এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রবীন্দ্র সরোবরে দূষণ রাখার বদলে প্রশাসন এগিয়ে দিচ্ছে মই, গাছে গাছে হ্যালোজেন!

রবীন্দ্র সরোবরে দূষণ রাখার বদলে প্রশাসন এগিয়ে দিচ্ছে মই, গাছে গাছে হ্যালোজেন!

কথায় আছে, আইনের রক্ষার দায়িত্ব যাদের হাতে তারাই নাকি আইন ভাঙেন! বাস্তবে এই কথাটি শুনতে অনেকের তেতো মনে হলেও এবার ছট পুজো উপলক্ষে আদালতের নির্দেশকে উপেক্ষা করে উল্টে পরিবেশ দূষণ হওয়ারই সুযোগ করে দিচ্ছেন প্রশাসনের বিভিন্ন ব্যক্তিরা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কলকাতার রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো করার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করার ব্যাপারে পরিবেশ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন পরিবেশ কর্মী সুভাষ দত্ত। সেইমতো এই রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজোর ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। কিন্তু দূষণ রুখতে যারা অগ্রণী ভূমিকা নেবেন সেই প্রশাসনের লোকজনই এবার পুণ্যার্থীদের জলে নামতে কার্যত মই বাড়িয়ে দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।

অভিযোগ, ছট পুজো উপলক্ষে এই রবীন্দ্র সরোবরে এদিন জলে নামার জন্য পুণ্যার্থীদের মইয়ের ব্যবস্থা করে দেওয়ার পাশাপাশি গাছে গাছে হ্যালোজেনও লাগানোর ব্যবস্থা করে প্রশাসন। এদিকে আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কেন প্রশাসন এইভাবে রবীন্দ্র সরোবরের দূষণ রোধে এগিয়ে না এসে উল্টে পুণ্যার্থীদেরই নদীতে নামাতে সাহায্য করলেন!

এদিন এই প্রসঙ্গে পরিবেশ কর্মী নব দত্ত বলেন, “আদালতের নির্দেশ অমান্য করা উচিত নয়। সরোবরে যে কোনোও অনুষ্ঠানেই নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এতে জলাশয়ের দূষণের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে।” এদিকে প্রশাসনের কিছু ব্যক্তি যেভাবে পুণ্যার্থীদের জলে নামাতে এদিন সাহায্য করেছেন তার পুরো ভিডিও ও ছবি তুলে রাখার পাশাপাশি এই ঘটনা নিয়ে ফের আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পরিবেশ কর্মী সুভাষ দত্ত।

কিন্তু আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও এইভাবে কিছু ব্যক্তি সেই রবীন্দ্র সরোবরে কেন ছট পুজো করলেন? এদিন এই প্রসঙ্গে কলকাতা পুলিশের যুগ্ম নগরপাল (সদর) সুপ্রতিম সরকার বলেন, “আদালতের নির্দেশ যে অমান্য করবে, তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

তবে প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিরা যাই বলুন না কেন, নদী দূষণ আটকাতে যে প্রশাসনকে দায়িত্ব দিয়েছিল আদালত, সেই প্রশাসনেরই লোকজন কার্যত ঠুটো জগন্নাথ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকায় ফের যে এই রবীন্দ্র সরোবরের দূষণ নিয়ে কোনো বড়সড় কান্ড ঘটতে চলেছে তা নিঃসন্দেহে বলাই যায়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!