এডিজিকে জানিয়েও বাঁচানো গেল না দুলালকে, আক্ষেপ কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র জাতীয় রাজ্য June 4, 2018 বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক এবং পশ্চিমবঙ্গে দলের পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয় শুক্রবার রাতেই এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) অনুজ শর্মাকে জানিয়েছিলেন তাঁর দলের সদস্য দুলাল কুমারের প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। আর তারপর দিনই বিদ্যুত্ বিতরণ সংস্থার পোলের সঙ্গে ওই যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হলো। এই ঘটনায় স্বভাবতই ভারাক্রান্ত বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় বললেন, ” উনি (অনুজ শর্মা) বলেছিলেন পুলিশ পূর্ণ শক্তি দিয়ে (ওই যুবককে রক্ষা করার) চেষ্টা করবে। আমি নিজেও চেষ্টা করব। কিন্তু এডিজি চেষ্টা করা সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়ায় দুলালের দেহ ঝুলছে।” আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে পাশাপাশি তিনি সোস্যাল মিডিয়ায় দাবি করে বললেন, “দুলাল নাকি অত্মহত্যা করেছে, তা প্রমাণ করার চেষ্টা করছে স্থানীয় পুলিশ। এটা পুলিশ এবং তৃণমূলের গুণ্ডাদের ষড়যন্ত্র। পাঁচ চিকিত্সকের দল দুলালের দেহের ময়নাতদন্ত করুক। ওই ময়নাতদন্তের ভিডিওগ্রাফ আদালতে পেশ করা হোক।” শুধুমাত্র কৈলাশই নন, দুলাল কুমারের ঝুলন্ত দেহের ছবি ও খবর প্রকাশ্যে আসার পর টুইটারে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি এদিন ট্যুইটে ব্যক্তিগত অসন্তোষ প্রকাশ করে লিখলেন, “পশ্চিমবঙ্গের বলরামপুরে বিজেপি কর্মী দুলাল কুমারের খুনের ঘটনায় মানসিক যন্ত্রনা অনুভব করছি। বাংলার মাটিতে এই হিংস্রতা এবং হানাহানি লজ্জাজনক এবং অমানবিক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে ব্যর্থ। ঈশ্বর দুলালের পরিবারকে শক্তি দিক।” ঘটনার দিন কলকাতার উপস্থিত ছিলেন বিজেপির মুখপাত্র তথা কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ণ মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকার। এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বললেন , ”এটি অবশ্যই রাজনৈতিক খুন। এরাজ্যে গণতন্ত্র বিপন্ন। পঞ্চায়েত নির্বাচনেও কী হয়েছে আপনারা দেখেছেন। এর খেকে আর বেশি কী আশা করা যায়।” আপনার মতামত জানান -