এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > সর্বনাশ! কোভিড ক্ষতি করছে মস্তিস্ক থেকে স্নায়ুর! কি দীর্ঘমেয়াদি অসুখে ডুবতে চলেছে সমাজ?

সর্বনাশ! কোভিড ক্ষতি করছে মস্তিস্ক থেকে স্নায়ুর! কি দীর্ঘমেয়াদি অসুখে ডুবতে চলেছে সমাজ?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- আজ, ১০ই অক্টোবর ‘ওয়ার্ল্ড মেন্টাল হেলথ ডে’। তবে প্রতি বছরের মত এ বছরের থিম হল ‘মেন্টাল হেলথ ফর অল, গ্রেটার ইনভেস্টমেন্ট-গ্রেটার অ্যাকসেস’ অর্থাৎ সকলের জন্য মানসিক সুস্বাস্থ্য, বেশি বরাদ্দ – বৃহত্তর পরিষেবা। কিন্তু মানসিক স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ কি সকলের কাছে চিকিৎসা পৌঁছবে? সেই নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। তবে অনেক মনোরোগ চিকিৎসকদের মতে কোভিড পরিস্থিতিতে কিন্তু এই প্রশ্ন আরও বেশি করে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে। বর্তমানে সারা বিশ্বের করোনা সংক্রমণে আতঙ্ক, পারিবারিক অশান্তি, সামাজিক বিচ্ছিন্নতা প্রভৃতি নানা কারণে একাকিত্ব, কর্মহীনতা, আর্থিক অনিশ্চয়তার মত অনেক সমস্যা তৈরি হতে শুরু করেছে। তাই এই সমস্যা আরও বাড়ার আগে আমাদের সচেতন হওয়া প্রয়োজন বলেই মনে করা হচ্ছে।

সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে মস্তিষ্কের কোষ ও স্নায়ুতন্ত্রে কোভিড ১৯ ভাইরাস প্রভাব ফেলছে। মনবিসেশজ্ঞের মতে যেকোনো বয়স নির্বিশেষে ডেলিরিয়ামের (ভ্রান্ত ধারণা, আতঙ্ক, ভুল বকা) মতো মানসিক প্রভাব দেখা দিচ্ছে‌। যদিও এখনও পর্যন্ত তা সেরে যাচ্ছে। তবে এর দীর্ঘমেয়াদি ফল কেমন হতে পারে সে বিষয়ে এখনও পরিষ্কার করে জানা যায়নি। সেই সঙ্গে স্মৃতিশক্তি বা আরও বড় মানসিক ক্ষেত্রে কোভিডের প্রভাব পড়ছে কি না, তাও এখনও জানা যায়নি। তবে এর প্রভাব জানতে ফলো আপ চিকিৎসায় নির্দিষ্ট প্রশ্ন করার ব্যাপারে নির্দেশিকা তৈরির প্রস্তুতি চলছে বলেও জানা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বস্তুত, মনবিজ্ঞানিদের মতে মেন্টাল ডিসঅর্ডারকে তিন ভাবে ভাগ করা যায়। সেগুলি যথাক্রমে, কমন মেন্টাল ডিজ়অর্ডার, সিভিয়র মেন্টাল ডিজ়অর্ডার এবং নেশাগ্রস্ত হওয়ার ফলে মানসিক অসুস্থতা। বিশেষজ্ঞদের মতে এক্ষেত্রে কমন মেন্টাল ডিজ়অর্ডারে প্রায় ১৪ কোটি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এবং সিভিয়র মেন্টাল ডিজ়অর্ডারে প্রায় ১ কোটি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। শুধু তাই নয়, সমীক্ষায় জানা গেছে, গাঁজায় আসক্ত মানুষের সংখ্যাই ভারতে প্রায় ২৫ লক্ষ, যা যথেষ্ট চিন্তার বিষয়। ডাক্তারদের মতে এদের মধ্যেই একটা বড় অংশের পরবর্তীকালে স্কিৎজ়োফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

সমীক্ষায় দেখা গেছে, ভারতে মানসিক রোগের শিকার হন প্রায় ১৫ কোটি মানুষ। প্রতি ঘণ্টায় আত্মঘাতী হন ১৬ জন। সেই সঙ্গে বর্তমান কোভিড অতিমারির আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, রোগের তালিকায় উঠে এসেছে মানসিক অবসাদের নাম। আর এই পরিস্থিতিতে অতিমারি পরবর্তী সময়ে মানসিক স্বাস্থ্যের অবস্থা আরো ভয়াবহ হতে চলেছে বলেই অনুমান করা হচ্ছে। অন্যদিকে, চিকিৎসকদের মতে, ভারতে মানসিক রোগীর ৮৫ শতাংশই এখনও চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত। তাই তাদের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দিতে চিকিৎসার পরিকাঠামো আরও মজবুত করতে হবে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা।

তবে এক্ষেত্রে স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে যে তাহলে কি করণীয়? বলা হয়, সচেতনতা তৈরি করাটাই আসল। বস্তুত, মানুষের মধ্যে মানসিক রোগ যে অন্য যেকোনো রোগের মতই সেই ধারণাটাই কম। ফলে ডাক্তার দেখাতে আসেন না অনেকেই। তাই এদের এবং অন্য মনোরোগীদের পর্যাপ্ত চিকিৎসা দেওয়া, পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা, সচেতনতার প্রচারের মাধ্যমে রোগীর প্রতি পরিজন ও আশপাশের অসহযোগিতা রোখার বিষয়ে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করা প্রয়োজন বলেই মনে করা হয়। আর এটা রাষ্ট্রেরই দায়িত্ব বলে মনে করা হয়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!