এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > জঙ্গি হামলার ঘটনায় এবার মসজিদ নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্তপ নিচ্ছে অস্ট্রিয়া

জঙ্গি হামলার ঘটনায় এবার মসজিদ নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্তপ নিচ্ছে অস্ট্রিয়া


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত সোমবার এক জঙ্গি হানায় কেঁপে উঠল অস্ট্রিয়া। অতর্কিত গুলিতে মৃত্যু হল ৪ জনের, আহত হলেন ১০ জন। এই ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লো অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায়। এমন জঙ্গিহানা গত কয়েক দশক ধরে অস্ট্রিয়ায় দেখা যায়নি। এই আবহে দেশের নিরাপত্তার খাতিরে দেশের বেশ কিছু মসজিদ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল অস্ট্রিয়া সরকার। এর মধ্যেই একটি মসজিদকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আরও কিছু মসজিদ বন্ধ করে দেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় ঘটে যাওয়া এই হত্যাকাণ্ডর ঘটনার মূল চক্রি ২০ বছর বয়সের কুজতিম ফেজুলাই। এই কুজতিম ফেজুলাই ইসলামিক স্টেটএর এক আত্মঘাতী জঙ্গি। আবার লোন উলফের হামলাকারীও এই কুজতিম ফেজুলাই। বেশকিছু অপরাধের জন্য জেল খেটেছিল কুজতিম ফেজুলাই। শেষ পর্যন্ত মেসিডোনিয়া থেকে অস্ট্রিয়া এসে বসবাস করছিল সে। গত সোমবার ভিয়েনার রাস্তায় কালাশনিকভ রাইফেল হাতে এলোপাতাড়ি গুলি করে ৪ জন মানুষকে হত্যা করে কুজতিম ফেজুলাই। এছাড়াও তার অতর্কিত হামলায় আহত হন ১০ জন মানুষ। শেষ পর্যন্ত পুলিশের গুলিতে মৃত্যু ঘটলো কুজতিম ফেজুলাই এর। পুলিশের তদন্তে তার সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সামনে এসেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই ঘটনার পরই মৌলবাদীদের আখড়ায় পরিণত হওয়া বেশ কিছু মসজিদ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হলো। গতকাল শুক্রবার অস্ট্রিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, গত সোমবারে রাজধানী ভিয়েনাতে সন্ত্রাসবাদী হামলার কথা। এরপর জাতীয় নিরাপত্তার কারণে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে একটি মসজিদ। আবার, এর কিছুদিনের মধ্যে আরও বেশকিছু মসজিদ বন্ধ করে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কার্ল নেহামার ও ইন্ট্রিগ্রেশন মিনিস্টার সুসান রবাব এক সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাবেন গণমাধ্যমকে খুব শীঘ্রই।

অন্যদিকে অস্ট্রিয়ার সরকারের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ইসলামিক ধর্মীয় সম্প্রদায়, এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে। যেখানে তারা জানালেন যে, বন্ধ হয়ে যাওয়া ওই মসজিদের কর্তৃপক্ষ মৌলবাদী কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত ছিল, বলে অভিযোগ উঠেছিল। এই অভিযোগের পর মসজিদটি বন্ধ করে দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তারা জানিয়েছেন যে, ওই মসজিদের কতৃপক্ষ ধর্মীয় মতবাদ ও গঠনতন্ত্র সমস্ত কিছুর নিয়ম ভেঙে ছিল। এ কারণে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার একটা বিশেষ সম্ভাবনা ছিল। তাই দেরি না করে এরপরই মসজিদ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে মসজিদটি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। আগামীদিনে বন্ধ করে দেওয়া হবে আরও কিছু মসজিদ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!