কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালানোর ঘটনায় এবার বড়সড় পদক্ষেপ নির্বাচন কমিশনের উত্তরবঙ্গ রাজনীতি রাজ্য April 10, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যে চলছে চতুর্থ দফার বিধানসভা নির্বাচন। আর শুরুতেই এবারের নির্বাচনে রক্তাক্ত পরিবেশ দেখা গেল। কোচবিহারের শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে আজ 4 জন নিহত হয়েছেন। যারা মারা গিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে প্রত্যেকে তৃণমূলের সমর্থক বলে দাবি করা হয়েছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের শাসক দলের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তৃণমূল নেত্রী নিজে অভিযোগ করছেন বারংবার নির্বাচন কমিশন এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করছে বিজেপি রাজ্যের নির্বাচনে। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাছ থেকে অন্তর্বর্তীকালীন রিপোর্ট চেয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কমিশনকে রিপোর্ট দেয় পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে। জানানো হয়, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘিরে ধরার জন্য এবং তাঁদের বন্দুক কেড়ে নেওয়ার জন্য বাধ্য হয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালায়। অন্যদিকে শীতলকুচির ঘটনায় আজকে শিলিগুড়ির সভা থেকে যেমন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুঃখ প্রকাশ করেছেন ঠিক সেভাবে বীজপুরের জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - পাশাপাশি বিশেষ সূত্রে জানা যাচ্ছে, বিবেক দুবের বিশেষ রিপোর্টে নির্বাচন কমিশনের শীর্ষ আধিকারিকরা সন্তুষ্ট হননি। তাই অবিলম্বে শীতলকুচি বুথে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে। সেখানে ভোটগ্রহণ এই মুহূর্তে পুরোপুরি বন্ধ রাখার নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট কমিশন দাবি করেছে। একইসাথে কেন সরাসরি বুকে গুলি চালানো হলো, কেন উত্তেজিত জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করা গেলনা এত বিপুল পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা সত্ত্বেও তাই নিয়ে এবার পাল্টা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন বিরোধীরা। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পাওয়ার পর শীতলকুচি 125 নম্বর বুথে আবার কবে পুনর্নির্বাচন হবে, তা জানানো হবে। শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে ব্যাপক চাপান উতোর শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। তবে কমিশনের এত সাবধানতা সত্ত্বেও রাজ্যের ভোটে কিন্তু গন্ডগোল এড়ানো যাচ্ছেনা। সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন এখন যে পদক্ষেপ গ্রহণ করল, তাতে ঘটনার মোড় কোন দিকে যায় সেদিকে নজর থাকবে রাজ্যের ওয়াকিবহাল মহলের। আপনার মতামত জানান -