এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > কেন গুরুত্বপূর্ণ পদ হারালেন শিশির অধিকারী? উঠে আসছে নানা প্রশ্ন

কেন গুরুত্বপূর্ণ পদ হারালেন শিশির অধিকারী? উঠে আসছে নানা প্রশ্ন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূল ছেড়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। দলের একাধিক সভা থেকে শাসকদল তৃণমূলকে তীব্র কটাক্ষ ও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। অবিভক্ত মেদিনীপুর, পুরুলিয়াতে তৃণমূলকে খাতা খুলতে দেয়া হবে না বলে, হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। আর এই পরিস্থিতিতে দীঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারিত করা হলো শুভেন্দু অধিকারীর পিতা শিশির অধিকারীকে। শাসকদল তৃণমূলের এই পদক্ষেপে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

অনেকে প্রশ্ন করতে শুরু করেছেন যে, শুভেন্দু অধিকারীর উপর আক্রোশের কারনেই কি শিশির অধিকারীকে সরিয়ে দেয়া হলো দীঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে? ইতিপূর্বে, কাঁথি পুরসভার প্রশাসক পদ থেকে অপসারিত করা হয়েছিল সৌমেন্দু অধিকারীকে। এই ঘটনা নিয়েও উঠেছিল প্রশ্ন। দীঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান করা হলো অখিল গিরিকে। ভাইস-চেয়ারম্যান করা হলো তরুণ জানাকে।

অধিকারী পরিবারের বহুকালের বিরোধ অখিল গিরির। তাঁকেই গুরুত্বপূর্ণ পদে আনা হলো। এদিকে শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়ার পর অধিকারী পরিবারকে কটাক্ষ করতে দেখা গেছে তাঁকে। তিনি ও তাঁর পুত্র সুপ্রকাশ গিরি দুজনেই শুভেন্দু অধিকারীর প্রবল বিরোধী। দুজনকেই দেয়া হয়েছে বড়োসড়ো দায়িত্ব। দলে ক্রমশ প্রভাব বাড়ছে অখিল গিরির। অনেকে মনে করছেন, অখিল গিরিকেই করা হতে পারে দুই মেদিনীপুরের তৃণমূলের মুখ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে শিশির অধিকারীর অপসারণ সম্পর্কে অখিল গিরি জানালেন যে, দীঘা শঙ্করপুর ডেভেলপমেন্ট অথরিটির কাজ দীর্ঘদিন ধরে থমকে আছে। এই কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন না শিশির অধিকারী। এ কারণেই তাঁকে দল থেকে সরানো হলো। তিনি আরও জানিয়েছেন যে, শিশির অধিকারী দীর্ঘদিন ধরে পর্ষদের কোনো বৈঠক ডাকেন নি। কোন কাজ করেননি। তিনি সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ না করায় পর্ষদের বহু কাজ আটকে গিয়েছিল। তাই এই সিদ্ধান্তের মধ্যে কোন ব্যক্তিগত আক্রোশ নেই। শুভেন্দু অধিকারীর জন্য দল এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

দলের এই পদক্ষেপ সম্পর্কে তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ জানালেন যে, এটা একটা প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত। শিশির অধিকারী হলেন দলের একজন বর্ষীয়ান নেতা। এই বয়সে করোনা সংক্রমনের মধ্যে তাঁর পক্ষে ছোটাছুটি করা কঠিন হয়ে পড়ছে । তাই হয়তো এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। এভাবে, তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিষয়টিকে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত বলে সাফাই দিতে চাইলেও, তৃণমূলের এই পদক্ষেপের পেছনে মূল কারণ হচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। এমনটাই মনে করছেন একাধিক পর্যবেক্ষক।

অধিকারী পরিবারকে ধীরে ধীরে কোণঠাসা করে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। ইতিপূর্বে শুভেন্দু অধিকারী ও সৌমেন্দু অধিকারীর দল ছেড়ে দেবার পরও, তা নিয়ে কোনো বক্তব্য রাখেননি শিশির অধিকারী। যা নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন উঠেছিল। আজ তাঁর অপসারণ সম্পর্কে শিশির অধিকারী জানালেন যে, এ বিষয়ে তাঁর কিছু জানা নেই। তাই এর কোন প্রতিক্রিয়াও তিনি দিতে চান না।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!