এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > জয় এলেও অনুব্রতর জেলায় কিন্তু চিন্তা বাড়ছে তৃণমূলের

জয় এলেও অনুব্রতর জেলায় কিন্তু চিন্তা বাড়ছে তৃণমূলের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্টএকুশের বিধানসভা নির্বাচনে অনুব্রত মণ্ডলের হাত ধরে 11 টি বিধানসভার মধ্যে 10 টি তে তৃণমূল জয় ছিনিয়ে আনতে পারলেও চিন্তা কিন্তু এখনো যাচ্ছেনা। কারণ দেখা যাচ্ছে, বীরভূমের ছটি পুরসভার মধ্যে পাঁচটিতেই এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই পরিসংখ্যান এই মুহূর্তে তৃণমূল শিবিরের কাছে সবথেকে বড় চিন্তার কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, পাশাপাশি এই পরিসংখ্যান চিন্তা ধরানোর অন্যতম কারণ হলো সামনে আসছে উপনির্বাচন এবং পুরসভা নির্বাচন। যদিও ভোটের দিনক্ষণ এখনো ঠিক হয়নি। তবে পুজোর আগেই এই ভোটগুলি হয়ে যাবার সম্ভাবনা।

সেক্ষেত্রে যদি লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে বিজেপি পুরসভা ভোটে খাবা বসিয়ে দেয়, তাহলে আগামী দিনে লোকসভা নির্বাচনে কিন্তু বিজেপি আবারও পায়ের তলার মাটি শক্ত করে লড়াইয়ে ফিরে আসবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত, বীরভূম জেলার 6 টি পুরসভার মধ্যে সদর শহর সিউড়ি, মহকুমা শহর রামপুরহাট ও বোলপুর। এবং তিনটি ব্লক শহর দুবরাজপুর, সাঁইথিয়া ও নলহাটি।

এগুলির মধ্যে শুধুমাত্র নলহাটি বাদ দিয়ে বাকি পাঁচটিতে তৃণমূলের থেকে বিজেপি এগিয়ে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচনে। 2019 এর লোকসভা নির্বাচনেও জেলার দুটি লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল জয় ছিনিয়ে আনতে পারলেও পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির কাছে ব্যাপক ভাবে পিছিয়ে যায় তৃণমূল।

একুশে বিধানসভা নির্বাচনে পাঁচটি আসনের মধ্যে তৃণমূল জয় পেয়েছে সবকটিতেই। শুধুমাত্র দুবরাজপুরে বিজেপির জয় হয়েছে। আর দেখা যাচ্ছে, দুবরাজপুরে বিজেপি’র জয়ের নেপথ্যে কাজ করছে পুরসভা এলাকার বাসিন্দাদের সমর্থন। লোকসভা নির্বাচনেও ঠিক এইভাবে বিজেপিকে সমর্থন জানিয়েছিলেন পুরসভা এলাকায় থাকা মানুষরা। অর্থাৎ শহরবাসীদের সমর্থন থাকছে বিজেপির সঙ্গে, যা এই মুহূর্তে চূড়ান্ত মাথাব্যথার কারণ তৃণমূল শিবিরের। তৃণমূলের একাংশ মনে করছে, যদি এবছর পুর নির্বাচন হয় এবং আবার যদি বিজেপি ক্ষমতায় আসে, তাহলে 2024 এর লোকসভা নির্বাচনে কিন্তু বিজেপি আবার ক্ষমতায় ফিরবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে লোকসভা নির্বাচনের আগেই হবে পঞ্চায়েত নির্বাচন। 2023 সালে বিজেপি সেখানেও যথেষ্টভাবে এগিয়ে যেতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তবে প্রশ্ন উঠেছে, শহরের মানুষের মন কেন পাচ্ছেনা তৃণমূল? সেক্ষেত্রে কি তাহলে ধরে নিতে হবে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সামাজিক উন্নয়নের সুবিধা শহরবাসীরা পাচ্ছেন না?

তবে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, দক্ষিণবঙ্গের শহরে যেভাবে সেজে উঠেছে সরকারি হস্তক্ষেপে, বীরভূমের শহরে কিন্তু তা হয়নি। বরং সিউড়ি শহরে অপরিকল্পিতভাবে যত্রতত্র ফ্ল্যাট বাড়ি হচ্ছে, রাস্তাঘাট এর পরিসর কমে যাচ্ছে। অথচ জনসংখ্যা নিত্যদিন বাড়ছে, যানবাহন বাড়ছে। একইসাথে বীরভূম শহরে শিক্ষার হার বরাবরই বেশী। কিন্তু সে অর্থে জীবিকার হার বাড়ছেনা।

মনে করা হচ্ছে, শহরের মানুষের এটা একটা বড় ক্ষোভ। একই সাথে দলের তৃণমূল সাংগঠনিক দিক থেকেও পিছিয়ে পড়েছে বীরভূম জেলায়। কার্যত অনুব্রত মণ্ডল বীরভূম জেলার সর্বেসর্বা। তবে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে অনেকেই দল ছেড়ে চলে গিয়েছেন। আবার অনেকেই রাজনীতি থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছেন। বিভিন্ন ওয়ার্ডে নির্ভরযোগ্য কোনো নেতা নেই।

যার ফলস্বরূপ এইসব খামতিগুলিকে অস্ত্র করে পুর এলাকাগুলিতে ক্রমশ প্রভাব বিস্তার করছে বিজেপি। স্বাভাবিকভাবেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই সমস্যার যদি শীঘ্র সমাধান না হয় তাহলে আগামী দিনে চরম খেসারত দিতে হতে পারে তৃণমূল শিবিরকে। ফলস্বরূপ একুশের বিধানসভা নির্বাচনের জয় ম্লান হয়ে যেতে পারে।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!