এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূলকে আরও ভাঙতে অমিত শাহের মাস্টারস্ট্রোক? নতুন রাজ্য কমিটি তারই প্রমাণ? বাড়ছে জল্পনা

তৃণমূলকে আরও ভাঙতে অমিত শাহের মাস্টারস্ট্রোক? নতুন রাজ্য কমিটি তারই প্রমাণ? বাড়ছে জল্পনা


গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বাংলায় অভূতপূর্ব ফলাফল করার পর থেকেই তৃনমূল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখানোর হিড়িক পড়ে যায়। লোকসভা নির্বাচনে অনেকেই তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতারা বিজেপিতে এসে লোকসভার প্রার্থী হয়ে জয়লাভ করেন। তবে বিভিন্ন জেলায় জেলায় তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতারা বিজেপিতে যোগদান করলেও, সেভাবে তাদের বিজেপিতে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে।

এমনকি দীর্ঘদিন আগে তৃণমূলের চাণক্য হিসেবে পরিচিত মুকুল রায় গেরুয়া শিবিরে নাম লেখালেও তাকে এখনই পর্যন্ত কোন পদ দেওয়া হয়নি। ফলে তার হাত ধরে যে সমস্ত তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা নেত্রীরা গেরুয়া শিবিরে যোগদান করেছেন, তারা পদ না পেয়ে রীতিমতো ঘনিষ্ঠমহলে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন বলে গুঞ্জন। তবে বিজেপির পক্ষ থেকে বরাবরই বলা হয়েছিল, দল সবার ওপর নজর রাখছে।

যারা প্রকৃত কাজ করছেন, তাদের সঠিক সময়েই দায়িত্ব দেওয়া হবে। আর এবার নিজেদের দেওয়া সেই কথা প্রমাণ করে দিলেন বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। বর্তমানে বিজেপি রাজ্য কমিটিতে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। যেখানে আশ্চর্যজনকভাবে লক্ষ্য করা গিয়েছে, সৌমিত্র খাঁ থেকে খগেন মুর্মু, অর্জুন সিংহ, প্রায় প্রত্যেকেই গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হয়েছে। আর এরা তৃণমূল এবং সিপিএম থেকে আসা।

শুধু তাই নয়, তৃণমূল থেকে বিজেপিতে নাম লেখানো বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়র সব্যসাচী দত্তকে দেওয়া হয়েছে বিজেপির রাজ্য সম্পাদকের পদ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিজেপি এই নয়া কমিটি গঠন করে যারা অন্য দল থেকে বিজেপিতে এসেছিলেন, তাদেরকে পদ দিয়ে কার্যত প্রমাণ করে দিল যে, ভবিষ্যতে যারা অন্য দল থেকে ভারতীয় জনতা পার্টিতে আসবেন, কাজের ভিত্তিতে তাদেরকেও একইভাবে গুরুত্ব দেওয়া হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশের মতে, বিজেপির কাছে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন এখন প্রধান টার্গেট। কিন্তু তার জন্য অন্য দল থেকে নেতাকর্মীদের আরও বেশি করে গেরুয়া শিবিরে আনতে হবে। কেননা নতুন করে নেতাকর্মী সৃষ্টি করা কারও পক্ষে সম্ভব নয়। সেদিক থেকে বিগত বাম আমলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিরোধী দলের অনেক নেতাকর্মীকে টেনে এনে ক্ষমতা দখল করার পথ প্রশস্ত করা হয়েছিল।

আর তাই সেই একই পদ্ধতি অবলম্বন করতে চাইছে গেরুয়া শিবির। কিন্তু অন্যান্য রাজনৈতিক দলের অনেক নেতা-কর্মী বিজেপিতে এতদিন আসতে চাইছিলেন না। তার প্রধান কারণ, বিজেপিতে গেলে গুরুত্ব পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ উঠেছিল। তবে এবার লোকসভা নির্বাচনের আগে এবং পরে তৃণমূল সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের হেভিওয়েট নেতারা যারা বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন, তাদের রাজ্য কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদ দিয়ে অমিত শাহ এবং বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব বুঝিয়ে দিলেন যে, বিজেপিতে কাজ করলে অবশ্যই তাদের কদর দেওয়া হবে।

নয়া কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে যারা বিজেপিতে আসার জন্য পা বাড়িয়ে রেখেছেন, তাদের একপ্রকার বার্তা দিয়ে দেওয়া হল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এদিন এই প্রসঙ্গে মুকুল রায় বলেন, “এই কমিটিতে অন্য দল থেকে আসা নেতাদের সম্মান দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীকালে যারা আসবেন, তারাও কাজ দেখালে সম্মান পাবেন।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, “পারফরম্যান্স আসল কথা। কে আদি নেতা, কে সদ্য অন্য দল থেকে এসেছেন, সেটা বিজেপিতে কোনো বিষয় নয়।”

তিনি আরও জানান, “কাজ করলে সম্মান দেওয়াই আমাদের রীতি। ভবিষ্যতে যারা অন্য দল থেকে আসবেন, কাজ দেখাতে পারলে তাঁদেরও আমরা যোগ্য মর্যাদা দেব।” যদিও বা বিজেপির এই বার্তাকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের হেভিওয়েট মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, “বিজেপির আবার কমিটি! ওদের দলের লোক বলে কিছু আছে নাকি! সবই তো আরএসএসের। এসব কমিটিতে ঠাই পেয়েও কোনো লাভ নেই। ওদের সবটাই সঙ্ঘ থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। যাই হোক, বিজেপির কমিটি বিজেপি বুঝবে।” সব মিলিয়ে এবার বিজেপির নয়া কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে তীব্র গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!