এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ‘প্রশাসন প্রস্তুত ছিল না, ধরা পড়ে নানা পক্ষের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছেন’ – মমতার অস্বস্তি বাড়িয়ে দাবি বিরোধীদের

‘প্রশাসন প্রস্তুত ছিল না, ধরা পড়ে নানা পক্ষের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছেন’ – মমতার অস্বস্তি বাড়িয়ে দাবি বিরোধীদের


সুপার সাইক্লোন আমফানের দাপটে বিধ্বস্ত রাজ্যে। কলকাতায় এখনো সচল হয়নি। তার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের ধাক্কায় ৭২ ঘন্টা পার হয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত নেই জল, বিদ্যুৎ যার জেরেই ফুঁসছে বাংলা। বিশেষ করে কলকাতা ও তার পার্শবর্তী অঞ্চল এই নিয়ে অভিযোগ জানাচ্ছে বার বার বলেও কোনো কাজ হচ্ছে না। শুধু এটাই নয়, এর সাথে চলছে বিক্ষোভ। কোথাও কোথাও বিক্ষোভ এটি বেশি যে পুলিশ লাঠি চার্জ করেছে। আর সেখানেই উঠছে প্রশ্ন যে কেন এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হলো সাধারণ মানুষকে ?

আবহাওয়া দপ্তর থেকে অনেক দিন আগে থেকেই সাবধান করা হয়েছে তাদের তরফ থেকে বার বার জানানো হয়েছে যে এই ঝড় কতটা শক্তিশালী। কতটা ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে। যদিও তখন প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল যে এর মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন তাঁরা। তবে আমফান মেটার পরেই কেন প্রশাসনের ব্যর্থতা চোখে পড়ছে। আর এই নিয়েই এবার সরব হয়েছে বিরোধীরা।

বিদ্যুৎ, জল-সহ ন্যূনতম পরিষেবা পাচ্ছেন না মানুষ, অসহায় হয়ে বার বার প্রশাসনকে জানানোর পরেও মিলছে না সাড়া যার জেরে বাধ্য হয়ে কলকাতা-সহ রাজ্যের নানা প্রান্তে সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছেন। অভিযোগ বার বার বলা স্বত্তেও বহু জায়গায় গাছ কাটার কাজও শুরু হয়নি। অভিযোগ যদি নিজেরা নাই পারবে তবে কেন এত দেরি করা হলো কেন প্রতমেই সেনাকে ডাকা হলো না কেন ঝড়ের তিন দিন পরে সেনাকে ডাকা হয়েছে। বিরোধীদের বক্তব্য, বিপর্যয় গভীর, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু ঘটনার পরে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার মতো প্রস্তুতি প্রশাসনের তরফে চোখে পড়েনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই নিয়ে লোকসভায় বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরী যেমন শনিবার বলেছেন, ‘‘আবহাওয়াবিদেরা যা পূর্বানুমান করেছিলেন, তা সম্পূর্ণ সত্য প্রমাণিত হয়েছে। তাঁদের দক্ষতা প্রশংসায় যোগ্য। কিন্তু প্রস্তুতিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার দক্ষতা দেখাতে পারল না। চারিদিকে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা! দিদি আপনি পারলেন না, সাধারণ মানুষ খুব বিপদে পড়ল।’’

এদিকে এইসব সাধারণ অমানুষের বিক্ষোভকে ঘিরে মুখমন্ত্রী দাবি করেছেন যে এই বিক্ষোভের পিছনে সাম্প্রদায়িক ও নানা রকমের উস্কানি আছে। মানুষকে উস্কানি দিয়ে কিছু সুবিধাভোগী মানুষকে রাস্তায় নামিয়ে বিক্ষোভ করাচ্ছেন। এই নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ করেছেন বিরোধীরা।

বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী এদিন বলেন, ‘‘প্রশাসন যে প্রস্তুত ছিল না, মানুষের কাছে সেটা ধরা পড়ে যাওয়ার পরে হতাশায় এখন নানা পক্ষের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছেন। সরকারের আগে আমরা বিরোধীরাই কিন্তু জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণার দাবি করেছি। কেন্দ্রের কাছে অর্থসাহায্য চেয়েছি। কিন্তু শুধু যাদবপুরেই পঞ্চসায়র, অজয়নগর, বৈষ্ণবঘাটা, বাঘাযতীন, সন্তোষপুর-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় মানুষের যে দুর্দশা, তার দায় কে নেবে?’’

বিক্ষোভের খবর দেখানোর জেরে সংবাদমাধ্যমের একাংশের ‘মনোভাব’ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। যার জেরে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের প্রশ্ন, ‘‘সংবাদমাধ্যমের সবাইকে সব সময়ের জন্য কারও গুণমুগ্ধ হতে হবে কেন? যা দেখা যাচ্ছে, তা তো সত্যি! খাদ্য, জল, বিদ্যুৎ, নেটওয়ার্ক সব অনির্দিষ্ট কাল অচল হয়ে থাকলে চলবে কেন?’’

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!