এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পুলিশ ও প্রশাসন দিয়ে বিজেপির দুই পঞ্চায়েত তৃণমূল ছিনিয়ে নিল অভিযোগে তুলকালাম উত্তরবঙ্গ!

পুলিশ ও প্রশাসন দিয়ে বিজেপির দুই পঞ্চায়েত তৃণমূল ছিনিয়ে নিল অভিযোগে তুলকালাম উত্তরবঙ্গ!

 

সদ্যসমাপ্ত লোকসভার পর থেকেই বাংলায় দলবদলের খেলা চলতে শুরু করেছিল। বিশেষত উত্তরবঙ্গে বিজেপি ভালো ফল করায় তৃণমূল নেতৃত্বাধীন পঞ্চায়েত থেকে পৌরসভার অনেক সদস্যরা পদ্মের পতাকা গলায় পড়ে নিতে শুরু করেন। যার ফলে এক প্রকার বিনা পরিশ্রমেই অনেক জায়গায় অনেক পঞ্চায়েত দখল করে নেয় ভারতীয় জনতা পার্টি। তবে রাজনীতিতে সব সময় এক পরিস্থিতি থাকে না।

আজ কারো ভালো গেলে, কাল তার খারাপ আসবে না, এমনটা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারবে না। আর তাইতো ধীরে ধীরে বিজেপির মুখে হাসি ফুটিয়ে তৃণমূলের যে সমস্ত সদস্যরা বিজেপিতে গিয়েছিল, এবার তাদের ভোল বদলে যাওয়াতে সেই সমস্ত পঞ্চায়েতই আসতে শুরু করল তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে।

প্রসঙ্গত, বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর কোচবিহারের মহিশকুচি 1 এবং বারোকোদালি 2 গ্রাম পঞ্চায়েতটি তৃণমূল দখল করেছিল। কিন্তু লোকসভায় কোচবিহার কেন্দ্রটি বিজেপি দখল করার পরেই এখানকার অবস্থার পরিবর্তন হতে শুরু করে। দুই পঞ্চায়েতের মধ্যে 10 জন এবং 13 জন সদস্য বিজেপিতে যোগ দেন। তবে এবার তাদের মধ্যে অনেক সদস্য ফের তৃণমূলের ফিরে আসায় এবার এই দুই পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করল শাসক দল। আর এই বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করেই এদিন উত্তপ্ত হয়ে উঠল পরিস্থিতি।

জানা যায়, মহিষকুচি 1 এর 9 জন এবং বারোকোদালি 2 পঞ্চায়েতের 10 জনকে নিয়ে এদিন বোর্ড গঠন করে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে তাদের সদস্যরা বিডিও অফিসে ঢুকতেই বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা তাদের কর্মী-সমর্থকদের উপর ঢিল ছুড়তে থাকে বলে অভিযোগ করে শাসক দল। দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন ঘটনায় ব্যাপক জখম হন। খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে তুফানগঞ্জ মহকুমার 7 সাংবাদিকও দুষ্কৃতীদের মারে আহত হন বলে জানা গেছে।

ইতিমধ্যেই সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন কোচবিহার জেলা প্রেসক্লাবের কার্যকরী সভাপতি গৌরহরি দাস। তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাদের উপর আঘাত এসেছে বলে অভিযোগ করা হলেও বিজেপির পাল্টা দাবি, তাদের পাঁচ জন কর্মী তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

জানা যায়, এদিন মহিষকুচি 1 গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হয়েছেন সুমন বর্মন এবং বারোকোদালিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হয়েছেন মীনাক্ষী সরকার এবং উপপ্রধান হয়েছেন সঞ্জীব অধিকারী। তবে দুই জায়গাতেই তৃণমূল বোর্ড গঠন করায় এদিন তাদের কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। পাল্টা সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে তুফানগঞ্জ বিধানসভার তৃণমূলের পর্যবেক্ষক মানিক দে বলেন, “আমরা দুই পঞ্চায়েতেই বোর্ড গঠন করেছি। আমাদের সদস্যরা বিডিও অফিসের সামনে গেলে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ঢিল ছুড়তে শুরু করে। এতে আমাদের 10-12 জন কর্মী আহত হয়েছেন। লোকসভা নির্বাচনের পর বিজেপি ওই দুইজন পঞ্চায়েতের প্রধান ও এক উপপ্রধানকে জোর করে পদত্যাগ করিয়েছিল। সেজন্য ওখানে নির্বাচন প্রয়োজন হয়ে পড়ে।”

এদিকে এই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেছে গেরুয়া শিবির। এদিন এই প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলা বিজেপির সভানেত্রী মালতী রাভা রায় বলেন, “তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যো আটকে রেখেছিল। এদিন পুলিশ প্রশাসন ও বহিরাগতদের কাজে লাগিয়ে সেখানে তারা বোর্ড গঠন করেছে। পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের কর্মীদের উপর ঢিল ছুড়েছে। আমাদের 5 জন কর্মী হাসপাতালে ভর্তি আছেন।”

সব মিলিয়ে বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে সব সময় পালাবদল এবং তাকে কেন্দ্র করে যে রণক্ষেত্র হয়ে উঠছে কোচবিহার তথা গোটা উত্তরবঙ্গ, তাতে রীতিমত আশঙ্কায় রয়েছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!