কাছাকাছি কংগ্রেস-তৃণমূল, আবার জোটের মুখ মমতা! ভোটের আগে ঘাসফুল পরিবারে ক্রমশ বাড়ছে আশার আলো কংগ্রেস জাতীয় তৃণমূল রাজনীতি August 29, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে দেশের অবিজেপি মুখ্যমন্ত্রীরা এবং কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী একজোট হয়ে ভার্চুয়াল মিটিং করেছেন এবং এই মিটিংয়েই চোখে পরে সোনিয়া গান্ধী এবং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির হৃদ্যতা। আর তারপর থেকেই জোরদার আলোচনা চলছে রাজনৈতিক মহলে। প্রশ্ন উঠেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা বুধবারের ভার্চুয়াল বৈঠক কি কোন নতুন রাজনৈতিক সমীকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে? দু’জনে একে অন্যের রাজনৈতিক গুরুত্বকে যেভাবে সম্মান দিচ্ছেন, তাতে কোনো কোনো মহল বাংলার বাম-কংগ্রেস জোট নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করছেন। অন্যদিকে শুক্রবার জেইই এবং নিট পিছোনোর দাবিতে যে ভার্চুয়াল বৈঠক হয় সে ব্যাপারে সাংবাদিক বৈঠকে মুখোমুখি হন সমস্ত বিরোধী শিবির। আর সেখানেই তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতার ডেরেক ও’ব্রায়েন আগামী দিনে সাধারণ মানুষের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরতে এবার থেকে বিরোধীরা এক সুরে যে কথা বলবে, তার ইঙ্গিত দেন। বুধবারে ভার্চুয়াল বৈঠকে কংগ্রেসের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে, ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেনসহ অনেকে। প্রত্যেকেই কেন্দ্রীয় সরকারের অভিন্ন জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার বিরুদ্ধে কথা বলেন আর সেখান থেকেই স্পষ্ট, এবার থেকে জোটবদ্ধভাবেই কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে এককাট্টা হয়ে বিরোধিতা শুরু হলো। ভার্চুয়াল বৈঠকে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা ছাড়াও রাজ্যগুলিকে কেন্দ্র জিএসটি বঞ্চনা করছে বলেও রাজ্যগুলি আওয়াজ তুলেছে। কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে কোণঠাসা করেছে অবিজেপি রাজ্যগুলিকে আর্থিকভাবে, তা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তাই মনে করা হচ্ছে, আগামী দিনে রাজনৈতিক দূরত্বকে পাশে সরিয়ে সমস্ত বিরোধী শিবির একজোট হয়ে এবার কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে। অন্যদিকে ডেরেক ও ব্রায়নের সুরে সুর মিলিয়ে কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভিও এদিন জানান জেইই এবং নিটের প্রসঙ্গ আগামী দিনে যখন সংসদে উঠবে, তখন একসঙ্গেই সরকারের কাছে জবাবদিহি চাইবেন তাঁরা। পরীক্ষা পিছিয়ে দিতে দিল্লি, উড়িষ্যার মত রাজ্যগুলিও যে একমত হবেন সে ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছেন ডেরেক ও’ব্রায়েন। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে,সম্প্রতি জয়েন এন্ট্রান্স পরীক্ষা এবং জিএসটি সংক্রান্ত অভিযোগ নিয়ে বিরোধীদের যে প্রবল সাঁড়াশি আক্রমণের মুখে পড়তে হলো কেন্দ্রীয় সরকারকে, তাতে বোঝাই যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারকে কোণঠাসা করতে এই মুহূর্তে সমস্ত বিরোধী দলগুলি একজোট হচ্ছে ধীরে ধীরে। রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, আবারো কি ভারতের অবিজেপি মুখ্যমন্ত্রীরা জোট বাঁদতে চলেছেন? সেক্ষেত্রে মমতা আর সনিয়ার হৃদ্যতা কি কোনো উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করবে ? আপনার মতামত জানান -