এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > জঙ্গলমহলে তৃণমূলের ‘তুরুপের তাস’ ছত্রধরের হাওয়া কাড়তে বিশেষ পরিকল্পনা গেরুয়া শিবিরের!

জঙ্গলমহলে তৃণমূলের ‘তুরুপের তাস’ ছত্রধরের হাওয়া কাড়তে বিশেষ পরিকল্পনা গেরুয়া শিবিরের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – জঙ্গলমহলের একসময় মুকুটহীন সম্রাট বলা হতো মাওবাদী নেতা ছত্রধর মাহাতো কে। জঙ্গলের সমস্ত রাস তার হাতেই ছিল একটা সময়। কিন্তু গত ২০০৯ সালে জঙ্গলমহলে জনৈক সিপিএম নেতাকে হত্যার ও সেবছরই রাজধানী এক্সপ্রেস অপহরণের এর কারণে শেষ পর্যন্ত পুলিশের হাতে ধরা পড়ে প্রায় এক দশক জেল খেটে সম্প্রতি তিনি কারামুক্ত হয়েছেন। এই মাওবাদী নেতাকেই তুরুপের তাস করে জঙ্গলমহলে নিজেদের সাংগঠনিক ভিত্তিকে মজবুত করতে তৃণমূল দল তাঁকে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ দিয়েছে। আর এবারে মাওবাদী স্মৃতি উস্কে শাসকদল তৃণমূলকে পাল্টা মাত করতে নতুন পন্থা নিতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপি। করতে চলেছে নতুন করে জনসংযোগ।

প্রসঙ্গত ছত্রধর মাহাতোকে সামনে রেখে বিধানসভা নির্বাচনে জঙ্গলমহলে বাজিমাত যে করার চেষ্টা তৃণমূল নিয়েছিল, তার পাল্টা হিসেবে মাওবাদী আক্রমণে নিহত ও নিখোঁজ মানুষের পরিবার পরিজনদের ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে এবার জঙ্গলমহলের গ্রামে গ্রামে যাবেন ঝাড়গ্রামের বিজেপি সাংসদ কুনার হেমব্রম।

প্রসঙ্গত ইতিপূর্বে মাওবাদী হামলায় নিহত ও নিখোঁজ হয়ে যাওয়া মানুষের পারিবারিক সদস্যদের পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছিল জেলার বামেদের। তবে পার্লামেন্টের সাংসদ কুনার হেমব্রম বেশ কয়েকটি মাওবাদী আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন এবং এই বিষয়টি সংসদে তুলেও ধরেছিলেন। এ বিষয়ে তিনি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে চলেছেন।

সাংসদ কুনার হেমব্রম ঘনিষ্ঠ বিজেপি সূত্রের খবর, ছত্রধর মাহাতোর খাস তালুক বলে পরিচিত লালগড় থেকেই তিনি এই বিশেষ কর্মসূচি শুরু করতে চলেছেন। ইতিপূর্বে, মাওবাদী মানায় লালগড় এর আউলিয়া গ্রামে এক ব্যক্তি মৃত ও এক ব্যক্তি নিখোঁজ হন। অন্যদিকে এই হামলায় ঝাড়গ্রাম জেলায় মোট ২৯৫ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে, ৮৪ জন নিখোঁজ ও মাওবাদী হামলায় কর্মদক্ষতা হারিয়েছেন ৭৬ জন। এই হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাঁদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চলেছেন সাংসদ কুনার হেমব্রম।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে সম্প্রতি ঝাড়্গ্রাম জেলা বিজেপির পর্যবেক্ষক সুজিত অগস্তি, ঝাড়গ্রাম জেলা বিজেপির সভাপতি সুখময় শতপথী, সেইসঙ্গে সাংসদ কুনার হেমব্রম তাঁদের এই পদক্ষেপের বিষয়ে ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় আলোচনা করে নিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে সাংসদ কুনার হেমব্রম জানিয়েছেন, ” আমি সাংসদ হওয়ার পরে স্বজনহারানো কয়েকটি পরিবারের খোঁজ খবর নেওয়া শুরু করি। করোনা আবহে কয়েক মাস যাওয়া সম্ভব হয়নি। ওই পরিবারগুলি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। সংসদে আগেই ওঁদের দাবি তুলেছিলাম। ফের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ওঁদের খোঁজখবর নেব। পরিবারগুলির সমস্যা কেন্দ্রের নজরে আনব।”

অন্যদিকে এই কর্মসূচি প্রসঙ্গে ঝাড়্গ্রাম জেলা বিজেপি সভাপতির সুখময় শতপথী জানিয়েছেন, ” মাওবাদী সন্ত্রাস পর্বে নিহত ও নিখোঁজদের পরিবারগুলির পাশে দাঁড়াতে তাঁদের বাড়িতে যাবেন সাংসদ।’’

অন্যদিকে মাওবাদী হামলায় নিহত, নিখোঁজদের সরকারি ক্ষতিপূরণ, আহতদের পরিবারের সদস্যদের চাকরির দাবি জানিয়ে গড়ে ওঠে, ‘মাওবাদী হানায় শহিদ, নিখোঁজ ও আহত পরিবারের যৌথ মঞ্চ’। এই মঞ্চের সম্পাদক শুভঙ্কর মণ্ডল বলেছেন, ” কোনও জায়গায় আবেদন করতে আমরা বাকি রাখিনি। পিকে-র দফতরের লোকজনও আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু কিছুই হয়নি। উল্টে মাওবাদী ও জনসাধারণের কমিটির লোকজন এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যরা চাকরি ও সরকারি উচ্চ পদ পাচ্ছেন।’’

তবে এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি এই মঞ্চের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল ও তাদের দাবিগুলি কেন্দ্রের কাছে জানবার প্রতিশুতিও দিয়েছিল। তবে এই মঞ্চ বিজেপির পূর্ব প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন দেখতে চান। প্রসঙ্গত, ঝাড়গাম জেলা তৃণমূল পর্যবেক্ষক সুব্রত সাহা বিজেপির প্রতি কটাক্ষ করে বলেছেন, ” মানুজনকে ভুল বুঝিয়ে এলাকায় অশান্তি ছড়ানোর নানা চেষ্টা করছে বিজেপি।’’

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!