিত করা করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের গাড়ি আগে ছেড়ে দেওয়া সম্ভব হল না! এক্ষেত্রে তো পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে যে, নেতা-মন্ত্রীরা নিজেদের রাজনৈতিক শ্রীবৃদ্ধি করতে সবথেকে বেশি উদ্যত! করোনা হোক বা লকডাউন কোনো কিছুতেই তাদের চিন্তার কিছু নেই। তাই তো প্রায় 10 মাসের বেশি সময় ধরে করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে যখন একের পর এক মানুষ তাদের জীবন-জীবিকা হারাচ্ছেন এবং মৃত্যুমুখে পতিত হচ্ছেন, তখন ভ্যাকসিন বেরোনোর পরেও তার গাড়ি এভাবে আটকে দেওয়া হল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর যেভাবে সেই সভায় উপস্থিত থাকলেন রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, তাতে তার ভূমিকা নিয়েও এখন নানা মহলে প্রশ্ন তৈরি হতে শুরু করেছে। সত্যিই কি একজন জনপ্রতিনিধির এই ভূমিকা হওয়া উচিত! এভাবে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের আনা কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেও, যখন করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের গাড়ি সেখান দিয়ে যাচ্ছে, সেখানে তার সংস্থার সভার কারণে কেন সেই গাড়িতে আটকে যেতে হবে!

এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন, “কনভয়টি প্রায় 200 গাড়ির পেছনে ছিল। আমি নিজে গাড়িটিকে পার করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। ততক্ষনে পুলিশই গাড়িটি পার করিয়ে দেয়। ঠিকই আছে। 95 কোটি মানুষের রুটি-রুজির কাছে এই ভ্যাকসিনটি এত মূল্য রাখে না।” স্বভাবতই একজন মন্ত্রীর এই মন্তব্যে আবার নতুন করে বিতর্ক উস্কে উঠতে শুরু করেছে। সদ্য ভ্যাকসিন বের হয়েছে। কিন্তু নিজের সংস্থার সভার কারণে যেভাবে তাকেও খাটো করার চেষ্টা করলেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, তাতে মানুষ যে আজকাল রাজনৈতিক দলের নেতা থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিদের কাছে বড় অপ্রাসঙ্গিক, তা পরিস্কার হয়ে গেল।

এক্ষেত্রে ভোটের সময় তারা মানুষের কাছে আসলেও ভোটের পরবর্তী সময়কালে মানুষের জীবন মৃত্যু নিয়ে যে তাদের কোনো চিন্তা নেই, তা সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর এই মন্তব্যের পর আরও স্পষ্ট হল বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের। যাকে কেন্দ্র করে এখন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর এই মন্তব্যতে বিতর্কের ঝড় উঠতে শুরু করেছে গোটা রাজ্য জুড়ে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!