এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > প্রথমদফার ভোট গ্রহণের কয়েক ঘন্টা আগে রাজ্য সরকারের ঘুম উড়িয়ে দিল যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ

প্রথমদফার ভোট গ্রহণের কয়েক ঘন্টা আগে রাজ্য সরকারের ঘুম উড়িয়ে দিল যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ


রাত পোহালেই লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ – গোটা রাজ্য টগবগ করে ফুটছে চূড়ান্ত রাজনৈতিক আবহে। আর তার ঠিক আগের দিন কলকাতার বুকে ঝড় তুলে দিল রাজ্যের হাজার হাজার সরকারি, আধাসরকারি কর্মচারী ও শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের নিয়ে তৈরী যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ। এমনিতেই নির্বাচনী দায়িত্বে যাওয়ার আগে যথাযথ নিরাপত্তা মিলবে কিনা এবং তার ফলে প্রাণ সংশয় হবে কিনা – সেই ভয়ে কার্যত রাতের ঘুম উড়েছে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের।

তার উপর দীর্ঘদিন ধরেই বকেয়া ডিএর পরিমান বাড়তে বাড়তে পাহাড় ছুঁয়েছে। বেতন কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধি করতে করতে সর্বকালীন রেকর্ড ভেঙে দিয়ে তা কার্যত ‘রসিকতার’ পর্যায়ে নামিয়ে নিয়ে গেছে রাজ্য সরকার – তার উপরে রাইটার্স বিল্ডিঙে দাঁড়িয়ে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী কথা দিলেও এবং পরবর্তীকালে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশিকা দিলেও – রাজ্যের হাজার হাজার পিটিটিআই ছাত্রদের চাকরির দেখা নেই – এইসব বিস্ফোরক অভিযোগে আজ কলকাতার রাজপথে কার্যত ঝড় তুলল দল-মত-পন্থা নির্বিশেষে ১০ টি সংগঠন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কলকাতার রাজপথে মিছিল, ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে ধর্ণা ও শেষে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ডেপুটেশন জমা দিল সরকারি কর্মচারী পরিষদ, পশ্চিমবঙ্গ সরকারি চালক ও কারিগরি কর্মচারী সমিতি, কলিকাতা পৌরনিগম কর্মচারী ইউনিয়ন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারী ইউনিয়ন, ইউনিটি ফোরাম, ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রাইমারি ট্রেন্ড টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন, অ্যাসোসিয়েশন অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল সেক্রেটারিয়েট অ্যাসিস্ট্যান্স, কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়ীজ ও বিদ্যুৎ কর্মচারী পরিষদের মত সরকারি কর্মচারী ও শিক্ষক সংগঠনগুলি।

মূলত বকেয়া ডিএ, বেতন সংশোধন ও অবিলম্বে শূন্যপদ পূরণের দাবিতে নির্বাচনের ঠিক আগে রাজ্য সরকারের ঘুম উড়িয়ে দিলেন সরকারি ও আধা সরকারি কর্মচারীরা এবং শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীবৃন্দ। যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের আহ্বায়ক ফটিক দে বলেন, রাজ্য সরকার পে কমিশন চালু করছে না এবং মূল্যসূচক মেনে ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা দিচ্ছে না – অবিলম্বে তা চালু করতে হবে। সরকারি কর্মচারী পরিষদের আহ্বায়ক দেবাশীষ শীল বলেন, আমরা বকেয়া ডিএর জন্য আইনি লড়াই লড়ছি – কিন্তু রাজ্য সরকার একবার স্যাট, একবার হাইকোর্ট করে সরকারি কর্মচারীদের শুধু বঞ্চিত ও হতাশই করছে। তাই আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি রঙ ভুলে আমরা আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি পথের লড়াইয়ে আবার অবতীর্ন হতে বাধ্য হলাম। ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রাইমারি ট্রেন্ড টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সভাপতি পিন্টু পাড়ুই বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকার ফলে রাজ্য সরকার পিটিটিআইদের নিয়োগ করতে বাধ্য – আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এর সুরাহা না পেলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!