” যারা এই আইনের বিরোধিতা করছে, তারাই ইস্তেহারে এর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।” – বিস্ফোরক প্রধানমন্ত্রী জাতীয় বিজেপি রাজনীতি December 18, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইন বিষয়ে আজ ভার্চুয়াল বক্তৃতা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যেখানে তিনি জানালেন যে, স্বামীনাথন কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী নয়া কৃষি আইন প্রবর্তন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন যে, স্বামীনাথন কমিটির সুপারিশ করা হয়েছিল ইউপিএ সরকারের সময়ে। কিন্তু এই কমিটির রিপোর্ট ৮ বছর ধরে চেপে রাখা হয়েছিল। তিনি অভিযোগ করেছেন বিরোধীরা নিজেদের জমি হারিয়ে ভয় দেখাচ্ছে কৃষকদের। নয়া কৃষি আইন মোটেই রাতারাতি তৈরী করা কোন আইন নয়। এই আইন বিভিন্ন সংগঠন, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছে। এই আইনের ফলে কৃষকেরা লাভবান হবে বলে প্রধানমন্ত্রীর দাবি। আজ কিষাণ কল্যাণ কার্যক্রমের অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল ভাবে উপস্থিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানালেন যে, যারা কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইনের বিরোধিতা করছেন, তারাই এই আইনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নিজেদের ইস্তাহারে। কিন্তু তারা তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করেন নি। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন বিরোধীরা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, সেটাই এই আইনে রয়েছে। কিন্তু নিজেরা সেকাজ করতে পারেনি বলেই, বিরোধীরা তা সহ্য করতে পারছেনা। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, তিনি কোনো কৃতিত্ব চান না, তিনি কৃষকদের উন্নতি চান, কৃষিক্ষেত্রে আধুনিকতা চান তিনি। প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন যে, বিরোধীরা মিথ্যে প্রচার করে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ সিদ্ধির চেষ্টা করছে। কৃষকদের কাঁধে বন্দুক রেখে নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার চেষ্টা করছে বিরোধীরা। কেন্দ্র একাধিকবার তাদের কাছ থেকে এ বিষয়ে সমস্যার কথা জানতে চেয়েছে। কিন্তু, কোথায় সমস্যা আছে? তা দলগুলি স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারে নি। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, আজ বিরোধীদের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেছে। বিরোধীরা নিজের জমি হারিয়ে কৃষকদের জমি হারানোর ভয় দেখাচ্ছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তিনি জানালেন স্বামীনাথন কমিটির সুপারিশ মেনেই নয়া কৃষি আইন প্রবর্তন করা হয়েছে। এই সুপারিশ প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সময়ে জমা পড়েছিল। কিন্তু আট বছর ধরে তা চেপে রাখা হয়েছিল। কৃষকেরা পূর্বে বহুবার আন্দোলন করেছেন, কিন্তু তাতে বিরোধীদের মন গলে নি। বিরোধীরা কৃষকদের জন্য বেশি অর্থ খরচ করতে চায়নি। সমস্ত ভোটের আগেই তারা কৃষিঋণ মুকুবের ঘোষণা করে থাকে। অথচ রাজস্থানের কৃষকদের ঋণ মুকুব এখনো হয়নি। অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁরা। প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন যে, বিরোধী নেতারা অনেকবার বিশ্বাসঘাতকতা করেছে কৃষকদের সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রী জানান যে, দুবছর আগে মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের সময় ১০ দিনের মধ্যে কৃষকদের ঋণ মুকুব করে দেবার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু, বাস্তবে ক’জন কৃষকদের ঋণ মুকুব করেছিল কংগ্রেস সরকার? তা জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আপনার মতামত জানান -