এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > মামলায় জড়িয়ে থাকা বিধায়ক ও সাংসদদের বিরুদ্ধে এবার দ্রুত ও কঠোর পদক্ষেপ নিতে চলেছে আদালত

মামলায় জড়িয়ে থাকা বিধায়ক ও সাংসদদের বিরুদ্ধে এবার দ্রুত ও কঠোর পদক্ষেপ নিতে চলেছে আদালত


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজনীতি মহলের একটি প্রচলিত কথা হলো, বিধায়ক হোক, বা সাংসদ কোনক্রমে একবার জনপ্রতিনিধি হতে পারলেই আইনের হাত থেকে অনেকটা রেহাই পাওয়া যায়। নিজের রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নিজের বিরুদ্ধে থাকা সমস্ত মামলার গতি রুদ্ধ করে দেন জনপ্রতিনিধিরা। এ কারণে ফৌজদারি হোক বা আর্থিক দুর্নীতি হোক, বা অন্য কোন অভিযোগে অভিযুক্ত সাংসদ, বিধায়করা মামলা থেকে রেহাই পেয়ে যান, মামলা অত্যন্ত দীর্ঘসূত্র হয়ে যাবার কারণে। সম্প্রতি এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল।

সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ করা হয়েছিল যে, দেশের বিভিন্ন দাগি বিধায়ক ও সাংসদদের বিরুদ্ধে যে সমস্ত মামলা রয়েছে, সেগুলোর গতি রোধ করে দেওয়া হয়েছে। নিজেদের রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে একাজ করেছেন জনপ্রতিনিধিরা। সুপ্রিম কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে সেই মামলা গ্রহণ করেছিল। এরপর সমস্ত রাজ্যের হাইকোর্টের সাংসদ ও বিধায়কদের বিরুদ্ধে থাকা মামলাগুলি কি অবস্থায় রয়েছে? তার খোঁজ নিতে শুরু করে সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট। যেখানে দেখা যায়, এমন ধরনের বহু মামলা পড়ে আছে, দীর্ঘকাল ধরে যার কোন নিষ্পত্তি হচ্ছে না। বিশেষ করে রাজ্যের রেজিস্টার জেনারেলের রিপোর্টে দেখা যায় যে, এই ধরনের ২০০ থেকে ৩০০ টি মামলা বিশেষ আদালতে পড়ে আছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত, একটাসময় রাজ্যের সাংসদ ও বিধায়কদের বিরুদ্ধে থাকা মামলাগুলির নিষ্পত্তি করা হতো বারাসাত আদালতে। পরবর্তীকালে বিধাননগরের চলে আসে এই বিশেষ আদালত। কিন্তু, এখনও দেখা যাচ্ছে যে, বহু মামলা আটকে পড়ে আছে। রেজিস্টার জেনারেলের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে যে, বারাসত আদালতে এখনো বহু মামলার নথি, তথ্য পড়ে আছে। যেগুলো এখনও বিধাননগরের আদালতে আনা হয়নি কোন বিশেষ কারণে। এ বিষয়টি লক্ষ্য করে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের ডিভিশন বেঞ্চ এর পক্ষ থেকে।

এরপর, আগামী ৪ ঠা আগস্ট সময়ের মধ্যে এই ধরনের সমস্ত মামলার সমস্ত রিপোর্ট ও নথি বিধাননগর আদালতে পাঠিয়ে দেবার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে এই মামলাগুলির যাতে দ্রুত শুনানি হয়, তার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয় এই ধরনের কতগুলো মামলা রয়েছে আদালতে, তা জানাবার নির্দেশ দেয়া হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন এজেন্সি ও কেন্দ্রের এজেন্সিগুলিকে। যার সময়সীমা হলো আগামী ৪ ঠা আগস্ট। এরমধ্যেই তা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আদালতের এই পদক্ষেপে যথেষ্ট বিপাকে পড়তে চলেছেন রাজ্যের দাগি বিধায়ক ও সাংসদেরা, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!