এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > জয়নগরে তৃণমূল বিধায়ককে গুলিচালনার ঘটনায় অবশেষে গ্রেপ্তার তৃণমূল কৃষকনেতা

জয়নগরে তৃণমূল বিধায়ককে গুলিচালনার ঘটনায় অবশেষে গ্রেপ্তার তৃণমূল কৃষকনেতা

চাঞ্চল্য বাড়িয়ে অবশেষে পুলিশের খপ্পরে পড়ল আবদুল কায়েম মোল্লা। জয়নগরের তৃণমূল জয়হিন্দ শাখার টাউন সভাপতি সরফুদ্দিনসহ তিনজনকে খুনের ঘটনার অন্যতম এই অভিযুক্তকে পুলিশ ডায়মন্ডহারবার রোডের ঠাকুরপুকুর ৩এ বাস টার্মিনাস সংলগ্ন একটি হোটেল থেকে রবিবার গভীর রাতে গ্রেফতার করেছে।

সরফুদ্দিন হত্যাকান্ডে মূলচক্রীদের অন্যতম ছিল এই আবদুল। সে সুপারি কিলারকে মোটা টাকা এবং আগ্নেয়াস্ত্র দুটোই দিয়েছিল। এমনটাই দাবী পুলিশের। এই নিয়ে সরফুদ্দিন হত্যাকান্ডে মোট ১৬ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। গতকাল বারুইপুর আদালতে তাকে তোলা হলে বিচারক তাকে সাতদিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

তদন্তকারীদের সূত্র থেকে জানা গিয়েছে,ধৃত ব্যক্তি জয়নগর-২ এর প্রাক্তন আইএনটিটিইউসির সভাপতি ছিল। তার স্ত্রী ফুটিগোদা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য। বহুদিন ধরেই এই সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতের প্রধান কে হবে তা নিয়ে বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস ঘনিষ্ঠ যুব শিবিরের সরফুদ্দিনের সঙ্গে দলের মূল সংগঠন গৌর সরকারের অনুগত আবদুল কায়েমের মনোমালিন্য চলছিল।

তবে স্থানীয় সূত্রের দাবী, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকেই প্রার্থী দেওয়াকে কেন্দ্র করে গৌর সরকার গোষ্ঠীর সঙ্গে বিশ্বনাথ দাসের দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছিল। তবে সরফুদ্দিনের দাপটের সঙ্গে পেরে উঠছিল না গৌর সরকার শিবির। ফলত নির্বাচন পরবর্তীকালেও একাধিক পঞ্চায়েতের প্রধান এবং সেখানকার অন্যান্য পদাধিকারীরা কাকে সমর্থন করবেন সেটা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে আরো গন্ডোগোল বেড়ে যায়।

পাশাপাশি গোটা পঞ্চায়েত এলাকা সরফুদ্দিনের আওতায় চলে যাওয়ায় অপরপক্ষের সঙ্গে শত্রুতা আরো মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। এরপর ছক কষা হয় সরফুদ্দিনকে সরিয়ে দেওয়ার। খুনের প্রায় মাসখানেক আগেই উক্ত পরিকল্পনা নিয়ে আবু কাহার ওরফে বাবুয়া,আবদুল কায়েম ছট্টুর বাড়িয়ে বৈঠক করে। সেই বৈঠকে ছট্টুর দাদা শাজামলসহ আরো পাঁচজন ছিল। বৈঠকে স্থির হয় সরফুলকে হটানোর জন্য সুপারি কিলার এবং আগ্নেয়াস্ত্র সহ যাবতীয় খরচের দায়িত্ব নেবে আবদুল। এই প্ল্যানমাফিকই সরফুলকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পুলিশি সূত্র থেকে আরো জানা গিয়েছে,সরফুল খুনের পর আবদুল গা ঢাকা দেয়। জয়নগর থেকে পালিয়ে কোলকাতার বেগবাগানে এক আত্মীয়ের বাড়িতো আশ্রয় নেয় সে। কিছুদিন পর সেখান থেকে বসিরহাট হয়ে বাংলাদেশ পালিয়ে যাওয়ার প্ল্যান ছিল তার। ওদিকে বারুইপুর এসওজি, জয়নগর থানা এবং সিআইডি যৌথভাবে আবদুলকে খুঁজছিল।

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ঠাকুরপুকুরের এক হোটেল থেকে রবিবার গভীর রাতে আবদুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওদিনই হোটেল থেকে বাংলাদেশ যাওয়ার জন্য একটি চক্রের সঙ্গে যোগাযোগ করছিল সে। কিন্তু তার আগেই পুলিশ ধরে ফেলে তাকে। আপাতত বারুইপুর আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ৭ দিনের পুলিশে হেফাজতে রয়েছে সরফুদ্দিন হত্যাকান্ডের অন্যতম অভিযুক্ত আবদুল কায়েম মোল্লা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!