এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ইয়েচুরি-রাহুল বৈঠকের পরেই নতুন ফর্মুলা, কেটে গেল বাম-কংগ্রেস জোটের জট, স্বস্তি নীচুতলায়

ইয়েচুরি-রাহুল বৈঠকের পরেই নতুন ফর্মুলা, কেটে গেল বাম-কংগ্রেস জোটের জট, স্বস্তি নীচুতলায়

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও বিরোধী দল বিজেপিকে ঠেকাতে হলে হাতে হাত ধরে লড়াই করা প্রয়োজন বলে প্রথম থেকেই জানিয়ে এসেছেন বামেদের আলিমুদ্দিন স্ট্রিট ও কংগ্রেসের বিধান ভবনের নেতারা। কিন্তু বাম এবং কংগ্রেসের এই জোটে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় রায়গঞ্জ এবং মুর্শিদাবাদ লোকসভা আসন।

কেননা বর্তমানে গত 2014 সালে এই দুটি লোকসভা কেন্দ্র থেকে বামেরা জয়ী হলেও এবারে এই দুটি লোকসভা কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী দেবে বলে দাবি জানানো হয়। আর নিজেদের জেতা আসন কংগ্রেসকে ছাড়তে আপত্তি জানায় বামেরা। আর এতেই দুপক্ষের মধ্যে আদৌ জোট হবে কি না তা নিয়ে তীব্র সমস্যা তৈরি হয়।

আর রায়গঞ্জ এবং মুর্শিদাবাদ লোকসভা আসন নিয়ে যখন দু’পক্ষের মধ্যে দড়ি টানাটানি চলছে, ঠিক তখনই শুক্রবার ফ্রন্টের বৈঠকের পরে রায়গঞ্জের মহম্মদ সেলিম এবং মুশিদাবাদের বদরুদ্দোজা খানের নাম প্রার্থী ঘোষণা করে দেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। এতেই খাপ্পা হয়ে ওঠেন রাজ্য প্রদেশ কংগ্রেসের একাংশ। ক্ষুব্ধ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, “প্রয়োজনে কংগ্রেস একাই লড়বে।” তৈরি হয় প্রবল জটিলতা।

এদিকে গোটা বিষয়টি নিয়ে রাতে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধীকে জানান প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি সোমেন মিত্র। আর এরপরই রাজ্যে কংগ্রেসের সাথে জোট নিয়ে যাতে একটা সমাধানসূত্রে আসা যায় তার জন্য সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিকে ফোন করেন রাহুল গান্ধী বলে খবর।

জানা যায়, এখানেই ফোনে দুজনের কথোপকথনে কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীকে সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি জানিয়ে দেন, “সমঝোতার প্রাথমিক শর্তই যদি আপনার দল না মানে তাহলে আমাদের আর কি করার থাকতে পারে! আমরা আপনাদের জেতা আসনের প্রার্থী দেব না বলে ঘোষণা করেছি। পাশাপাশি আগামী বছর রাজ্যসভার আসনে আপনাদের প্রার্থীকে আমরা সমর্থন দেব বলেও কথা দিয়েছি।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরির এহেন বক্তব্যের পেছনে যুক্তি থাকায় এবার বাংলার কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক গৌরব গগৈ এবং বি পি সিংকে ময়দানে নামিয়ে রাজ্য প্রদেশ কংগ্রেসের নেতাদের মতামত নেন রাহুল গান্ধী। পাশাপাশি আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রায়গঞ্জে দীপা দাশমুন্সির প্রার্থী হওয়ার বদলে পরবর্তীতে রাজ্যসভার আসলে তাঁকে প্রার্থী করা হবে বলেও সেই দীপাদেবীকে আশ্বাস দেওয়া হয়।

আর এতেই সেই বাম-কংগ্রেস জোট নিয়ে কিছুটা হলেও জট কাটতে শুরু করে। পাশাপাশি বামেদের দখলে থাকা রায়গঞ্জ এবং মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রে সেই বামেরাই প্রার্থী দেবে বলে কংগ্রেসের তরফে সীতারাম ইয়েচুরিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর এতেই বাম এবং কংগ্রেসের মধ্যে থাকা জোটপন্থী নেতারা কিছুটা হলেও হাফ ছাড়তে শুরু করেছেন।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, রায়গঞ্জ এবং মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রটি নিয়ে দুই শিবিরের আসন সমঝোতার উদ্যোগ যেভাবে প্রথমেই ধাক্কা খেয়েছিল, তাতে অবশেষে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধী ময়দানে নেমে যবনিকা ফেললেন। তবে রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্র নিয়ে দ্বন্দ্ব মিটলেও এখন বাকি আসনগুলোতে প্রার্থী দেওয়া নিয়ে বাম এবং কংগ্রেসের মধ্যে ফের কোনো মতের অনৈক্য তৈরি হয় কিনা এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!