খড়্গপুরে কি বড় ভাঙনের আশঙ্কা? সব কাউন্সিলারদের নিয়ে হঠাৎ বৈঠকে জল্পনা চরমে বিশেষ খবর রাজ্য January 14, 2018 কিছুদিন আগেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা খড়্গপুরের স্থানীয় বিধায়ক দিলীপ ঘোষ এক প্রকাশ্য জনসভায় দাঁড়িয়ে মন্তব্য করেন, ভারতী ঘোষ চলে যাওয়ায় ভয় কেটে গিয়েছে। যাঁদের পুলিসের ভয় দেখিয়ে তৃণমূলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁরা ফিরে আসবেন, অনেকের সঙ্গে কথাও হয়েছে। দিলীপবাবুর এহেন বক্তব্যের পরেই নড়েচড়ে বসেছিল সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক মহল। তাহলে কি এবার বড়সড় ভাঙন হতে চলেছে খড়্গপুর পুরসভায়? আর সেই জল্পনা এবার গতি পেল নজিরবিহীনভাবে সমস্ত কাউন্সিলরকে একযোগে ডেকে তৃণমূল নেতৃত্ত্ব ৰাইজক করায়। স্থানীয় মহলে কেউই মনে করতে পারছেন না, শেষ কবে এইভাবে সমস্ত কাউন্সিলরকে নিয়ে বৈঠক হয়েছে আপৎকালীন ভিত্তিতে। যদিও তৃণমূল নেতৃত্ত্বের তরফে ভাঙনের কথা ‘জল্পনা’ বলেই উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শাসকদলের এক কাউন্সিলরের কথায়, আগে থেকে কিছু নির্দিষ্ট ছিল না, আপৎকালীন ভিত্তিতে এই বৈঠক ডাকা হয় এবং সমস্ত কাজ ফেলে এই বৈঠকে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কেননা রাজ্যনেতৃত্ত্বের নির্দেশে এই বৈঠক হয়েছে বলে জানানো হয়েছিল। বৈঠকে উন্নয়ন ছাড়াও কাউন্সিলাররা অন্য কোনও দলে চলে যাচ্ছেন কিনা জানতেও চাওয়া হয়। যদিও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অজিত মাইতি জানিয়েছেন, বিজেপি নানারকম অপপ্রচার করছে। কিন্তু এদিন বৈঠকে ২৬ জন কাউন্সিলারই উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন বলেছেন। মূলত শহরের উন্নয়ন নিয়ে বৈঠক হয়। কাউন্সিলারদের নিজ নিজ ওয়ার্ডের পরিকল্পনা তৈরি করে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা তা রাজ্য সরকারের কাছে পাঠাব। রাজ্য সরকার টাকা দেবে বলেছে। বিধায়ক কোনও কাজ করছেন না। তিনি আমাদের দল সম্পর্কে নানা রকম মিথ্যা প্রচার করছেন। আমরা তাই এদিন কাউন্সিলারদের নিয়ে বৈঠক করি। উন্নয়নের পাশাপাশি সংগঠন নিয়েও আলোচনা হয়েছে। সেখানে কাউন্সিলাররা খোলা মনে তাঁদের বক্তব্য জানিয়েছেন। আসলে ভারতী ঘোষ চলে যাওয়ার পর নানারকম প্রচার হচ্ছে তো। তাই সকলে যে এক হয়ে আছেন, কোনও বিভেদ নেই ওই কাউন্সিলার সেটা বোঝাতে চেয়েছেন। কিন্তু অজিতবাবুর এহেন রাজনৈতিক ব্যাখ্যার পরেও গুঞ্জন থামছেই না, প্রথমত ভারতীদেবীর অপসারণ আর তারপরেই দিলীপ ঘোষের আসরে নামা। সর্বোপরি, হঠাৎ করে কাউন্সিলরদের ‘একতা’ দেখানোর প্রচেষ্টা, সবমিলিয়ে ‘খড়্গপুর সরগরম’ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আপনার মতামত জানান -