এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের হাতে, সব জেলায় প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ ভাঙার পরিকল্পনা

নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের হাতে, সব জেলায় প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ ভাঙার পরিকল্পনা

অবশেষে কি রাজ্যের সমস্ত জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের বোর্ড ভাঙতে চলেছে রাজ্য সরকার? এবার এরকমই এক প্রশ্ন এবং জল্পনা নিয়ে সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্যের শিক্ষামহল। কিন্তু হঠাৎ এহেন প্রশ্নের উৎপত্তি কেন?

সূত্রের খবর, গত সোমবার তৃণমূল ভবনে দলীয় প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের বৈঠকে প্রায় সিংহভাগ শিক্ষকই জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। আর এরপরই নাকি শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাস দেন যে, সেই সব সংসদ আর রাখাই হবে না।

যদিও বা এই প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আইন মেনে যে সব সংসদ তৈরি হয়েছে সেগুলো চাইলেই ভেঙে দেওয়া যায় না। রিপোর্ট পেয়ে দেখব, আর তারপরই ঠিক করব যে ঠিক কি করা যায়!” তবে শিক্ষা মন্ত্রী এ কথা বললেও ইতিমধ্যেই স্কুল শিক্ষা দপ্তরে নাকি এই সংসদ বিলুপ্তির আইনি দিক নিয়ে এক দফা আলোচনাও হয়ে গিয়েছে। তবে এই সংসদ ভাঙতে গেলে যে আইন সংশোধন করতে হবে তা মানছেন স্কুল শিক্ষা দপ্তরের কর্তারাও।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 1973 সালে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা আইন সব জেলায় একটি করে প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড করার বিধান দেয়। আর এরপরই গত 1989 থেকে 90 সালে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ তৈরি হয়। যার চেয়ারম্যান মনোনীত করেন সরকার। এদিকে প্রথম পর্যায়ে এই সংসদের হাতে সমস্ত দায়িত্ব থাকলেও 2012 সালে বেশিরভাগ দায়িত্বই চলে যায় পর্ষদের হাতে।

তবে জেলায় জেলায় সংসদ শুধু নিয়োগপত্র দেওয়ার ব্যাপারটি দেখভাল করলেও কলকাতার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র এই সংসদকে মিড ডে মিল ও সর্বশিক্ষার পুরো বিষয়টি দেখতে হয়। আর এইখানেই একাংশ শিক্ষকের অভিযোগ যে রাজনৈতিক নেতাদের দাপটে কার্যত জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ গুলো এখন সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। তাহলে কি সত্যি সত্যি এই প্রাথমিক সংসদ বিলুপ্ত করা হবে?

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এদিন এই প্রশ্নের উত্তর সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যান তৃণমূলের অশোক রুদ্রও। সব মিলিয়ে এখন রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ন্ত্রণ থেকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ গুলিকে বের করতে শিক্ষকদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ঠিক কী সিদ্ধান্ত নেয় সে দিকেই তাকিয়ে বিশেষজ্ঞ মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!