প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট– বর্তমানে বাংলা সিনেমা জগতে জয়া এহেসান একটি জনপ্রিয় নাম। সাবলীল অভিনয়, দুর্দান্ত সংলাপ পরিবেশনা থেকে শুরু করে চরিত্র ফুটিয়ে তোলার ক্ষমতা, সব মিলিয়ে তিনি অনবদ্য। জয়া আহসান প্রধানত একজন বাংলাদেশী অভিনেত্রী এবং প্রযোজক। মডেল হিসাবে নিজের কর্মজীবন শুরু করলেও পরবর্তীকালে তিনি টেলিভিশন অভিনেত্রী হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন। তিনি বর্তমানে বেশিরভাগ বাংলাদেশী এবং ভারতীয় বাংলা ছবিতে কাজ করেন। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে চারবার পুরষ্কার পেয়েছেন। চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য এছাড়াও অন্যান্য অনেক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরষ্কার তিনি পেয়েছেন।

নতুন সিনেমার হাত ধরে আবারও তাঁকে বাংলা চলচ্চিত্রে দেখা যাবে বলে জানা গেছে সম্প্রতি। জানা গেছে, অ‌্যালকোহলিক মায়ের ভূমিকায় থাকছেন জয়া আহসান। অন‌্যদিকে অন্য দুটি চরিত্রে রয়েছেন যথাক্রমে প্রান্তিক বন্দ্যোপাধ‌্যায় ও অনুরাধা মুখোপাধ‌্যায়। আর একটি বিশেষ চরিত্রে থাকছেন ঈশান মজুমদার। খুব ইন্টারেস্টিং ভাবেই সাজানো হয়েছে ছবির প্লট। একদিকে অভিভাবকত্বের উপলব্ধি, অন‌্যদিকে শৈশবের গল্প বলবে এই ‘ছেলেধরা’ সিনেমা। ছবিতে মিউজিক দিয়েছেন ‘সোয়েটার’ চেনা রণজয় ভট্টাচার্য আর ক‌্যামেরার দায়িত্বে রয়েছেন প্রতীক মুখোপাধ‌্যায়।

পরিচালকের কাছে জানা যায়, কিডন্যাপের প্রেক্ষাপটে গল্পটা হলেও, মায়ের অর্থাৎ জয়ার ‘পেরেন্টহুড’ শেখার গল্প বলে এই সিনেমা। সন্তানকে খোঁজার জার্নিতে সে আস্তে আস্তে বুঝতে পারে, যে সে মা হিসেবে খুব খারাপ ছিল। সারাজীবন ভুলের জন্য অন‌্যকে দোষারোপ করেছে মাত্র। কিন্তু এই জার্নিতে সে নিজেকে নতুন করে মা হিসেবে খুঁজে পায়। সে বুঝতে পারে নিজের দুর্বলতাগুলো। এর মধ্যেই বাচ্চা বদলের ঘটনাও ঘটে। কিডন‌্যাপাররা তার বাচ্চা এই মায়ের কাছে দিয়ে দেয়, আর এই মায়ের বাচ্চাটি কিডন‌্যাপারের কাছে থেকে যায়। এভাবেই গল্প চলতে থাকে।

‘সোয়েটার’-এর সাফল্যের পর তিনি ‘হৃদপিণ্ড’ নামেরও একটি ছবি করেছেন বলে জানা গেছে। যদিও সেটি বর্তমানে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। তবে দ্বিতীয় ছবি রিলিজের আগেই নিজের তৃতীয় ছবি ‘ছেলেধরা’র শুটিং শুরু করে দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। অন‌্য একটি বাংলা ছবির কাজে জয়া আহসানের আগেই কলকাতায় চলে আসার কথা রয়েছে। ফলে জানা গেছে ছবির বেশিরভাগ শুটিং হবে কলকাতার রাস্তায় এবং হাইওয়েতে। তার কারণ এটা ‘রোড’ মুভি। যেখানে মা তার সন্তানের কিডন‌্যাপারকে ধাওয়া করছে। সবকিছু ঠিকঠাক চললে, পরিচালকের ইচ্ছে পুজোর আগেই শুটিং শুরু করে দেওয়া যাবে। তারপর পুজোয় বিরতি নিয়ে ফের শুটিং শুরু হবে। তবে আর দেরি না করে শ্যুটিং শুরুর অপেক্ষা।