ভারত-পাক যুদ্দ কি আসন্ন, নিয়ন্ত্রণরেখায় ক্রমশ বোমাবর্ষণ পাক সেনার, জরুরি বৈঠকে মোদী জাতীয় March 4, 2019 ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে মুক্তি দিয়ে পাক সরকার শান্তির বার্তা দিলেও পাক-ভারত সরকারের মধ্যে জটিলতা কিছুতেই কমছে না। এখনো নিয়ন্ত্রণরেখায় ক্রমশ বোমাবর্ষণ করে চলেছে পাকিস্তান। এ ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ কী নেওয়া উচিৎ এবং কীভাবে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরো সুদৃঢ় করা যায় সে ব্যাপারে আলোচনা করতে গতকালই জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৈঠকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ, অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ওই বৈঠকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, মুখ্য বিদেশ সচিব বিজয় গোখলে হাজির ছিলেন। প্রশাসনিক সূত্রের খবর,গতকালের বৈঠকে নিয়ন্ত্রণরেখায় পাক সেনাদের কীভাবে দমন করা যায়,কীভাবে পাকিস্তানকে বাগে আনা যায় এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা হয়৷ চাপে পড়ে হয়তো অভিনন্দনকে মুক্তি দিয়েছে পাকসরকার,তবে এই ছায়াযুদ্ধ থামবে না বলেই ইঙ্গিত দিয়েছে তাঁরা। ফলত পাক অধিকৃত কাশ্মীর উপত্যকায় কীভাবে জঙ্গী দমন করতে সক্ষম হবে ভারত তা নিয়ে বিস্তারে আলোচনা হয়েছল। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - পাশাপাশি পাঞ্জাব,রাজস্থান এবং কাশ্মী সীমান্তে সেনারা কতোটা যুদ্ধের জন্যে প্রস্তুত রয়েছে সেটাও খতিয়ে দেখা হয়। এছাড়া কীভাবে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পাকিস্তানকে কোনঠাসা করা যায় সে ব্যাপারেও একাধিক পদক্ষেপের কথা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। তবে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে আসলে কী আলোচনা হয়েছে সে ব্যাপারে প্রশাসনের কর্তারা কেউই কিছু বলতে চায়নি। তবে জানা গিয়েছে,ভারতের বিরুদ্ধে এফ-১৬ ব্যবহার করা নিয়ে পাকিস্তানের কাছে আমেরিকার বিরুদ্ধে নালিশ জানাতে পারে ভারত। এরমধ্যেই এদিন ভোরে ফের আখনুর সেক্টরে সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে ভারতীয় সেনাদের একাধিক আস্তানা লক্ষ্য করে মর্টার শেল ছোঁড়ে পাক সেনা। তবে প্রত্যাঘাত করতে পিছপা হয়নি ভারতও। সবমিলিয়ে আপাতত যুদ্ধ-যুদ্ধভাবটা কাটলেও যেকোনো মুহূর্তে পরিস্থিতি প্রতিকূল হতে পারে বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা। এই প্রেক্ষিতে দেশের নিরাপত্তার খাতিরে প্রধানমন্ত্রীর জরুরি বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। আপনার মতামত জানান -