এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > BREAKING – যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন রাজ্যের প্রাক্তন বিধায়ক!

BREAKING – যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন রাজ্যের প্রাক্তন বিধায়ক!

কথায় আছে, “শরীরের নাম মহাশয়, যা সওয়াবে তাই সয়।” তবে সবক্ষেত্রে হয়ত শরীরের অসুখের কাছে জয়লাভ করা সম্ভব হয় না। অনেক রোগে মানুষ উত্তীর্ণ হলেও কষ্টার্জিত রোগীর কাছে অনেককেই পরাজয় স্বীকার করতে হয়। আর তাইতো এবার দীর্ঘদিন দুরারোগ্য রোগে ভোগার পর, গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করলেন খড়গ্রামের প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক মানবেন্দ্রনাথ সাহা।

জানা যায়, গত 2012 সাল থেকেই প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগে ভুগছিলেন সিপিএমের এই প্রাক্তন বিধায়ক। সম্প্রতি তিনি তার রোগের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে শুক্রবার রাত 12:40 নাগাদ নিজের ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরিবার সূত্রের খবর, গত 10 দিন ধরে মানবেন্দ্রনাথবাবু তার এই রোগের কারণে প্রচণ্ড কষ্ট পাচ্ছিলেন। কিছুদিন আগে তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হলেও অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। কথা ছিল, শনিবার তাকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হবে।

শুক্রবার রাত বারোটা কুড়ি পর্যন্ত প্রাক্তন বিধায়কের ঘরেই তার পরিবারের সকলে উপস্থিত ছিলেন। তবে পরিবারের সদস্যরা ঘুমিয়ে পড়ার সাথে সাথেই বিধায়ক রোগের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেন বলে খবর। এদিকে সিপিএমের এই হেভিওয়েট নেতার মৃত্যুতে শোকের আবহে ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকায়। এদিন নিহত সিপিএমের এই প্রাক্তন বিধায়কের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে যেমন বাম নেতৃত্বদের দেখা যায়, ঠিক তেমনই উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের নেতারাও।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন দাদার মৃত্যু প্রসঙ্গে নিহত বিধায়কের ভাই রমেন্দ্রনাথ সাহা বলেন, “দাদা শুধু আমাদের অভিভাবক ছিলেন না। এই এলাকার বাসিন্দারাও তাকে অভিভাবক হিসেবে মানতেন।” অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়কের ছেলে ধ্রুব সাহা বলেন, “বাবা বামপন্থী মানুষ হিসেবে সব সময় অবহেলিত মানুষের জন্য চিন্তা করতেন।” জানা যায়, 1977 সালে ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে নিজের রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন মানবেন্দ্রনাথবাবু।

ধীরে ধীরে এলাকাবাসীর অত্যন্ত কাছের হয়ে ওঠেন তিনি। তাই রোগভোগের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে তার এই আত্মহত্যাতে শোকাহত এলাকাবাসীরাও।এদিন প্রাক্তন বিধায়কের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসে কংগ্রেসের টিকিটে জিতে অধুনা তৃণমূল হওয়া খড়গ্রামের বর্তমান বিধায়ক আশিস মার্জিত বলেন, “রাজনীতির বাইরে ওনার সঙ্গে ব্যক্তিগত যোগাযোগ ছিল। 2006 সালে বিধানসভা ভোটে আমি ওনার কাছে হেরে গেলেও বহু কাজ নিয়ে গিয়েছি। উনি কোনোদিন কোনো কাজ ফেলে রাখেননি।”

তিনি আরও বলেন, “বিভিন্ন সময় হাসপাতলে ভর্তি দেখার সময় আমি দেখাও করতে গিয়েছি। ওনার মৃত্যুতে আমরা একজন দক্ষ রাজনৈতিক নেতাকে হারালাম।” সব মিলিয়ে জনপ্রিয় সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়কের এহেন মৃত্যু বরনে শোকাতুর সকলেই। বিশেষ করে যেভাবে রোগ যন্ত্রণার কাছে মাথা নুইয়ে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন – তা যেন মেনে নিতে পারছেন না তার পরিবার থেকে এলাকাবাসী কেউই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!