এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > যশের ছোবলে নিঃস্ব গ্রামবাসীরা এবার একজোট হলেন স্থায়ী বাঁধের দাবিতে

যশের ছোবলে নিঃস্ব গ্রামবাসীরা এবার একজোট হলেন স্থায়ী বাঁধের দাবিতে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – প্রকৃতির রুদ্ররোষের ছোবলে বারবার বিপদে পড়তে হয় উপকূলের বাসিন্দাদের। গতবছর আমফান ঝড় তাদের সর্বস্ব কেড়ে নিয়েছিল, আম্ফানের ক্ষত না সারতেই আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় যশ। যশ চলে যাবার পর অতিক্রান্ত হয়েছে এক সপ্তাহেরও বেশি সময়, কিন্তু এখনও সুন্দরবনের বহু এলাকা রয়েছে জলবন্দি। তাই ঘরবাড়ি ছেড়ে বহু গ্রামবাসীদের আশ্রয় নিতে হয়েছে নদী বাঁধের উপরে বা ফ্লাড সেন্টারে। তাদের জন্য সরকারি ত্রাণ দেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে, এবার শুধু ত্রাণ নয়, স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবিতে সরব হলেন গ্রামবাসীরা।

ঘূর্ণিঝড় যশের কারণে প্রায় ২৬ কিলোমিটার বাঁধ প্রবলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সুন্দরবন। কোথাও বাঁধ একেবারে ভেঙে পড়েছে, কোথাও বাঁধ উপচে ডুবে গেছে গ্রাম। নোনাজল দফারফা করেছে চাষের জমি, মাছের ভেড়ি নষ্ট হয়েছে, ভেঙেছে ঘরবাড়ি। বহু মানুষকে আশ্রয় নিতে হয়েছে বাঁধের উপরে বা ফ্ল্যাড সেন্টারে। এই মানুষেরা এবার স্থায়ী কংক্রিটের বাঁধের দাবি জানাচ্ছেন। আগামীকাল তারা স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হতে চলেছেন।

গতকাল গোসাবার রাঙাবেলিয়ার জেটিঘাটে ত্রাণের লাইনে দাঁড়িয়ে স্থায়ী কংক্রিট বাঁধের দাবি জানালেন বহু গ্রামবাসী। একাধিক গ্রামবাসীরা জানালেন, আইলা ঝড়ের পরে এসেছিল বুলবুল ঝড়, তারপরে ফণী এসেছে, এসেছে আম্ফান, এরপর এলো যশ। প্রকৃতির দুর্যোগের কারণে প্রতিবছর তারা ঘরছাড়া হচ্ছেন, বিপদে পড়ছেন। তাই এবার তারা দাবি করছেন শুধু ত্রাণ নয়, এবার কংক্রিটের নদীবাঁধ নির্মাণ করা হোক। যত দ্রুত সম্ভব এ কাজ করা হোক। প্রশাসনের সদর্থক দৃষ্টির দাবি জানালেন তারা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই উদ্দেশ্যে সুন্দরবন নদীবাঁধ ও জীবন-জীবিকা রক্ষা কমিটি গড়ে তোলা হয়েছে। এই কমিটির জনৈক সদস্য চন্দন মাইতি জানালেন যে, আগামীকাল তাঁরা কংক্রিটের স্থায়ী নদীবাঁধের দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভে যোগ দান করবেন। আইলা ঝড় চলে যাবার পর সুন্দরবনের বেশ কিছু স্থানে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু জানা যায়, বেশিরভাগ স্থানেই থমকে গেছে বাঁধ নির্মাণের কাজ। গোসাবা সহ একাধিক এলাকায় এই চিত্রই চোখে পড়ছে।

এ প্রসঙ্গে রাজ্যের প্রাক্তন সেচমন্ত্রী সুভাষ নস্কর জানালেন যে, সরকারের সদিচ্ছার অভাবের কারণে কংক্রিটের স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ হয়নি। তিনি অভিযোগ করেছেন, সুন্দরবনের কংক্রিটের বাঁধ নির্মাণের জন্য কেন্দ্রের কাছে থেকে ৫০৩২ কোটি টাকা তিনি এনেছিলেন। কিন্তু সরকারের সদিচ্ছার অভাবের কারনে সে কাজ হয়নি। ৪০০০ কোটি টাকা কেন্দ্রের কাছে ফেরত চলে গেছে। তবে, এ বিষয়ে বর্তমান সেচমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, এ ব্যাপারে আগে কি ঘটেছিল? তা তিনি জানেন না। তাই, এই নিয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে নারাজ।

এ প্রসঙ্গে গোসাবার বিডিও সৌরভ মিত্র জানালেন যে, কংক্রিটের বাঁধ সুন্দরবনবাসীদের অনেকদিনের দাবি। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি তাঁরা জানিয়েছেন। এর স্থায়ী সমাধান হবে বলে আশাবাদী তিনি। এ প্রসঙ্গে জেলাশাসক পি উল্গানাথন জানালেন যে, ভাঙ্গন প্রবন এলাকায় কংক্রিটের বাঁধ নির্মাণের তালিকা ইতিমধ্যেই চেয়েছে সেচ দপ্তর। উপকূল এলাকায় স্থায়ী কংক্রিটের বাঁধ নির্মান দ্রুত করা হোক, এই দাবি করছেন দুর্যোগে ঘর ছাড়া গ্রামবাসীরা।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!