এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > বড় খবর! ডিসেম্বরেই এসে যাবে করোনা ভ্যাক্সিন! স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন এই বাঙালি বৈজ্ঞানিক

বড় খবর! ডিসেম্বরেই এসে যাবে করোনা ভ্যাক্সিন! স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন এই বাঙালি বৈজ্ঞানিক


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারের আশায় বুক বেঁধেছে বিশ্ববাসী। কেবল ভারতেই নয়, সারা বিশ্বে যে তাণ্ডব চালিয়ে চলেছে করোনা ভাইরাস, তার থেকে মুক্তির পথ একটাই। বর্তমানে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭০লক্ষ ছড়িয়ে গেছে, ফলে ভ্যাকসিন আবিষ্কার যে কতটা প্রয়োজন, সেটা বুঝতে পারছেন সকলেই। এরকম পরিস্থিতিতে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন নিয়েই আপাতত আশাবাদী মানুষ। তবে কি বলছেন বিজ্ঞানীরা? সম্প্রতি জানা গেছে, ভ্যাকসিন নিয়ে আশার আলো দেখিয়েছেন বাংলারই এক বিজ্ঞানী। কিন্তু। কে তিনি?

বিজ্ঞানীর নাম চন্দ্রাবলি দত্ত। বাড়ি টালিগঞ্জের গলফ গার্ডেনে। গোখেল মেমোরিয়ালের প্রাক্তন মেধাবী ছাত্রী এই বিজ্ঞানী, অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা করছেন। জানা গেছে, ডক্টর সারা গিলবার্টের নেতৃত্বে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কার নিয়ে যে গবেষণা চলছে, তার জন্য ২৫ জন বিজ্ঞানীর একটি টিম তৈরি করা হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম সদস্য এই বঙ্গতনয়া চন্দ্রাবলি দত্ত। তবে খবর পাওয়া গেল কোথায়? সম্প্রতি পারিবারিক প্রয়োজনে দিন কয়েকের জন্য কলকাতায় এসেছিলেন তিনি। আর সেখানেই শনিবার তিনি হাজির হয়েছিলেন নিউ অলিপুরের সুরুচি সংঘের পুজোর থিম প্রকাশ অনুষ্ঠানে। আর সেখানেই নাকি তিনি ভ্যাকসিন নিয়ে আশার আলো দেখিয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন কার্যত পুজো ছেড়ে তাঁকে ঘিরে সাংবাদিক থেকে পুজো কমিটির সভাপতি মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের যাবতীয় প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে দেখা গেছে। আর সেই প্রশ্নের কেন্দ্রবিন্দুতে অবশ্যই অক্সফোর্ডের করোনা ভ্যাকসিন। গিলবার্টের টিমের সদস্য হিসেবে গবেষণার শর্ত মেনে কোনো তথ্য প্রকাশ না করলেও সকলকে আশ্বস্ত করতে দেখা গেছে তাঁকে। তাঁর কথায়, ডিসেম্বরেই করোনার ‘কমপ্লিট ভ্যাকসিন’ বিশ্ববাসীর কাছে আসতেই পারে। তাঁর ধারণা আর মাত্র তিন মাসের মধ্যেই অক্সফোর্ড করোনার ভ্যাকসিন তৈরির কাজ সম্পূর্ণ করে ফেলবে। শুধু তাই নয়, এদিন তিনি আরো জানান যে, ভ্যাকসিন উৎপাদনের অনেকটাই দায়িত্ব নিয়েছে সিরাম ইনস্টিটিউট। ফলে আশা করা যাচ্ছে, জানুয়ারিতে ভারতে করোনা ভ্যাকসিন আসবে। তবে এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার কোন পদ্ধতিতে ভ্যাকসিন বন্টন করবেন সেই সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।

অন্যদিকে, রাশিয়ার ভ্যাকসিন স্পুটনিক বা ভারতে ট্রায়ালে থাকা কো-ভ্যাকসিন নিয়ে তাঁকে কোনও মন্তব্য করতে দেখা যায়নি। তবে ডিসেম্বরে অক্সফোর্ড চাডক্স ভ্যাকসিন যে তৈরি করে ফেলা যাবে সেই আশাই দেখিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে তাঁর ধারণা ভারতীয় বন্টন ব্যবস্থার মাধ্যমে করোনার ভ্যাকসিন সাধারণের কাছে পৌঁছাতে ২০২১ সালের জুন-জুলাই হয়ে যাবে। তিনি জানান অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন আবিষ্কার করে উৎপাদনের দায়িত্ব নির্দিষ্ট সংস্থাকে দেবে। এরপর কতজনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বা কাদের প্রয়োজন হবে, পুরোটাই দেশের সরকার ও চিকিৎসকরা ঠিক করবেন বলেই জানিয়েছেন তিনি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!