এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিজেপির নবান্ন অভিযানে পুলিশের জলকামান! বড়সড় পদক্ষেপ লকেট চ্যাটার্জির! ক্রমশ বাড়ছে জল্পনা!

বিজেপির নবান্ন অভিযানে পুলিশের জলকামান! বড়সড় পদক্ষেপ লকেট চ্যাটার্জির! ক্রমশ বাড়ছে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নবান্ন অভিযানে বিজেপি নেতা কর্মীদের উপর পুলিশের হেনস্থা, ও তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিতে জলকামানে ব্যবহৃত নীল জলের বিষয় নিয়ে সরব হতে দেখা গিয়েছে বিজেপির একাধিক নেতা কর্মীদের। এবার জলকামানের রঙ্গিন জল নিয়ে বিশেষভাবে সরব হলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। এ বিষয়ে তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিয়েছেন, তিনি অনুরোধ করেছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যেন রাজ্যের কাছ থেকে জানতে চান যে, সেদিন জলকামানের জলে কি মেশানো হয়েছিল।

প্রসঙ্গত গত ৮ ই অক্টোবর ৭ দফা দাবিতে নবান্ন অভিযানের পরিকল্পনা নিয়েছিল বিজেপি। লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী তথা সদস্যদের নিয়ে হাওড়া ও কলকাতায় বিজেপির মোট চারটি মিছিল বেরিয়েছিল। বিজেপির অভিযোগ, তাদের বাধা দিতে ও ছত্রভঙ্গ করতে প্রচণ্ড ভাবে অত্যাচার করেছে পুলিশ তাদের ওপর। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে বিজেপি কর্মীরা সামনে এগিয়ে যাবার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। তখন পুলিশের ওপর শুরু হয় ইটবৃষ্টি। পুলিশও পাল্টা লাঠিচার্জ করতে শুরু করে। সাঁতরাগাছি, হাওড়া ময়দান, হাওড়া ব্রিজ, হেস্টিংসে পরিস্থিতি অত্যন্ত খাড়াপ হয়ে পরে।

এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিজেপির নেতাকর্মীদের উপর জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ। সে জলকামানের জল ছিল রঙ্গিন। যদিও, সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, সেখানে কোন রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় নি। রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, দোষীদের চিহ্নিত করার জন্য জলকামানে হোলির রং ব্যবহার করা হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ, প্রশাসনের দাবি মেনে নেয়নি বিজেপি। তাঁদের অভিযোগ, জলকামানের এই জলে বিজেপির নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বেশকিছু বিজেপি সদস্য অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এবার জলকামানের নীল রঙ ব্যবহার নিয়ে সরব হলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। এ প্রসঙ্গে তিনি জানালেন যে, বিজেপির নবান্ন অভিযান কালে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিতে জলকামানের সঙ্গে যে রাসায়নিক পুলিশ ব্যবহার করেছে তাতে তাদের অনেক কর্মী প্রচন্ড অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, জলকামানের রাসায়নিক মিশ্রিত জলে তাদের শরীরের ক্ষতি হয়েছে। অনেকেই পড়েছেন চামড়ার সমস্যায়। এমনকি ক্যান্সারের আশঙ্কাও করছেন অনেকে। তাই তাঁর দাবি, ” রাজ্য জানাক জলের সঙ্গে কী মেশানো ছিল। হোলির রং বললে তো হবে না। অমিত শাহকে চিঠি দিয়েছি। রাজ্যের কাছ থেকে উনি যেন বিষয়টি নিয়ে রিপোর্ট চান।”

অন্যদিকে গত ৮ ই অক্টোবর নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে বিজেপিকে একটি সন্ত্রাসবাদীর দল বলে আখ্যা দিয়েছিলেন পুরমন্ত্রী ও কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। পুরমন্ত্রীর এই অভিযোগের জবাবে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় জানালেন যে, বিজেপি একটি সর্বভারতীয় দল। মোটেই নিষিদ্ধ সংগঠন নয়। কিন্তু তার পরেও বিজেপি কর্মীদের ওপর কেন এ ধরণের রাসায়নিক প্রয়োগ করা হলো?

বস্তুত জলকামানে রঙ্গিন জলের ব্যবহার নিয়ে বিজেপির বহু নেতাকর্মী ইতিমধ্যে সরব হয়েছেন। এখন এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কি পদক্ষেপ নেন সেদিকেই দৃষ্টি সকলের। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যদি এ বিষয়ে কোনো কঠোর পদক্ষেপ নেন, তবে শাসকদলের বিপাকে পড়ার সম্ভাবনা আছে বলেই মনে করছে রাজ্যের বিভিন্ন রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!