এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > করোনার টাকা দেয়নি কেন্দ্র, তারপরেও রাতারাতি সব হয়ে যাবে, একটু ধৈর্য ধরুন: মমতা ব্যানার্জি

করোনার টাকা দেয়নি কেন্দ্র, তারপরেও রাতারাতি সব হয়ে যাবে, একটু ধৈর্য ধরুন: মমতা ব্যানার্জি


এমনিতেই করোনা মোকাবিলা করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে। আর তার মাঝেই রাজ্যে এসে পড়ে আমপান নামক ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের দাপট। নবান্নের কন্ট্রোলরুম থেকে বসে এই ঘূর্ণিঝড় প্রত্যক্ষ করে হতাশা প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মূলত, এই ঝড়ের দাপটে দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা কার্যত ভেঙে পড়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে হেলিকপ্টারের সেই বিস্তীর্ণ এলাকা পরিদর্শন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আর এবার প্রধানমন্ত্রীর সফরের পরদিনই দক্ষিণ 24 পরগনার কাকদ্বীপের মহকুমা শাসকের দপ্তরে বৈঠকে বসে একগুচ্ছ প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিতে গেল রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানকে। যেখানে এই ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডবের ফলে বিপর্যস্ত এলাকাগুলোর পুনর্গঠনে সব থেকে বেশি জোর দিতে হবে বলে প্রশাসনকে নির্দেশ দিলেন তিনি। জেলা প্রশাসনের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বর্তমানে চার ধরনের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হচ্ছে আমাদের। করোনা, লকডাউন, পরিযায়ী শ্রমিক এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয়।”

তিনি আরও বলেন, “আমপানের তাণ্ডবে 1 লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। ফলে বড় কোনো প্রজেক্ট হাতে নেওয়া যাবে না। খুব সমস্যা তৈরি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে বিভিন্ন জেলার 6 কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। দক্ষিণ 24 পরগনার 73 লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন‌। 10 লক্ষের বেশি বাড়ি ভেঙেছে। এই জেলায় 56 কিলোমিটার নদী বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। বর্ষার আগেই বাঁধ না সারালে সমস্যা হবে। এটা জাতীয় বিপর্যয়ের থেকেও বড় ক্ষতি। তাই এখন পুনর্গঠনের ওপরেই সবথেকে বেশি জোর দিতে হবে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে বর্তমানে সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে সাহায্য দেওয়া নিয়ে যাতে কোনো দুর্নীতি না হয় তার জন্য প্রশাসনকে কড়া নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে হবে। প্রয়োজন পড়লে তাদের বাড়িতে গিয়ে রেশন পৌঁছে দিতে হবে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, বিদ্যুতের ভেঙে পড়া খুঁটি সারিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে আসতে হবে।” এদিকে স্কুল এবং কলেজের পড়ুয়াদের এই ভয়াবহ দুর্যোগের ফলে শিক্ষা সরঞ্জামের কোনো ক্ষতি হলেও, তা যাতে মিটিয়ে দেওয়া যায়, তার জন্য তিনি শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার নির্দেশ দেন জেলাশাসককে।

তবে বিভিন্ন জায়গায় যেভাবে বিদ্যুৎ এবং জলের পরিষেবা না পেয়ে মানুষ বিক্ষোভ করতে শুরু করেছেন, তাতে এদিন সাধারণ মানুষকে কিছুটা শান্ত থাকার আর্জি জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “এখনও পর্যন্ত করোনার টাকা দেয়নি কেন্দ্র। তারপরেও কাজ চলছে। ত্রাণের পাশাপাশি পুনর্গঠনের কাজ চলছে। রাতারাতি সব হয়ে যাবে। একটু ধৈর্য ধরুন।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন দক্ষিণ 24 পরগনার কাকদ্বীপে এই প্রশাসনিক বৈঠক করে প্রশাসনকে সাধারণ মানুষের পাশে থাকারই বার্তা দিলেন। পাশাপাশি উল্লেখ করলেন, কিভাবে এই ভয়াবহ দূর্যোগ সামাল দিতে হচ্ছে তার সরকারকে। তাই এমতাবস্তায় প্রশাসনকে সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। এখন প্রশাসনিক প্রধানের কথা মত পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হয়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!