এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > ‘অন্য উন্নয়নে’ আস্থা রেখে বাংলার সর্বকালীন রেকর্ড ভেঙে দিতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস

‘অন্য উন্নয়নে’ আস্থা রেখে বাংলার সর্বকালীন রেকর্ড ভেঙে দিতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস

একদিন বাকি থাকতেই যা আভাস পাওয়া যাচ্ছে সেই নিরিখে একথা এখন সবদিক থেকে স্পষ্ট যে বিগত বছর গুলির তুলনায় এই বছর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় জয়লাভের ক্ষেত্রে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস নিঃসন্দেহে এক বিস্ময়কর রেকর্ড গড়তে চলছে। উল্লেখ্য বিগত বছর গুলিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় জয়লাভের পরিসংখ্যানে নজর দিলে দেখা যায় ২০০৩ সালের প্রায় ১১ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় জিতেছিল প্রার্থীরা। ২০০৮ সালে এই অঙ্ক একটু হ্রাস পেয়ে হয় প্রায় ৬ শতাংশ। ২০১৩ সালে বৃদ্ধি পেয়ে ১১ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় জয়ী হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

কিন্তু সোমবার অবধি যে ভাবে মনোনয়ন জমা পড়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে শাসক দল এবার প্রায় ১৭ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় জয়ী হতে চলেছে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় জয়লাভের মতো ঘটনা স্বাভাবিকভাবে যে যে প্রশ্ন গুলি রাজ্যের সাধারণ মানুষের মনে জ্জন্ম দেয় সেগুলি হলো – অনেক জায়গাতেই শাসক দলের লাগামছাড়া সন্ত্রাসে নিশ্চয়ই বিরোধীরা মনোনয়ন জমা দিতেই পারেনি! রাজ্য নির্বাচন কমিশন কী তবে রাজ্য সরকারের দালাল হয়ে উঠেছে? সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা করতেই তারা পারছে না। কমিশন যেভাবে নিজেদের সিদ্ধান্ত নিজেরাই বাতিল করে দিল, এবং যেভাবে তাঁরা প্রশাসনকে পরিচালনা করতে ব্যর্থ হচ্ছেন, তাতে এই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের কার্যকারিতা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে চলেছে। তবে কী শাসকদলের নিজেদের করা উন্নয়নমূলক কাজের উপর কোনও ভরসা নেই ? সাধারণ মানুষের উপরে আস্থা নেই? যেখানে এই ধরনের সন্ত্রাস হয়নি, সেখানেও কি বিরোধীরা সব আসনে প্রার্থী দিতে পারতেন? প্রতিটি পঞ্চায়েত আসনে প্রার্থী দেওয়ার মতো সাংগঠনিক শক্তি কি তাঁদের ছিল? ভোট-পূর্ববর্তী সন্ত্রাসের ফলে কি সাধারণ মানুষের মনে শাসক দলের উপরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়বে? তার ফল কি ভবিষ্যতের নির্বাচনগুলিতে শাসক দলের বিপক্ষে যাবে? ইত্যাদি ইত্যাদি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!