মমতার খেলা শেষ, তৃনমূলের ঘরে আগুন ধরালেন স্বয়ং পিকে! আহ্লাদিত বিজেপি! জাতীয় তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য September 5, 2023 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-“এক দেশ এক ভোট” নিয়মকে লাগু করতে রীতিমত ময়দানে নেমে পড়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। ইতিমধ্যেই কমিটি গঠন করে সকলের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। তবে বিরোধীদের পক্ষ থেকে তৈরি করা ইন্ডিয়া জোট অবশ্য সর্বাত্মকভাবে এর বিরোধিতা করছে। যে জোটে নেতৃত্বদের মধ্যে রয়েছেন তৃণমূল নেত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী যখন এই “এক দেশ এক ভোট” এর বিরোধিতা করছেন, তখন তাকে চরম অস্বস্তিতে ফেলে দিলেন বিশিষ্ট রাজনৈতিক পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোর। মূলত, এই প্রশান্ত কিশোরের রণকৌশলেই ২০২১ এ পশ্চিমবঙ্গের তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল বলে বিভিন্ন পক্ষ থেকে দাবি করা হয়। ফলে সেই প্রশান্ত কিশোর এক দেশ এক ভোটের নীতিকে নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে সমর্থন করায় তৃণমূলের ঘরে অগ্নিদাহের যন্ত্রণা তৈরি হয়েছে বলেই মনে করছেন একাংশ। প্রসঙ্গত, এদিন এক দেশ এক ভোটের বিষয়টি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেননি ঠিকই। তবে একসাথে সমস্ত ভোট হলে যে তা দেশ, সমাজ এবং রাজনীতি, অর্থনীতির পক্ষে অত্যন্ত লাভবান, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। তার দাবি, বছরে বারবার নয়। এক বা দুবার সমস্ত ভোট একসাথে হলে রাজনীতি, অর্থনীতি এবং সমাজ উন্নতিতে পৌঁছে যাবে। আর যে প্রশান্ত কিশোর ২০২১ এ তৃণমূলের জয়ের পেছনে মূল অবদান রাখেন, তার এই মন্তব্য ইন্ডিয়া জোটে থাকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বেকায়দায় ফেলে দিল বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। তাদের মতে, বর্তমানে এখনও তৃণমূলের অন্দরমহলে কান পাতলে শোনা যায় এই পিকের টিমকে দিয়েই বিভিন্ন জায়গায় সার্ভে করার কাজ করছে তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকি প্রশান্ত কিশোরের ফর্মুলাতেই দল পরিচালনা করার চেষ্টা করছে বর্তমান তৃণমূল নেতৃত্ব। ফলে সেই প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক যাই থাক না কেন, যেভাবে তিনি “এক দেশ এক ভোট” কে সমর্থন করেছেন, তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘরে, বাইরে চাপে পড়ে গেলেন। কেননা প্রশান্ত কিশোরের “এক দেশ এক ভোট” সমর্থন বিজেপিকে বাড়তি মাইলেজ জুগিয়ে দেবে। ফলে ইন্ডিয়া জোটে থেকে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পারবেন প্রশান্ত কিশোরের এই বক্তব্যকে সমর্থন করতে, না পারবেন “এক দেশ এক ভোট” এর এই নীতিকে সমর্থন করতে। ফলে প্রশান্ত কিশোর যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই ইস্যুতে দম বন্ধ কর পরিস্থিতির জায়গায় নিয়ে চলে গেলেন, তাতে নিশ্চিত বিরোধীরা। তবে প্রশান্ত কিশোর “এক দেশ এক ভোট” নিয়ে যাই বলুন না কেন, তাতে বিচলিত নয় তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের দাবি, প্রশান্ত কিশোর একটি কোম্পানি চালান। রাজনৈতিক পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করেন তিনি। সুতরাং তার বক্তব্যের সঙ্গে তৃণমূলের বক্তব্যের কোনো মিল নেই। তাই তিনি কি বললেন, তা নিয়ে বিচলিত নয় তৃণমূল কংগ্রেস। তবে এখন ড্যামেজ কন্ট্রোলের জন্য ঘাসফুল এতকিছু বললেও, মোদির সিদ্ধান্ত যে পিকেও পছন্দ করছেন, তা স্পষ্ট। আর এসব দেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ব্যাপক চাপে পড়েছেন, তা নিয়ে আহ্লাদিত পদ্ম শিবিরও। অন্তত তেমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। আপনার মতামত জানান -