এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > করোনা আবহে বড়সড় সিদ্ধান্ত সৌরভ-জয় শাহের! একযোগে ছেঁটে ফেললেন ১১ প্রভাবশালীকে! তুমুল জল্পনা

করোনা আবহে বড়সড় সিদ্ধান্ত সৌরভ-জয় শাহের! একযোগে ছেঁটে ফেললেন ১১ প্রভাবশালীকে! তুমুল জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- করোনা সংক্রমণ যেমন হঠাৎ করে বদলে দিয়েছিল গোটা বিশ্বের অবস্থাকে, তেমনই এর কার্যকারণ গুলিও বদলে দিচ্ছে মানুষের বোঝার ক্ষমতাকে। বর্তমানে করোনার ফলস্বরূপ যদিও মানুষ জানত যে এক রকম প্রভাব পড়বে বিশ্বের সমস্ত ক্ষেত্রে, তবুও সে প্রভাবগুলি জানা সত্বেও মেনে নিতে ততটাই চমকিত হতে হচ্ছে মানুষকে। সম্প্রতি খেলার প্রসঙ্গে সামনে এসেছে ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমি সম্পর্কে কিছু খবর। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই তুমুল জল্পনা শুরু হয়েছে ক্রিকেটমহলে।

করোনা পরিস্থিতিতে আইপিএল সঞ্চালন থেকে শুরু করে প্রতিটি খেলোয়ারসহ খেলার সঙ্গে যুক্ত মানুষকে সুরক্ষিত রাখা যে কত বড় গুরুদায়িত্ব, তা বলাই বাহুল্য। তবে সেই দায়িত্ব সৌরভ গাঙ্গুলী বিসিসিআই কর্তা হিসেবে যথেষ্ট যোগ্যতার সঙ্গেই পালন করে চলেছেন। তবে ইতিমধ্যে জানা গেছে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি নিয়ে ফেলেছেন এনসিএর জন্য কিছু সিদ্ধান্ত। আর যাতে জানা গেছে ১১ জন কোচের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে বিসিসিআই। এরই সঙ্গে তাদের জানানো হয়েছে যে তাদের সঙ্গে চুক্তি নবীকরণ করা হবে না বিসিসিআইয়ের বোর্ডের তরফ থেকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যদিও কেন এত বড় পদক্ষেপ নিয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং সেই কারণ সম্পর্কে জানা না গেলেও এ প্রসঙ্গে উঠে এসেছে অনেক সম্ভাব্য কারণ। যাদের মধ্যে প্রথমেই বলতে হয়, করোনা ভাইরাসের জেরে গত মার্চ মাস থেকেই ভারতে বন্ধ রয়েছে ক্রিকেটের সমস্ত কার্যকলাপ। যার ফলে এবছর আমিরসহিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে আইপিএল। ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছিল পরবর্তী বছরের জন্যও হয়তো আইপিএল আমির্শাহিতেই অনুষ্ঠিত হতে পারে। শুধু তাই নয় আপাতত করোনা পরিস্থিতি যতদিন না সম্পূর্ণ ঠিক হয়, ততদিন সংযুক্ত আরব আমিরশাহীই হয়তো ভারতীয় দলের অন্যতম ঠিকানা হতে পারে। তাই ভাবা হচ্ছে, এই প্রসঙ্গে হয়তো ঘরোয়া ক্রিকেট চালু করার কথা ভাবছেন না সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।

অন্যদিকে ক্রিকেট বন্ধ রয়েছে। সেইসঙ্গে বন্ধ রয়েছে অনুশীলনও। ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমিতে বন্ধ রয়েছে সমস্ত কাজ। কোচরা যতদূর সম্ভব কনফারেন্স বা ওয়েবিনারের মাধ্যমে নিজেদের কাজ সম্পন্ন করছেন বলে জানা গেছে। এমন পরিস্থিতিতে এনসিএর ওই ১১ জন কোচের সঙ্গে যদি চুক্তি নবীকরণ করা হত তাহলে সেক্ষেত্রে তাদের বার্ষিক ৩০ থেকে ৫৫ লক্ষ টাকা দিতে হত ক্লাবকে। বর্তমান পরিস্থিতিতে আইপিএল অনুষ্ঠিত হওয়া নিয়ে যেখানে স্পন্সরশীপের এত সমস্যা দেখা গেছে, উপরন্তু সমস্যাতে জর্জরিত দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার কথা ভেবে কেউই আর বিনিয়োগ করতে চাননি স্পন্সরশীপের জায়গায়। সেখানে এমন পরিস্থিতিতে খেলা বন্ধ থাকার সত্বেও এইক্ষেত্রে এতগুলো টাকা ইনভেস্ট করাও যে খুব একটা সুবিধার হবে না সেটাই হয়তো মনে করেছেন সৌরভ গাঙ্গুলী, এমনটাই মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।

অন্যদিকে ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমির যে ১১ জনকে ছাঁটাই করা হয়েছে তাদের মধ্যে পাঁচজন হচ্ছেন রমেশ পাওয়ার, শিবসুন্দর দাস, হৃষিকেশ কানিতকার, সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুজিত সোমসুন্দর। এরা প্রত্যেকেই ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন বলে জানা যায়। তবে এরা প্রত্যেকেই বিসিসিআইয়ের এমন পদক্ষেপের জন্য বেশ বিস্মিত হয়ে গেছেন বলেই বোঝা গেছে। শুধু তাই নয়, ভারতীয় ক্রিকেটের কিংবদন্তি তারকা রাহুল দ্রাবিড়ের তরফ থেকে এদের প্রত্যেকের ফোন করে দুঃসংবাদ জানানো হয়েছে বলে জানা যায়। যদিও এই সিদ্ধান্তের কারণ হিসাবে তাঁর কাছ থেকেও কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি। তবে এই পরিস্থিতিতে সমস্ত ক্রিকেট প্রেমীদের মনেই তৈরি হয়েছে তীব্র উত্তেজনা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!