এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পুজো মিটলেই রাজ্য বিজেপিতে বড়সড় রদবদল! কে কোন পদে আসছেন, কে যাচ্ছেন? জানুন বিস্তারিত

পুজো মিটলেই রাজ্য বিজেপিতে বড়সড় রদবদল! কে কোন পদে আসছেন, কে যাচ্ছেন? জানুন বিস্তারিত


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া এক্সক্লুসিভ – সামনেই বাঙালির সব থেকে বড় উৎসব দুর্গাপূজা আর তারপরেই লক্ষীপূজা, কালীপূজা, দীপাবলি ও জগদ্ধাত্রী পূজা। ফলে, কার্যত পুজোর আবেশ গায়ে মেখে ছুটির মেজাজে আম বাঙালি তো বটেই, রাজনীতিবিদরাও। তবে সেই পুজোর মরশুম শেষ হলেই, এই মুহূর্তে রাজ্য-রাজনীতিতে প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি, ঝাঁপিয়ে পড়তে চলেছে ‘মিশন বিধানসভা’ নিয়ে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নবান্নের কুর্শি থেকে সরিয়ে, সেখানে গেরুয়া কেতন ওড়ানোই এখন বিজেপির একমাত্র লক্ষ্য।

আর সেই লক্ষ্যে, এবার বঙ্গ-বিজেপিতে একসাথে একাধিক বদল আসতে চলেছে বলে সূত্রের খবর। নভেম্বর মাসেই রদবদল ঘটতে চলেছে বিজেপির রাজ্য কমিটিতে। আর বদল মানে একেবারে খোলনলচে বদলে যেতে চলেছে রাজ্য বিজেপির। ইদানিংকালে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বিজেপির একটা বড় সমস্যা, আদি বনাম নব্য লড়াইয়ের খবর প্রায়ই সংবাদ শিরোনামে। অন্যদিকে, বিজেপির সংগঠন বৃদ্ধি ও সেখানে ‘বেনোজল’ ঢোকা নিয়েও কম বিতর্ক হচ্ছে না! তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট পাওয়া নিয়ে অসম লড়াই – যা ক্ষমতায় আসার আগেই দলের ভাবমূর্তি ক্ষতি করছে।

আর তাই, বিজেপির সংগঠনের উপর সঙ্ঘের রাশ আরও দৃঢ় করতে এবার রাজ্য কমিটিতে এই রদবদল হতে চলেছে বলে সূত্রের খবর। যতই বিতর্কিত কথা বলুন, গোটা রাজ্যজুড়ে দিলীপ ঘোষ যে পরিশ্রম করছেন – তাকে সাধুবাদ জানিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ত্ব। ফলে, তিনিই থেকে যাচ্ছেন রাজ্য সভাপতি। কেননা, বিধানসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে গোটা রাজ্যজুড়ে দিলীপবাবু সভা-মিছিল করুন, এটাই চাইছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ত্ব। কিন্তু, একে সাংসদ – তার উপরে গোটা রাজ্যজুড়ে প্রচারের দায়িত্ব – চাপ অনেকটাই বেড়ে যাবে দিলীপবাবুর।

ফলে, দিলীপবাবুকে শুধুমাত্র প্রচারের দায়িত্বে রেখে সাংগঠনিক ব্যাপার দেখা জন্য আসতে চলেছেন একজন কার্যকরী সভাপতি। আর সেই পদে বসতে চেলছেন সঙ্ঘের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা জিষ্ণু বসু। তৃণমূলের প্রচারকে ভোঁতা করে দিতে তাঁর মত শিক্ষিত, মার্জিত ও পরিশীলিত ব্যক্তিত্বকেই সামনে তুলে আনতে চাইছে সঙ্ঘ পরিবার। সবথেকে বড় কথা, তিনি স্বয়ং মোহন ভাগবতের অত্যন্ত আস্থাভাজন। ফলে, তিনি সাংগঠনিক দিকটা দেখলে – একসঙ্গে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এর পাশাপাশিই, যা শোনা যাচ্ছে রাজ্য বিজেপির দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ পদ সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন)-এও পরিবর্তন আসতে চলেছে। সেখানে সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে দায়িত্ব দেয়া হতে পারে বিধান করকে। নরেন্দ্র মোদী যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখন সঙ্ঘ ও নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে ‘সেতুবন্ধের’ কাজটা করতেন বিধানবাবু। ফলে, সঙ্ঘের পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদীরও প্রচন্ড আস্থাভাজন তিনি। আর তাই আপাতত জিষ্ণু-বিধান জুটিতে ভরসা রেখেই সাংগঠনিক খোলনলচে বদলে যেতে চলেছে পুরোপুরি বলে মনে করা হচ্ছে।

কিন্তু, রাজ্য কমিটিতে যাই পরিবর্তন হোক, একটি ব্যাপারে কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না – তা হল বাংলার কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক। কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ই থাকছেন সেই পদে। শুধু তাই নয়, বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত, তাঁকে এই দায়িত্ব থেকে কিছুতেই সরাতে চাইছেন না খোদ অমিত শাহ। এমনকি, বাংলায় নির্বাচনে বিজেপির পালে হওয়া তুলতে সাংগঠনিক পরিবর্তন থেকে শুরু করে কৌশলগত সিদ্ধান্ত – সব ব্যাপারেই কার্যত শেষ কথা হতে চলেছেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়।

তবে এক্ষেত্রে, প্রশ্ন উঠতে পারে – রাজ্য বিজেপির আরেক গুরুত্বপূর্ণ নেতা মুকুল রায় কি ব্রাত্যই হয়ে থাকবেন। এক্ষেত্রে যা জানা যাচ্ছে, দিল্লির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মুকুলবাবুর কাজে খুশি হলেও, নারদ ও সারদা কাণ্ডে তাঁর নাম থাকাটা আপাতত তাঁর বিপক্ষে যাচ্ছে। তবে, যা জানা যাচ্ছে, এই দুই মামলায় সিবিআই চার্জশীট জমা পরে যেতে পারে অক্টোবরের দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে। সেই চার্জশীটে যদি মুকুলবাবুর নাম থাকে, তাহলে এবারেও তাঁর কপালে শিকে ছিঁড়ল না! তবে, তাঁর নাম যদি চার্জশীটে না থাকে – তাহলে নভেম্বরেই হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীত্ব অথবা কেন্দ্রীয় সম্পাদক করে রাজ্যের সহকারী পর্যবেক্ষক – যে কোন একটি দায়িত্ব তাঁকে দেওয়া হবে।

তবে শুধু মাদার সংগঠন নয়, এর পাশাপাশিই শোনা যাচ্ছে এবার বড়সড় পরিবর্তন হতে চলেছে বিজেপির যুব সংগঠনেও। বর্তমান যুব সভাপতি দেবজিৎ সরকার সম্ভবত স্থান পেতে চলেছেন রাজ্য কমিটিতে। সেক্ষেত্রে নতুন যুব সভাপতি আসতে চলেছেন। এই নিয়ে দুটি নাম রাজ্য বিজেপি পাঠালেও – তা পছন্দ হয় নি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব চাইছেন যুব সভাপতির দায়িত্ব এমন একজন নিন – যিনি যুবর পাশাপাশি ছাত্র তো বটেই প্রয়োজনে মাদারের দায়িত্বও সামলাতে পারবেন অবলীলাক্রমে।

আর এইসবের ভিত্তিতে বিজেপির সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ নেতারা এক দাপুটে নেতার নাম পাঠিয়েছেন এবং খুব সম্ভবত সেই নামেই সিলমোহর পড়তে চলেছে। সবমিলিয়ে, পুজোর মরশুম শেষ হলেই, ‘মিশন বিধানসভার’ লক্ষ্যে ব্যাপক পরিবর্তন আসতে চলেছে বিজেপির সংগঠনে। প্রথমে রাজ্য কমিটিতে রদবদল হওয়ার পরেই, পরিবর্তন হতে চলেছে জেলা ও মন্ডল কমিটিতে। আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশ অনুসারে সেই সাংগঠনিক পরিবর্তনে – আদি না নব্য কোনো ‘ফ্যাক্টর’ নয়, যোগ্যতাই শেষ কথা হতে চলেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!