এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > চলতি বছরেই রাজ্যসভার নির্বাচন, আশাবাদী হলেও আশঙ্কার দোলাচলে তৃণমূল

চলতি বছরেই রাজ্যসভার নির্বাচন, আশাবাদী হলেও আশঙ্কার দোলাচলে তৃণমূল

রাজ্য রাজনীতি বর্তমানে প্রবল উত্তপ্ত। আর এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মাঝে যে কোনো নির্বাচন আসলেই, তা নিঃসন্দেহে সকলের কাছে গুঞ্জনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আর এবার পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের আগে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে রাজ্যসভার পাঁচটি আসনে হতে চলেছে নির্বাচন। যে আসনগুলিতে জয়ের ব্যাপারে যেমন আত্মপ্রত্যয়ী তৃণমূল, ঠিক একইভাবে আশাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কারা শেষ হাসি হাসবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বর্তমানে চারটি আসনে তৃণমূল সাংসদ রয়েছেন। আর একটি আসনে রয়েছেন সিপিএম থেকে বহিস্কৃত নির্দল সাংসদ ঝতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ঋতব্রতবাবু অনেকদিন আগেই তৃণমূলের মতাদর্শের সঙ্গে নিজেকে ধাবিত করলেও, সেভাবে তৃণমূলের সঙ্গে নিজেকে সংযুক্ত করেননি তিনি। তাই সেদিক থেকে তার অবস্থান নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা। তবে রাজনীতিতে সব সময় এক পরিস্থিতি থাকে না। তাই পশ্চিমবঙ্গ থেকে শূন্য হয়ে যাওয়া রাজ্যসভার পাঁচটি আসনের পাঁচটিতেই প্রার্থী দিতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

একইভাবে তৃণমূলকে মাত দিতে ঘুটি সাজাতে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগামী 2 এপ্রিল রাজ্য থেকে রাজ্যসভার সাংসদ হওয়া 5 প্রতিনিধির মেয়াদ শেষ হতে চলেছে। যাদের মধ্যে রয়েছেন আহমেদ হাসান ইমরান, কে ডি সিং, যোগেন চৌধুরী, মণীশ গুপ্ত এবং ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কারা হবেন এবার তৃণমূলের প্রার্থী!

বিশেষ সূত্রের খবর, শেষ পর্যন্ত তৃণমূলের প্রার্থী কারা হবেন, তা ঠিক করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে দুজনকে রেখে বাকি তিনটি জায়গায় নতুন মুখ আনা হবে বলে খবর রয়েছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বিজেপি যেমন এই রাজ্যসভার আসনগুলো দখল করার জন্য উদগ্রীব, ঠিক তেমনই তৃণমূলও চাইছে বিজেপির ঘর ভাঙ্গাতে। তাই সেদিক থেকে রাজ্য বিজেপির এক গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারীকে টিকিট দিয়ে রাজ্যসভার আসনে দাঁড় করাতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস।

অনেকে আবার বলছেন, বিজেপির রাজ্য নেতা থেকে কেন্দ্রীয় নেতা, এমনকি স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও রাজ্যে এসে সব সময় বলে গিয়েছিলেন, তৃণমূলের অনেক বিধায়ক তাদের সাথে যোগাযোগ রাখছেন। ফলে রাজ্যসভার ভোটে বিজেপির শীর্ষ নেতার এহেন মন্তব্যের কিছুটা হলেও প্রভাব পড়তে পারে। তাই শেষ মুহূর্তের ভোট কাটাকাটিতে কে জয় লাভ করে! তার দিকে অবশ্যই নজর থাকবে সকলের। যদিও বা দল ভাঙ্গানোর বিষয়ে একে অপরকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না তৃণমূল এবং বিজেপি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের এক নেতা বলেন, “অমিত শাহরা আমাদের দল ভাঙ্গার চেষ্টা করছে। কিন্তু ওরা নিজেদের দলের দৈন্যদশা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নন। কারণ বহু বিজেপির নেতা আমাদের দলে ঢোকার জন্য উন্মুখ হয়ে রয়েছেন। সঠিক সময় আমরা তাদের যোগদান করাব।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে তৃণমূলের মন্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ ভারতীয় জনতা পার্টি। এ

দিন এই প্রসঙ্গে এক বিজেপি নেতা বলেন, “গোটা তৃণমূল দলটাই এই মুহূর্তে কার্যত ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে। যে কোনো দিন তা ভেঙে পড়তে পারে। রাজ্যসভার ভোটে আমাদের সঙ্গে টাচে থাকা তৃণমূল বিধায়কদের দিয়ে গোপন ব্যালটে ভিন্ন বার্তা পৌঁছে দিতে চাইছি। যাতে শাসক শিবিরের শীর্ষনেত্রী বুঝতে পারেন, দলীয় হুইপকে উপেক্ষা করে জনপ্রতিনিধিরা উল্টো ভোট দিয়েছেন।” আর তৃণমূল বনাম বিজেপির এই তরজা পাল্টা তরজা দেখে রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছেন, পশ্চিমবঙ্গ থেকে শূন্য হতে চলা পাঁচটি রাজ্যসভার আসন এখন কাদের দখলে যায়, তা অবশ্যই দেখার বিষয়। কারণ তার ওপরেই নির্ভর করছে রাজ্য রাজনীতির ভবিষ্যৎ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!