এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > জগদ্ধাত্রী পুজো ও শুভেন্দু অধিকারী – জোড়া ম্যাজিকে নদীয়ার গড় অটুট রাখতে মরিয়া শাসক দল

জগদ্ধাত্রী পুজো ও শুভেন্দু অধিকারী – জোড়া ম্যাজিকে নদীয়ার গড় অটুট রাখতে মরিয়া শাসক দল


এবার আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে ঘিরে নদিয়ায় নিজেদের ভোটব্যাংকে শক্ত করতে এক ঢিলে দুই পাখি মারার চেষ্টা করছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই নদিয়ার কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজো বেশ জমজমাট। এবারে সেই জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধন করতে নদিয়ায় আসছেন জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। তবে শুভেন্দু বাবুর এই সফরকে অন্য চোখে দেখতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহল।

একাংশের ধারনা, এই নদীয়া জেলায় বিগত পঞ্চায়েত ভোটে খুব একটা ভালো ফল করেনি শাসক দল। তাই একদা কংগ্রেস গড় হিসেবে পরিচিত মালদা, মুর্শিদাবাদকে যেমন এই শুভেন্দু অধিকারী নিজেদের দখলে এনে ঘাসফুল ফুটিয়েছেন, ঠিক তেমনি সেই শুভেন্দুকে দিয়েই এই নদিয়ায় ঘাসফুলের গড় পুনরুদ্ধারে উদ্যোগী হচ্ছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তাই পুজো উদ্বোধন লক্ষ্য হলেও আসলে মূল লক্ষ্য যে আসন্ন লোকসভা ভোটের আগে জনসংযোগ তা বুঝতে বাকি নেই কারোরই।

সূত্রের খবর, দলের তরফে এই কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র দেখভালের দায়িত্বে থাকা শুভেন্দু অধিকারী এই প্রথম জেলা সফরে আসছেন। আর রাজ্যের এই হেভিওয়েট মন্ত্রীর সফর ঘিরেই বর্তমানে সাজো সাজো রব জেলা তৃণমূলের অন্দরে।

জানা গেছে, লোকসভা ভোটের আগে আগামী 12 ই ডিসেম্বর শেষ হচ্ছে কৃষ্ণনগর পুরসভার মেয়াদ। ফলে লোকসভার আগে যদি সেই পুরভোট হয় তাহলে সেখানেও নিজেদের আধিপত্য কায়েম করতে এখন থেকেই সাংগঠনিক নজর দিতে হবে ঘাসফুল শিবিরকে।

aqআর তাই জগদ্ধাত্রী পুজোকে এখন এই কৃষ্ননগর পুরসভার শাসক দলের একাধিক কাউন্সিলার ইতিমধ্যেই জড়িত হয়ে পড়েছেন। যেমন শক্তিনগর পাঁচ মাথার মোড়ে পুরপ্রধান অসীম সাহা, হাতারপাড়া বারোয়ারীর দিলীপ বিশ্বাস, গোলাপট্টিতে জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত।

আবার অন্যদিকে ঘূর্ণি বারোয়ারি স্থানীয় কাউন্সিলর গৌতম রায় কৃষ্ণনগরে চাষাপাড়ার টানা দীর্ঘদিনের কাউন্সিলর স্বামী গৌতম ঘোষ- এদের পুজো ঘিরে এখন জমজমাট এই চন্দননগর। তাহলে কি এই জগদ্ধাত্রী পুজোর মধ্যে দিয়েই এখন থেকে জনসংযোগেই ঝাপাচ্ছে শাসকদল?

এদিন এ প্রসঙ্গে গৌতম ঘোষ, গৌরীশঙ্কর দত্তের ছেলে স্থানীয় কাউন্সিলর অয়ন দত্ত এবং পুরপ্রধান অসীম সাহা বলেন, “জনসংযোগের এটা একটা বড় সুযোগ। আমরা সারা বছর যেমন মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলি ঠিক তেমনি এই সময়ও পুজোকে ঘিরে জনসংযোগের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।”

তবে সারা রাজ্য জুড়ে হিন্দুত্বের জিগির তুললেও এই নদীয়া জেলাতে তৃণমূলের সাথে এই জগদ্ধাত্রী পুজোর কম্পিটিশনে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে গেরুয়া শিবির। তবে তেমনভাবে ঠিক কোন পুজো না করলেও কোতোয়ালি থানার সামনে পুজোর সময় একটি বইয়ের স্টল খুলছে বিজেপি।

এদিন এই প্রসঙ্গে নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি মহাদেব সরকার বলেন, “আমরা সারা বছর মানুষের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক রেখে চলি। তাই জনসংযোগের জন্য আলাদা করে উৎসবের কোনো প্রয়োজন হয় না।”

এ ব্যাপারে পাল্টা গেরুয়া শিবির উদ্দেশ্যে খোঁচাও দিয়েছে শাসক দল এদিন এই প্রসঙ্গে নদীয়া জেলা তৃণমূলের সভাপতি বলেন, “কারা সারা বছর মানুষের সঙ্গে থাকে তা সকলেই জানেন। উৎসবের সময় জনসংযোগ হবে এটাই তো স্বাভাবিক।”

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

তবে শাসক-বিরোধী তরজা যে পর্যায়েই পৌঁছক না কেন, জগদ্ধাত্রী পুজোকে ঘিরে এখন রাজ্যের এই হেভিওয়েট মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে এনে নদিয়ায় লোকসভার আগে নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক পুনরুদ্ধারে উদ্যোগী হল ঘাসফুল শিবির বলে মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!