ক্ষমতা দখল করতে কেন তৃণমূল ভাঙ্গা হচ্ছে! শাসকের প্রশ্নের জবাব দিলেন দিলীপ ঘোষ! বিজেপি মেদিনীপুর রাজনীতি রাজ্য January 8, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –বর্তমানে দলবদল বঙ্গ রাজনীতির অন্যতম বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তৃণমূলের ক্ষোভ-বিক্ষোভ প্রতিনিয়ত প্রকাশ্যে চলে আসছে। আর অনেক ক্ষেত্রেই সেই সমস্ত বিক্ষোভ দেখানো নেতারা যোগ দিচ্ছেন ভারতীয় জনতা পার্টি। গত 19 ডিসেম্বর শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে নাম লেখানোর পর থেকেই তৃণমূলের অন্দরমহলের অসন্তোষ ক্রমশ বাইরে আসতে দেখা যাচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, বিজেপির নিজেদের নেতা নেই। তাই তৃণমূল থেকে নিয়ে গিয়ে রাজ্য দখলের পরিকল্পনা করছে তারা। তবে তৃণমূল যখন বিজেপির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ নিয়ে সরব হচ্ছে, ঠিক তখনই এই বিষয়ে তৃণমূলকে পাল্টা কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যেখানে নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বুঝিয়ে দিলেন, তৃণমূল নিজেদের লোককে রাখতে পারছে না। যার ফলে তারা সকলেই ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। সূত্রের খবর, এদিন নন্দীগ্রামের সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ। আর সেখানেই তৃণমূলের এই কটাক্ষের জবাব দিতে দেখা যায় তাকে। দিলীপ ঘোষ বলেন, “দিদিমণি বলছেন বিজেপি দল ভাঙিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা কেন ভাঙতে যাব! নিজে থেকেই সকলে আসছেন।” স্বাভাবিক ভাবেই দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যে এখন নতুন করে চর্চা তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। বিশ্লেষকদের মতে, তৃণমূলের পক্ষ থেকে যখন একের পর এক নেতারা বিজেপিতে যোগদান করছেন, তখন ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে শাসক দলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আসলে বিজেপির কোনো নেতা নেই। তাই তৃণমূলের নেতাদের নিয়ে গিয়ে বাংলা দখলের স্বপ্ন দেখছে। তবে তৃণমূলের এই দাবি যে সম্পূর্ণরূপে ভিত্তিহীন, তা নিজের মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে দিন বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এদল থেকে ওদলে যাওয়া নেতাদের খুব একটা ভালো চোখে দেখেন না সাধারন মানুষরা। তাই বর্তমানে বিধানসভা নির্বাচনের আগে যখন তৃণমূল থেকে বিজেপি এবং বিজেপি থেকে তৃণমূলের যোগদানের হিড়িক পড়তে শুরু করেছে, তখন এই দলবদলুদের খুব একটা ভালো ভাবে নিচ্ছেন না বাংলার সাধারন মানুষ। শুধু তাই নয়, এই যে সমস্ত দলবদলুদের সম্পর্কেও খুব একটা ভালো ভাবমূর্তি তৈরি হচ্ছে রাজ্যে, এমনটা বলা যাবে না। আর এই পরিস্থিতিতে একদল অপর দলের বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেছে। মূলত শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদানের পর ঘাসফুল শিবিরের পক্ষ থেকে প্রত্যেক শিবিরকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে বলা হচ্ছে, তৃণমূলকে আটকাতে গেলেও এখন তৃণমূলের নেতাদের প্রয়োজন হচ্ছে বিজেপির। তবে বিজেপি যে কোনো নেতা ভাঙিয়ে আনছে না, নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে সেই কথাই বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারাই দলের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন বলে দাবি করলেন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ। স্বাভাবিক ভাবেই দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এখন তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া আসে কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -