এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > খোল বাজিয়ে মহানন্দে রাম ভজনায় শুভেন্দু অধিকারী! বঙ্গ রাজনীতিতে নতুন জল্পনার ঢেউ!

খোল বাজিয়ে মহানন্দে রাম ভজনায় শুভেন্দু অধিকারী! বঙ্গ রাজনীতিতে নতুন জল্পনার ঢেউ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রামের আরাধনায় সব সময় মশগুল থাকে ভারতীয় জনতা পার্টি। সহসা তৃণমূলের কেউ কথায় কথায় জয় শ্রীরাম স্লোগান দেয় না। একসময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যারাকপুরে যাওয়ার সময় তাকে কেন্দ্র করে জয় শ্রীরাম স্লোগান দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেছিলেন, “এই ক্রিমিনাল, কে গালাগালি দিলি! সাহস থাকলে সামনে আয়।” স্বভাবতই তখন থেকেই জল্পনা তৈরি হয়েছিল, তাহলে কি রাম নামে বিরক্তি রয়েছে তৃণমূলের?

তাৎপর্যপূর্ণভাবে এরপর যখনই তৃণমূলের কোনো নেতাকে রাম ভক্ত হতে দেখা গেছে বা তৃণমূলের কোনো কর্মীকে জয় শ্রীরাম স্লোগান দিতে দেখা গেছে, তখনই রাজনীতিতে তাদের দলবদলের জল্পনা উঠেছে। কিন্তু এবার আশ্চর্যজনকভাবে তৃণমূলের কোনো নিচু স্তরের কর্মী বা নেতা নয়। সরাসরি রামভজনায় মেতে উঠতে দেখা গেল রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে।

জানা গেছে, সম্প্রতি একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, একটানা খোল বাজিয়ে রামনাম করছেন শুভেন্দু অধিকারী। স্বভাবতই রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত পূর্ব মেদিনীপুরের সম্রাট শুভেন্দু অধিকারীর মুখ থেকে রামের ভজন শুনতে পাওয়ায় রাজনৈতিক মহলে জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে। সাম্প্রতিককালে সাংগঠনিক বৈঠক শুভেন্দু অধিকারীকে দলের রাজ্য সভাপতি করা হোক বলে দাবি জানিয়েছিলেন তার অনুগামীরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু শেষ পর্যন্ত সুব্রত বক্সীর উপরেই ভরসা রেখে শুধুমাত্র কোর কমিটির সদস্য করে শুভেন্দু অধিকারীর হাত থেকে বিভিন্ন জেলা কেড়ে নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পর্যবেক্ষক পদ তুলে দিয়ে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেই তিনি দলের দায়িত্ব দিতে চাইছেন। স্বাভাবিকভাবেই এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের মনে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়। শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীরা নানা জল্পনা সূচক মন্তব্য করতে শুরু করেন।

যার পরে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন বলে গুঞ্জন তৈরি হয়। আর এবার রামনামের ভজনা করে শুভেন্দু অধিকারী কি সেই গুঞ্জনেই সীলমোহর দিলেন? একাংশ বলছেন, সেই বিগত বাম আমল থেকে নন্দীগ্রামে লড়াই করে যেখানে যেখানে তৃণমূল বিপদে পড়েছে, সেখানে সেখানে মুশকিল আসানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু এর পরেও তাকে সেই ভাবে দলের দায়িত্বে বসানো হয়নি। সাংগঠনিক বৈঠকের পর তাকে কোনো পদ না দেওয়া হলেও শুভেন্দুবাবু কার্যত নীরব রয়েছেন।

আর তার এই নীরবতা চিন্তিত করে তুলেছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। তাহলে কি শুভেন্দু অধিকারীর দলবদলের সিদ্ধান্ত কার্যত পাকা? এদিকে এই প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, “শুভেন্দু অধিকারী কি করবেন সেটা সম্পূর্ণ তাঁর ব্যাপার! কিন্তু, সাধারণত দেখা যায় কোনো হেভিওয়েট নেতা দলদবদল করতে চাইলে, সাধারণত সাধারণ নির্বাচনের আগেই করে থাকেন। কারণ সেই সময়ে নির্বাচন কমিশন সমস্ত দিক সামলাবে। লোকসভা নির্বাচনের আগেও সেই চিত্রই দেখা গিয়েছিল বাংলায়।” সব মিলিয়ে এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, কোন দিকে যায় শুভেন্দু অধিকারী রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!