এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ধুপগুড়িতে বিজেপিকে হারাতে প্রশাসনিক চক্রান্ত মমতার? ভোটের আগেই বাজিমাত পদ্মের!

ধুপগুড়িতে বিজেপিকে হারাতে প্রশাসনিক চক্রান্ত মমতার? ভোটের আগেই বাজিমাত পদ্মের!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-মঙ্গলবার ধুপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। এমনিতেই এখানে বিজেপির শক্ত ঘাঁটি। তৃণমূল চেষ্টা করছে, এই কেন্দ্রে জয় পাওয়ার। কিন্তু সেই চেষ্টায় কতটা সাফল্য আসবে, সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। আর এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন হলেও, স্থানীয় প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে ভোটের আগের রাতে বিজেপির ফ্লেক্স, ফেস্টুন খুলে নেওয়াকে কেন্দ্র করে অশান্তি শুরু হয়ে গেল ধুপগুড়িতে। তবে স্থানীয় প্রশাসনকে দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে বোকা বানিয়ে তৃণমূল এই চেষ্টা করলেও, বিজেপি কর্মীরা প্রতিরোধ করে বুঝিয়ে দিলো, এবার চোখে চোখ রেখে লড়াই হবে।

প্রসঙ্গত, এদিন ধুপগুড়িতে বিজেপির অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে থেকে দলের ফ্লেক্স, ফেস্টুন এবং পতাকা খুলে নেওয়া হয়। যেখানে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে প্রশাসনিক আধিকারিকরা এসে এই ফ্লেক্স, ফেস্টুন খুলে নেন। আর তাতেই প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা। তাদের দাবি, তৃণমূলের একাধিক ফ্লেক্স, ফেস্টুন থাকলেও তার খোলা হচ্ছে না। কমিশনের আধিকারিক হিসেবে এসে তৃণমূলের দলদাসরা এই সমস্ত কাজ করছেন। নির্বাচন কমিশনকে বোকা বানিয়ে তৃণমূল সরকারি আধিকারিকদের দিয়ে এই কাজ করাচ্ছে। আর তারই প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিজেপি কর্মীরা। অনেকে বলছেন, ক্ষমতা দখল করতে না পেরে শেষ মুহূর্তে অশান্তি পাকিয়ে পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করার চেষ্টা করবে তৃণমূল।

বলা বাহুল্য, ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, ধুপগুড়িতে ভোটে অশান্তি করার সবরকম চেষ্টা শুরু করেছে রাজ্যের শাসক দল। তবে যে নিরাপত্তা এবং সিসিটিভির বন্দোবস্ত করা হয়েছে, তাতে তৃণমূল খুব একটা সুবিধা করতে পারবে না। তবে শুভেন্দু অধিকারীর আশংকা যে খুব একটা অমূলক নয়, তা ভোটের আগের রাতেই স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে একতরফাভাবে বিজেপির ফ্লেক্স, ফেস্টুন খুলে নেওয়ার ঘটনাতে স্পষ্ট হয়ে গেল। পাশাপাশি এটাও স্পষ্ট হয়ে গেল যে, বিজেপি কর্মীরা আগেকার মতো চুপচাপ মুখ বুঝে সহ্য করার পর্যায়ে নেই। যদি অন্যায় হয়, তাহলে তারা প্রশাসনিক শক্তির বিরুদ্ধেও মাঠে ময়দানে চোখে চোখ রেখে আওয়াজ তুলতে সক্ষম।

পর্যবেক্ষকদের মতে, ধুপগুড়ির এই বিধানসভা উপনির্বাচনে যদি তৃণমূল হেরেও যায়, তাও রাজ্যের ক্ষমতা থেকে তারা চলে যাবে না। কিন্তু সব জায়গাতেই জিততে হবে রাজ্যের শাসকদলকে। ক্ষমতা পাওয়ার তাদের এক অদ্ভুত নেশা। আর সেই নেশায় ডুবে গিয়েই হয়তো বা ভোটের আগের রাতে প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে বিক্ষিপ্ত অশান্তিতে নামার চেষ্টা। যার ফলে অনেকে আশঙ্কা করছেন যে, শেষ পর্যন্ত ক্ষমতার নেশায় বুদ হয়ে ভোটের দিন ধুপগুড়িতে বড়সড় কোনো ঘটনা ঘটিয়ে দেবেন না তো রাজনীতির কারবারিরা! অনেকে বলছেন, প্রশাসনিক চক্রান্ত যে একটা রয়েছে, তা তো জলের মতো পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। তবে সেই চক্রান্তের প্রতিরোধ যে বিজেপি কর্মীরাও করতে জানে, সেটাও স্পষ্ট। তবে এতসবের মধ্যেও ধুপগুড়ির ভোট হোক শান্তিপূর্ণ, নির্ঝঞ্জাট, তেমনটাই চাইছেন স্থানীয় জনসাধারণ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!