এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > হাইকোর্টের নির্দেশে চাপের মুখে এবার রাজ্য সরকার, কোন তথ্য সামনে আসবে এবার? চিন্তিত সরকার

হাইকোর্টের নির্দেশে চাপের মুখে এবার রাজ্য সরকার, কোন তথ্য সামনে আসবে এবার? চিন্তিত সরকার


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই সরব কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। পাশাপাশি রাজ্যপালকেও দেখা গিয়েছিল, ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে তিনি রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তার ওপর হাইকোর্টেও তৃণমূল সরকারকে খেতে হয়েছে ধাক্কা। গতকাল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে তদন্তের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করে সরকারকে আরেকবার সুযোগ দেবার আবেদন করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। কিন্তু রাজ্য সরকারের সেই আবেদন খারিজ করে দিয়ে নিজেদের সিদ্ধান্ত বহাল রাখে হাইকোর্ট এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ওপর দায়িত্ব দেওয়া হয়।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে এবার একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন রাজিব জৈন। পাশাপাশি জানা গিয়েছে, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গের ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস খতিয়ে দেখার জন্য জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। একই সাথে জানা গেছে, এই কমিটিতে রয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য রাজিব জৈন। পাশাপাশি জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনের ভাইস চেয়ারপারসন আতিফ রশিদ, জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য রাজুলবেন এল দেশাই, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ডিরেক্টর জেনারেল সন্তোষ মেহেরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এছাড়াও আছেন, রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের রেজিস্ট্রার প্রদীপ কুমার পাঁজা, পশ্চিমবঙ্গ লিগাল সার্ভিস অথরিটির সম্পাদক রাজু মুখার্জি, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ডিআইজি (তদন্ত) মঞ্জিল সাইনি। ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে, যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে সেখানে বলা হচ্ছে, নির্বাচন পরবর্তী হিংসা নিয়ে এখনো পর্যন্ত যে কটি অভিযোগ জমা পড়েছে, সেই প্রত্যেকটি খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি কমিটির সদস্যরা হিংসা কবলিত এলাকাগুলি যাবেন এবং সরেজমিনে তদন্ত করবেন। সবশেষে কমিটি হিংসার জন্য দায়ী লোকজনকে চিহ্নিত করবেন।

এবং যেসব সরকারি অফিসার এই রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে নিষ্ক্রিয় অবস্থা গ্রহণ করেছিলেন তাদেরকে চিহ্নিত করে রিপোর্ট হাইকোর্টের হাতে তুলে দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, হাইকোর্টের তরফ থেকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে এই পুরো প্রক্রিয়া আগামী 30 শে জুনের মধ্যে সম্পন্ন করে রিপোর্ট  দেওয়ার কথা বলেছে। খুব স্বাভাবিকভাবে কমিশনের এই সিদ্ধান্তে কার্যত তৃণমূল সরকার চাপের মুখে পড়তে চলেছে বলে দাবি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। অন্যদিকে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে রাজনৈতিক হিংসা বন্ধ করতে তাঁরা পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নিয়েছে, অনেককেই ঘরে ফেরানো হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের হস্তক্ষেপ রাজ্য সরকারকে যে আরও বিপাকে ফেলবে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!