এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > জন্মদিনে ইডির আমন্ত্রণ ভাইপোর! দ্রুত বিদায় নিন, খোঁচা বিজেপির!

জন্মদিনে ইডির আমন্ত্রণ ভাইপোর! দ্রুত বিদায় নিন, খোঁচা বিজেপির!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-বারবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আমন্ত্রণ পাচ্ছেন তৃণমূল নেতারা। তবে সবার একটাই নজর কবে পিসি এবং ভাইপোর বিরুদ্ধে এই কেন্দ্রীয় সংস্থা ব্যবস্থা নেবে। এত দুর্নীতি হচ্ছে, এত চুরি হচ্ছে, চুনোপুটিরা জেলে যাচ্ছে, কিন্তু আসল ব্যবস্থা গ্রহণের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন রাজ্যবাসী। আর এই পরিস্থিতিতে নিজের জন্মদিনের সেলিব্রেশন করতে যখন ব্যস্ত রয়েছেন বাংলার যুবরাজ, তখনই তাকে নোটিশ পাঠালো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এমনিতেই বর্তমানে রাজ্য রাজনীতিতে রেশন দুর্নীতি সব থেকে বড় কেলেঙ্কারি। শিক্ষা দুর্নীতির পাশাপাশি এই বিষয়কে সামনে রেখে প্রচার করছে বিরোধীরা। আর তার মধ্যেই আবার প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠল সেই শিক্ষা দুর্নীতির বিষয়। যে বিষয়ে জেরা করবার জন্য ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে তৃণমূলের যুবরাজকে।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ইডি দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার জন্য মঙ্গলবার নোটিশ পাঠানো হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। জানা গিয়েছে, শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাকে জেরা করতে চেয়ে এই নোটিশ পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও তাকে একাধিকবার ডাকা হয়েছে। তিনি কখনও গিয়েছেন, কখনও যাননি, আবার কখনও প্রতিহিংসা পরায়ন আচরণের অভিযোগ তুলেছেন। তবে এই সমস্ত কিছুর ঊর্ধ্বে উঠে এবার রাজ্যের মানুষ, দেশের মানুষ দেখতে চাইছেন, ইডির শক্তপোক্ত একটা মনোভাব। কেন মানুষের ভেতরে যে আগুনের বিস্ফোরণ হচ্ছে এই ব্যানার্জি পরিবারকে নিয়ে, তা বুঝতে পারছে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা? কেন তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে একটা পদক্ষেপ তারা নেওয়ার মত ক্ষমতা রাখছে না! শুধু ডাকাডাকি আর কতদিন চলবে! এক কথায় এই নাটক রাজ্যের মানুষ চাইছেন না। বিরোধীদের বক্তব্য অবশ্য তেমনটাই। তাই জন্মদিনের সেলিব্রেশনের সময় ভাইপোকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে, তা যেমন ঠিক। কিন্তু এই নোটিশে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ গলে যাবে না, যতক্ষণ না তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ হবে। ফলে ইডিকে এবার একটা কার্যকরী ভূমিকা নিতে হবে বলেই দাবি একাংশের।

বিজেপির দাবি, নোটিশ যখন পাঠানো হয়েছে, তখন দ্রুত তদন্তের খাতিরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দপ্তরে যাওয়া উচিত ভাইপোর। মুখে তিনি অনেক বড় বড় কথা বলেন। অন্যদিকে নিজের সততার প্রমাণ দিতে মরিয়া তার পিসি। এত চুরি হয়েছে, ফলে সেই চুরির রহস্য উদঘাটন করতে তার এবার তদন্তে সহযোগিতা করা উচিত। সময় নষ্ট না করে দ্রুত তিনি বিদায় নিন। তা না হলে রাজ্যের মানুষ এই যন্ত্রণা থেকে রক্ষা পাবে না বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।পর্যবেক্ষকদের মতে, দিনের শেষে একটা সত্যি কথা রাজ্যের মানুষ থেকে শুরু করে বিরোধী দল সকলেই উপলব্ধি করছেন যে, এই সরকারের বিদায় আসন্ন। যেভাবে তারা চারিদিক থেকেই দুর্নীতির বেড়াজালে বিদ্ধ হচ্ছে, তাতে এই সরকারের আর একদিন ক্ষমতায় থাকা মানে রাজ্যকে 10 বছর পিছিয়ে দেওয়া। শুধু নিজের পরিবারবাদকে প্রতিষ্ঠা করাই মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে কারণে তার ভাইপো, তার ঘনিষ্ঠদের সম্পত্তি বৃদ্ধি এবং তাদের চুরিটাই সামনে আসছে। বিরোধীরা প্রতিনিয়ত এই বিষয়কে সামনে রেখে সরব হচ্ছেন। ফলে এত বড় শিক্ষা নিয়োগের যে তদন্ত এবার শুরু হয়েছে, তা নিয়ে ভাইপোকে আবার নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, তিনি যাবেন। আর গিয়ে নিজের সততার প্রমাণ দিয়ে বেরিয়ে আসবেন, নাকি অন্য কোনো চিত্র দেখবে রাজ্যবাসী, তা অবশ্য সময়ই বলবে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!