এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > হেভিওয়েট নেত্রীর সঙ্গে কি দূরত্ব মিটল অনুব্রতর? গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ঘিরে বাড়ছে জল্পনা!

হেভিওয়েট নেত্রীর সঙ্গে কি দূরত্ব মিটল অনুব্রতর? গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ঘিরে বাড়ছে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  বীরভূম জেলায় তৃণমূলের সংগঠনের শেষকথা অনুব্রত মণ্ডল। শুধু বীরভূম নয়, গোটা রাজ্যজুড়েই তিনি তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা হিসেবে পরিচিত। নির্বাচনের সময় প্রতিটি জেলা থেকেই প্রচারে যাতে অনুব্রতবাবুকে পাওয়া যায়, তার জন্য আবদার যেতে শুরু করে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত স্নেহধন্য বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। কিন্তু সেই অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গেও বিবাদ রয়েছে তার দলের নেত্রী তথা সাংসদ শতাব্দী রায়ের। প্রকাশ্যে এই ব্যাপারে কেউ কোনো কথা স্বীকার না করলেও, আচার আচরণের মধ্যে দিয়েই বারবার তা প্রকাশ পেতে দেখা গেছে।

তিক্ততা তৈরি হওয়া, দূরত্ব মিটে যাওয়া, আবার তিক্ততা তৈরি হওয়া, এমন ঠান্ডা লড়াই অনুব্রত মণ্ডল বনাম শতাব্দী রায়ের মধ্যে কার্যত সর্বজনবিদিত। অনেকদিন এই দুই নেতা-নেত্রীকে একসাথে এক মঞ্চে দেখা যায়নি। কিন্তু এবার সেই অনুব্রত মণ্ডল এবং শতাব্দী রায়কে দেখা গেল একসাথে। যা দেখে রীতিমত আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা। এমনিতেই অনুব্রত মণ্ডলের নেতৃত্বে বীরভূম জেলায় তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত হয়।

তবে অনুব্রতবাবুর সঙ্গে কোনোকালেই কারও খুব একটা বিবাদ রয়েছে, এই কথা শোনা যায় না। সেদিক থেকে শতাব্দী রায় সাংসদ হওয়ার পর থেকেই তার সঙ্গে নানা বিষয়ে বনিবনা হচ্ছিল বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির। মাঝেমধ্যেই তা প্রকাশ্যে চলে আসে। তাই শতাব্দী রায়ের সাথে অনুব্রত মণ্ডলের যাতে সখ্যতা তৈরি হয় এবং কোনোরকম বিবাদ না হয়, তার জন্য বহু চেষ্টা হয়েছে। তবে লাভ হয়নি। কিন্তু এবার অবশেষে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে এক সাথেই দেখা গেল শতাব্দী রায়কে।

সূত্রের খবর, এদিন বীরভূম জেলা তৃণমূলের কার্যালয়ে ভোটের ফলাফল পরবর্তী একটি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। যেখানে উপস্থিত ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। আর সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায় বীরভূমে তৃণমূল সাংসদ তথা বিশিষ্ট অভিনেত্রী শতাব্দী রায়কে। স্বাভাবিক ভাবেই বহুদিন পর অনুব্রত মণ্ডল এবং শতাব্দী রায়কে একসাথে দেখে অনেকেই হতবাক হয়ে যান। অনেকেই বলতে শুরু করেন, তাহলে কি ঠান্ডা লড়াই মিটে গেল? তৈরি হল সখ্যতা? যদিও বা অনুব্রতবাবু থেকে শুরু করে শতাব্দী রায়, প্রথম থেকেই তাদের দাবি, তাদের মধ্যে কোনো গন্ডগোল নেই।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু দুই নেতা-নেত্রী এই ব্যাপারে যে কথাই বলুন না কেন, অনেকেরই প্রশ্ন, তাহলে এতদিন কেন অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে এক মঞ্চে দেখা যায়নি শতাব্দী রায়কে? কেন বিভিন্ন জেলা কমিটির মিটিং হলেও সেখানে অনুপস্থিত ছিলেন হেভিওয়েট এই তৃণমূল সাংসদ? যদি তাদের মধ্যে সখ্যতা বজায় থাকবে, তাহলে অনুব্রত মণ্ডলের মত দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতার সঙ্গে কেন হাত মিলিয়ে চলতে দেখা গেল না তাকে?

এদিন এই প্রসঙ্গে দলীয় কার্যালয়ে বৈঠকে যোগ দেওয়া শতাব্দী রায় বলেন, “বিধানসভা নির্বাচনে যে আসনগুলোতে দলের ফলাফল খারাপ হয়েছে, সেখানকার সাংগঠনিক দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সম্পর্ক ভালো নয় বলে দলীয় সভায় আসা হয়নি, এমন নয়। হতে পারে, আমি অন্য কোনো কাজে ব্যস্ত ছিলাম। সেই কারণে আসতে পারিনি। আজ আমি সময় পেয়েছি বলে আসতে পেরেছি।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, সামনেই পৌরসভা নির্বাচন। অনুব্রত মণ্ডলের শক্ত ঘাঁটি হলেও, বীরভূম জেলাতে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ছয়টি পৌরসভার মধ্যে পাঁচটিতেই পিছিয়ে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেদিক থেকে বিধানসভা কেন্দ্রের 11 টি আসনের মধ্যে 10 টি তৃণমূল দখল করলেও, পৌরসভা নির্বাচন যে তাদের কাছে খুব একটা স্বস্তিদায়ক হবে না, তা বুঝতে পেরেছেন জেলা নেতৃত্ব। আর সেই কারণেই কিছুটা দূরত্ব তৈরি হওয়া শতাব্দী রায়ের সঙ্গে এক বৈঠকে থাকতে দেখা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্নেহধন্য কেষ্ট মণ্ডলকে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!