এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > জাতীয় জনগণনা পঞ্জি নিয়ে এবার কেন্দ্রের রিপোর্ট চাইল সুপ্রীম কোর্ট

জাতীয় জনগণনা পঞ্জি নিয়ে এবার কেন্দ্রের রিপোর্ট চাইল সুপ্রীম কোর্ট

সম্প্রতি দেশজুড়ে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি আইন, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং জাতীয় জনগণনা পঞ্জি নিয়ে তুমুল আন্দোলন চলছে। এই আন্দোলনে পশ্চিমবঙ্গ বেশ কিছুটা এগিয়ে। এদিন পশ্চিমবঙ্গের কুড়ি জন শিক্ষক অধ্যাপক নিজেদের প্যান কার্ড ও আধার কার্ড তথ্য দিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছেন এনপিআরের বিরুদ্ধে। ঘটনাচক্রে এই কজন শিক্ষক, প্রত্যেকেই হলেন মুসলমান। জাতীয় জনগণনা পঞ্জি নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। এনপিআর বিরোধি প্রতিবাদের মশাল জ্বালিয়ে রেখেছেন একাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্থাৎ এদিন এনপিআরকে আইনি চ্যালেঞ্জে এগিয়ে থাকলো বাংলা। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের কুড়ি জন শিক্ষক এদিন এনপিআর এবং সিএএ এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে এগুলোকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করার কথা আবেদন করেছেন।

পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তের কুড়ি জন শিক্ষক অধ্যাপক সুপ্রিম কোর্টে নিজেদের নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসাবে আধার কার্ড এবং প্যান কার্ডের মাধ্যমে  জাতীয় জনগণনা পঞ্জির বিরুদ্ধে মামলা করলেন। এদিন এই শিক্ষক অধ্যাপকরা জানিয়েছেন, নাগরিকত্ব বিধি অনুযায়ী যদি জাতীয় জনগণনা করা হয়, তাহলে স্থানীয় রেজিস্টার যেকোন কাউকে এনপিআরে সন্দেহজনক আখ্যান দিতে পারে। এর সাথে তাঁদের বক্তব্য, ভারতবর্ষে এই প্রথম ধর্মীয় ভিত্তিতে নাগরিকত্ব প্রদান করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তাই অবিলম্বে সুপ্রিম কোর্টের উচিত এই দুটি আইনকে প্রত্যাহার করার কথা ভাবা।

অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি কেন্দ্রের কাছে এনপিআর এর ব্যাখ্যা তলব করলেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে হলফনামা পেশ করতে হবে কেন্দ্রকে। এ প্রসঙ্গে মামলাকারী পূর্ব বর্ধমানের সরফিয়া হাই মাদ্রাসার শিক্ষক ইশরারুল বলেছেন, ”আমরা মুসলিম। কিন্তু সকলেই ভারতীয় নাগরিক। আয়কর জমা করি। ঘটনাচক্রে যারা মামলা করেছি, তারা সকলেই মুসলিম। কিন্তু হিন্দু-মুসলিম সকলের জন্যই মামলা। গঙ্গা-পদ্মার তীরবর্তী এলাকার হিন্দু-মুসলমানকে প্রতি বছরই বন্যার জেরে ঘরছাড়া হতে হয়। তাঁরা কী ভাবে কাগজ দেখিয়ে নাগরিকত্ব প্রমাণ করবেন? সিএএ-তে মুসলিমদের কেন বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে প্রশ্ন উঠেছে। আমরা বলছি, নাগরিকত্ব পেতেকেন হিন্দুদের নিজেদের বাংলাদেশি বলতে হবে?”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে, এদিন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক মুখলেসুর রহমান দাবি করেছেন, তাঁদের এই মামলার সাথে রাজনৈতিক কোনো সম্পর্ক নেই। এ প্রসঙ্গে মুখলেসুর বলেন, ”সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে মাদ্রাসায় নিয়োগের পক্ষে মামলা লড়তে আমরা বেঙ্গল মাদ্রাসা এডুকেশন ফোরাম তৈরি করেছিলাম। সেখানেই এনপিআর-এর বিরুদ্ধে মামলার কথাবার্তা হয়।”

অন্যদিকে, জাতীয় নাগরিকপঞ্জি আইন নিয়ে কেরালা সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছে সম্প্রতি। অন্যদিকে, সরকারের বিরুদ্ধে কেরালার বিজেপির নেতা কে রাজাশেখরণ মামলা করে জানতে চেয়েছেন, কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি আইন নিয়ে সংঘাতের জায়গা কোথায়?  অন্যদিকে রাজাশেখরণ অভিযোগ করেছেন, কেরল সরকার সরকারি অর্থে এই মামলা চালালেও রাজ্যপালের সাথে তাঁরা কোনো আলোচনা করেননি।

অন্যদিকে, এনপিআর বিরোধী প্রতিবাদের মশাল জ্বালিয়ে শুক্রবার দিল্লিতে কেন্দ্রের ডাকা এনপিআর বৈঠকে গরহাজির রইলেন একমাত্র মমতার রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ। সূত্রের খবর, যে অবিজেপি রাজ্যগুলি মুখ্যমন্ত্রী মমতার আহবানে কেন্দ্রের এনপিআর বিরোধী অবস্থান নিয়েছিল, তাঁরাও কিন্তু কেন্দ্রের ডাকা শুক্রবারের বৈঠকে উপস্থিত থেকে মোদি সরকারের ব্যাখ্যা শুনেছে। এ ব্যাপারে রাজনৈতিক মহলে যথেষ্ট সমালোচনা শুরু হয়েছে। আপাতত এনপিআর বা জাতীয় জনগণনা পঞ্জি নিয়ে ঘটনাবলী কোন দিকে মোড় নেয়, সে দিকে নজর থাকবে ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!