এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূলের বিধায়কের সঙ্গে দ্বন্দ্ব, পদ হারালেন হেভিওয়েট নেতা, জোর শোরগোল রাজ্যে !

তৃণমূলের বিধায়কের সঙ্গে দ্বন্দ্ব, পদ হারালেন হেভিওয়েট নেতা, জোর শোরগোল রাজ্যে !

 

লোকসভায় তৃণমূলের খারাপ ফলাফলের পেছনে অন্যতম মূল কারণ যে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, তা বুঝতে বাকি নেই কারোরই। তবে লোকসভার পরবর্তী সময়কালে বারে বারে সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কমানোর জন্য দলের প্রথমসারি থেকে নিচুসারি পর্যন্ত কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তা সত্ত্বেও তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল কমার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। কিন্তু দল যে এত দ্বন্দ্ব বরদাস্ত করবে না, তা তৃণমূল নেতৃত্বের একটি সিদ্ধান্তের জেরেই এবার স্পষ্ট হয়ে গেল।

বস্তুত, দীর্ঘদিন ধরেই কেশপুর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি সঞ্জয় পানের সঙ্গে বিধায়ক শিউলি সাহার দ্বন্দ্ব চলছিল। গত লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত ব্লক সভাপতি হিসেবে নিজের প্রভাব দেখাতে শুরু করেন সঞ্জয় পান। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে কেশপুরে তৃণমূল সেইভাবে লিড না পাওয়ায় তার কাজ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। আর এরপরই ময়দানে নেমে রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের মহম্মদ রফিককে সামনের সারিতে তুলে আনেন।

শুধু তাই নয়, শিউলি শাহা এবং তার অনুগামীরাও ধীরে ধীরে এই কেশপুরের হাল ধরতে শুরু করেন। তবে যত দিন যায়, ততই বিধায়ক শিউলি শাহা বনাম ব্লক তৃণমূল সভাপতি সঞ্জয় পানের মধ্যে ক্রমশ দূরত্ব বাড়তে শুরু করে। যা তীব্র গোষ্ঠী কোন্দলের আকার নেয়। আর এর ফলেই অস্বস্তিতে পড়ে ঘাসফুল শিবির। আর এবার নিজেদের অস্বস্তি ঢাকতে সঞ্জয় পানকে সরিয়ে নতুন ব্লক সভাপতি হলেন বিধায়ক শিউলি সাহার ঘনিষ্ঠ উত্তম ত্রিপাঠী।

সূত্রের খবর, শুক্রবার জেলা তৃণমূলের সভাপতি অজিত মাইতি একটি সাংবাদিক সম্মেলনে এই কথা ঘোষণা করেন। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে গত বৃহস্পতিবার কোলাঘাটে বৈঠক ডেকেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। যেখানে শিউলি সাহা এবং সঞ্জয় পান উপস্থিত ছিলেন। আর সেখানেই তাদের দলনেত্রীর নির্দেশ জানিয়ে দেওয়া হয়। ব্লক সভাপতি থেকে সরিয়ে সঞ্জয় পানকে জেলা কমিটির সদস্য করা হয়েছে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু এতে কি সঞ্জয়বাবুর অভিমান হল না! যদি এতে গোষ্ঠী কোন্দল আরও বৃদ্ধি পায়, তাহলে কি তা সামাল দিতে পারবে তৃণমূল কংগ্রেস! এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের সভাপতি বলেন, “অনেকদিন আগে থেকেই সঞ্জয়বাবু ব্যক্তিগত কারণে দলের কাছে পদত্যাগপত্র নিয়ে রেখেছেন। টানা সাত বছর দায়িত্বে থাকার পর তিনি আর থাকতে চাইছেন না। তাই তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তবে তার অভিজ্ঞতাকে জেলা কমিটিতে কাজে লাগাবে দল।”

কিন্তু জেলা তৃণমূল সভাপতি যে কথাই বলুন না কেন, বিধায়ক বনাম ব্লক সভাপতির দ্বন্দ্ব রুখতেই যে বিধায়কের অনুগামীকে ব্লক সভাপতি পদে বসালো তৃণমূল, এই ব্যাপারটি বুঝতে বাকি নেই কারোরই। কিন্তু এক দ্বন্দ্ব ঢাকতে গিয়ে যে ব্লক সভাপতি পদ থেকে সঞ্জয়বাবুকে সরিয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেস, সেই সঞ্জয়বাবু এখন তৃণমূলকে বেগ দেন কিনা! সেদিকেই নজর রয়েছে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!