প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। তারপরেই পূজামণ্ডপ গুলোতে শোনা যাবে, পুরোহিতদের স্তোত্রপাঠ। কিছুদিন আগেই সেই পুরোহিতদের সরকারি ভাতা দেওয়ার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে যেখানে উৎসবে সকলে আনন্দে মাতবেন নতুন জামাকাপড় কিনবেন সেখানে পুরোহিতরা পূজাকে ব্যস্ত থাকবেন তাই তাদের মুখেই সময় হাসি ফোটাতে পুজোর আগেই যাতে পুরোহিতদের কাছে তাদের ভাতা পৌঁছে যায় তার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করল রাজ্য সরকার।

সূত্রের খবর, প্রতি জেলার হাজার হাজার পুরোহিতরা যাতে সময় মত টাকা পেয়ে যান, তার জন্য শনিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রতিটি জেলার জেলাশাসককে নির্দেশ দেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে প্রতিমাসে পুরোহিতদের হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়ার পাশাপাশি যে সমস্ত দরিদ্র পুরোহিতদের বাড়ি নেই, তাদের এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা করে বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। আর পুজোর আগে পুরোহিতদের জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ গ্রহণ করায় এখন রীতিমত খুশি সেই পূজারীরা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তৃণমূল কংগ্রেসের সরকারের পক্ষ থেকে সংখ্যালঘুদের ইমামদের জন্য ভাতা দেওয়া হলেও, কেন ব্রাহ্মণ পুরোহিতদের জন্য ভাতার ব্যবস্থা করা হচ্ছে না, তা নিয়ে বিরোধীদের পক্ষ থেকে নানা প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। যার জেরে চাপে পড়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু সাম্প্রতিককালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুরোহিতদের মাসিক ভাতার কথা ঘোষণা করেন। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘোষণা করলেও, কবে সেই ভাতা পুরোহিতদের হাতে পৌঁছবে, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় তৈরি হয়েছিল।

কিন্তু এবার পুজোর আগেই যাতে পুরোহিতদের কাছে সেই ভাতা পৌঁছে যায়, তার জন্য রাজ্যের মুখ্যসচিব প্রতি জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন। এদিন তিনি বলেন, “পুজোর ছুটি পড়ার আগেই পুরোহিতদের কাছে টাকা পৌঁছে দিতে হবে।” একাংশ বলছেন, পুরোহিতরা পুজো করেন। কিন্তু তাদের সংসারে নুন আনতে পানতা ফুরোনোর দশা। তাই সেদিক থেকে সেই সমস্ত পুরোহিতদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য পুজোর আগেই তাদের ভাতা দেয়ার বন্দোবস্ত করে ব্রাহ্মণ সমাজের মন জয় করার চেষ্টা করল রাজ্য সরকার বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে পুজোর আগেই পুরোহিতের ভাতা পৌঁছে দেওয়ার খবর শুনে খুশি পুরোহিত সমাজের প্রতিনিধিরা। এদিন এই প্রসঙ্গে কল্যানেশ্বর মন্দিরের প্রধান সেবায় দিলীপ দেওঘরিয়া বলেন, “আমরা মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। এতদিন পুরোহিতদের নিয়ে কেউ ভাবেনি। পুজোর আগে সেই টাকা পেলে ভালো লাগবে।” সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, মুখ্যসচিব নির্দেশ দেওয়ার পর সত্যি সত্যিই পুজোর আগে পুরোহিতদের কাছে এই ভাতা পৌঁছে যায় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।