এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > করোনা নিয়ে ‘এক্সিট স্ট্র্যাটেজি’ র কথা তুললেন প্রধানমন্ত্রী, তবে কি লকডাউন উঠতে চলেছে ?

করোনা নিয়ে ‘এক্সিট স্ট্র্যাটেজি’ র কথা তুললেন প্রধানমন্ত্রী, তবে কি লকডাউন উঠতে চলেছে ?


আগামী 14 ই এপ্রিল কি তাহলে লকডাউন উঠতে চলেছে? করোনা ভাইরাস কি নিয়ন্ত্রণে এসেছে আমাদের দেশে? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু যে ভাইরাসকে প্যানডেমিক ঘোষণা করেছে, সেই ভাইরাস কি এত সহজে ভারত ছেড়ে পালালো? ইতিমধ্যে গুজব ছড়িয়েছিল 14 ই এপ্রিল এর পর লকডাউন এর সময়সীমা আরো বাড়ছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার সেই গুজব উড়িয়ে দিয়েছিল। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে একটি ভিডিও কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়েছিল।

করোনা ভাইরাস শুরুর সময়েও প্রধানমন্ত্রী দেশের সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে ইতিমধ্যে একটি বৈঠক করে ফেলেছেন। এদিন আবারও দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে নিয়ে। এদিনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী জোর দেন করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধের ওপর। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কোভিড 19 অতিমহামারী থেকে প্রত্যেক নাগরিককেই বাঁচাতে হবে।’ ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে লকডাউন এর ফলস্বরূপ করোনা পরিস্থিতির যে কিছু উন্নতি হয়েছে, তা জানান।

কিন্তু তিনি পাল্টা সতর্কবার্তা দেন, বিশ্বজুড়ে করেনা পরিস্থিতি এই মুহূর্তে অত্যন্ত বেপরোয়া। তবে এদিন তিনি জোর দেন লকডাউন শেষ হওয়ার পর কিভাবে আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে দেশ? তা নিয়ে একটি ‘এক্সিট স্ট্র্যাটেজি’ তৈরি করার ব্যাপারে পরামর্শ চেয়েছেন প্রতিটি রাজ্যের কাছ থেকে। তবে আগামী দুই সপ্তাহের কর্মসূচি নিয়ে তিনি আলোকপাত করেছেন এ দিনের বৈঠকে। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদী জানিয়েছেন ‘আগামী কয়েক সপ্তাহ ধরে আমাদের সবচেয়ে গুরুত্ব দিতে হবে পরীক্ষা করা, রোগীকে খুঁজে বার করা, তাঁদের বিচ্ছিন্ন করা ও কোয়ারান্টাইন করার ওপরে।’

এ ব্যাপারে তিনি রাজ্য প্রশাসনকে সাহায্যের কথা বলেন জেলা প্রশাসনগুলিকে। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের বিভিন্ন পরামর্শ দেন করোনা সংক্রমণকে কড়া ভাবে দমন করার জন্য। প্রধানমন্ত্রী এদিন মুখ্যমন্ত্রীদের একথাও বলেন, করোনা ভাইরাস চিকিৎসার জন্য যে যে উপাদানের প্রয়োজন, তা সরবরাহ করা হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক রাজ্যকে নিশ্চিত করতে হবে যাতে কোভিড ১৯ মোকাবিলায় যে আলাদা হাসপাতালগুলি তৈরি হয়েছে, সেখানে কোনও কিছুর অভাব না হয়। সেখানে যে ডাক্তাররা চিকিত্‍সা করছেন, তাঁরাও যেন প্রয়োজনীয় সব কিছু পান। আমি আপনাদের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, ওই রোগের মোকাবিলায় আরও বেশি সংখ্যক ডাক্তারকে প্রশিক্ষণ দিন।’

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রধানমন্ত্রী নিশ্চিত করেছেন এদিন বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল থেকে প্রতিটি রাজ্যকে 11 হাজার কোটি টাকা দেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দেন সাধারণ গরিব মানুষদের কাছে অবিলম্বে টাকা ও খাদ্যশস্য যাতে পৌঁছায়। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী এদিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের বিপর্যয় মোকাবিলা করতে রাজ্যের স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনগুলির সাহায্য নেওয়ার কথা বলেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী যথাসম্ভব বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে। এই সময় আমাদের সকলেরই সাহায্য দরকার।’

অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক শেষ হবার পর অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী প্রেমা খাণ্ডু একটি টুইট করে বলেন, ‘১৫ এপ্রিল লকডাউনের মেয়াদ শেষ হবে। তার পরেও কিন্তু ইচ্ছামতো রাস্তায় ঘোরাফেরা করা যাবে না। আমাদের স্লোয়িং ডাউন করতে হবে।’ বিতর্কিত এই টুইটটি তার কিছুক্ষণ পরেই মুছে দেন অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। তবে এদিনের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে লকডাউন কি তাহলে 21 দিন পর অর্থাৎ 14 ই এপ্রিল উঠে যাবে?

বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে কি আভাস দিলেন প্রধানমন্ত্রী? বিশেষজ্ঞদের দাবি, প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক থেকে উঠে এল লকডাউনের পরেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিকল্প পথ খুঁজতে হবে। শুধু তাই নয়, পরিস্থিতিকে আরো কড়া ভাবে মেনে চলতে হবে। তবে উল্লেখ্য, আগামী 14 ই এপ্রিলেই যে লকডাউন উঠে যাবে তাই নিয়ে কোনোরকম সম্ভাবনার কথা জানাননি প্রধানমন্ত্রী। তবে জানা গেছে, বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে করোনা সতর্কতা নিয়ে যে তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছেন তার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!