এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ত্রিপুরায় কি এবার লড়াই তৃণমূল ও বিজেপির? কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

ত্রিপুরায় কি এবার লড়াই তৃণমূল ও বিজেপির? কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই বিভিন্ন রাজ্যে তৃণমূল সংগঠন বানানোর সূত্রে ত্রিপুরার দিকে নজর দিয়েছে। আর এই সংগঠন বাড়ানোর নেতৃত্বে রয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিগত কয়েকদিন যাবত ত্রিপুরায় দেখা যাচ্ছে ব্যাপক রাজনৈতিক চাপানউতোর। আর এই চাপান-উতোরের কেন্দ্রে রয়েছে যথারীতি তৃণমূল এবং বিজেপি। 2023 সালে ত্রিপুরায় হতে চলেছে বিধানসভা নির্বাচন। আর তার আগেই ত্রিপুরার জমি শক্ত করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে তৃণমূল। ত্রিপুরা জুড়ে যেভাবে তৃণমূল তৎপর হয়ে উঠেছে তা দেখে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

কার্যত গোটা ত্রিপুরা জুড়ে গত কয়েক দিনের ছবি মোটামুটি একরকম। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বারবার ত্রিপুরা যাত্রা, তৃণমূল নেতাকর্মীদের ওপর একের পর এক হামলা সমস্ত ঘটনাপ্রবাহ বুঝিয়ে দিচ্ছে তৃণমূলের লক্ষ্য এই মুহূর্তে ত্রিপুরায় শক্তি বাড়ানো। আর সেক্ষেত্রে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের জয়ের সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেননা বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে বিজেপি অবশ্য বারবার বলছে, তৃণমূলের কোন সংগঠন নেই ত্রিপুরায়। সেক্ষেত্রে তাঁদের ত্রিপুরা জয়ের স্বপ্ন অধরাই থেকে যাবে। তবে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের বক্তব্যের মধ্যে দিয়েই কিন্তু বোঝা যাচ্ছে যে  ধীরে ধীরে গুরুত্ব বাড়াচ্ছে তৃণমূল ত্রিপুরায়। রবিবার দিনভর ত্রিপুরায় কার্যত তৃণমূল আলোচনার শীর্ষে রইল।

একাধিক হেভিওয়েট নেতা সহ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ত্রিপুরা থানায় বসে তর্ক-বিতর্ক এবং এরপর দেবাংশু ভট্টাচার্য, জয়া দত্তদের জামিনে ছাড়িয়ে নিয়ে আসা পুরোটার সাক্ষী রইল সারা ভারত মিডিয়ার মাধ্যমে। আর স্বাভাবিকভাবেই কার্যত বিজেপির কপালে যা চিন্তার ভাঁজ বাড়ালো বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব টুইটারে জানিয়েছেন, নাম না করে কিছু দল ত্রিপুরায় সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা চালালেও তাঁরা উন্নয়নের নিরিখে ত্রিপুরা থেকে পিছিয়ে। আর বিপ্লব দেবের এই টুইটেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে তৃণমূল ত্রিপুরায় সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, ত্রিপুরায় তৃণমূল ইতিমধ্যেই সক্রিয় হয়ে উঠেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্য দল থেকে ক্রমাগত তৃণমূলে নাম লেখানো চলছে। ত্রিপুরায় এই মুহূর্তে বিজেপি বিরোধী দল হিসেবে কিইয়ন্তু খুব কম সময়ের মধ্যে উঠে এসেছে তৃণমূল। একের পর এক তৃণমূল নেতা এ রাজ্য থেকে ত্রিপুরা যাচ্ছেন। প্রায় সময়ই তাঁরা অভিযোগ করছেন, তাঁদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে বলে। যদিও তাতে তৃণমূল থামছেনা বলেই জানা যাচ্ছে।  এর আগে আইপ্যাকের কর্মীরাও ত্রিপুরায় গিয়ে নজর বন্দী হয়েছিলেন। আর এই সবকিছু দেখে ক্রমাগত ত্রিপুরায় তৃণমূলের উত্থান স্পষ্ট হচ্ছে।

আর সেক্ষেত্রে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করছেন তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। সবেমাত্র দুবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরায় পা দিয়েছেন। কিন্তু তাতেই তিনি নিজের ওজন বুঝিয়ে দিয়েছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। অন্যদিকে ত্রিপুরায় কিন্তু তৃণমূলের পাশে বামেরাও এবার এসে দাঁড়িয়েছে। এমনকি আগামীদিনে তৃণমূলের সঙ্গে বামেদের জোট সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেননি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। আর সেক্ষেত্রে বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব যে চাপে পড়বেন তা অনস্বীকার্য।

রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন, যেভাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূলের যুব নেতাদের ওপর হামলা হলো, এমনকি গ্রেফতার করা হলো তাঁদের তাতে কিন্তু তৃণমূলকে কোণঠাসা করার বদলে বরং আরো বেশি তৃণমূলকে রাজনৈতিক জায়গা ছেড়ে দেওয়া হল।তবে যাবতীয় ঘটনার পেছনে বিজেপির অভিযুক্ত থাকার অভিযোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। সব মিলিয়ে ত্রিপুরার রাজনৈতিক পরিস্থিতি এই মুহূর্তে জমজমাট। কার্যত যেভাবে বিভিন্ন ঘটনার সূত্রে ত্রিপুরায় তৃণমূল প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে তাতে বিজেপির ওপর চাপ বাড়ছে। বিভিন্ন ঘটনাপ্রবাহ দেখে এখনই বলে দেওয়া যায় যে আগামী দিনে ত্রিপুরায় তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে চাপানউতোর আরো বৃদ্ধি পাবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!