এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > অনেকেই বিজেপিতে আসতে চাইছেন, কিন্তু পুলিশ দিয়ে আটকানো হচ্ছে: বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ

অনেকেই বিজেপিতে আসতে চাইছেন, কিন্তু পুলিশ দিয়ে আটকানো হচ্ছে: বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত 19 ডিসেম্বর মেদিনীপুরের মাটি থেকে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন শুভেন্দু অধিকারী। আর শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলে তৃনমূলের একটা বড় অংশ যে তার সঙ্গে বিজেপিতে যোগদান করবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত ছিল বিশেষজ্ঞরা। সেই মতই শুভেন্দু অধিকারীর সাথে সেই মেদিনীপুরের সভায় বিভিন্ন জেলার হেভিওয়েট তৃণমূল নেতাদের পাশাপাশি তৃণমূলের একাধিক বিধায়ক এবং সাংসদকে গেরুয়া শিবিরের পতাকা হাতে তুলে নিতে দেখা গেছে।

তবে শুভেন্দু অধিকারীর মতো প্রভাবশালী হেভিওয়েট নেতার সাথে যত সংখ্যক কর্মী সমর্থক এবং নেতাদের বিজেপিতে যাওয়ার কথা ছিল বাস্তবে তেমনটা দেখা যায়নি। যার ফলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কটাক্ষ করে বলা হয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া দলে কারো মূল্য নেই। সকলেই তৃণমূলের সাথে থাকবেন। কিন্তু তৃণমূল যখন এই দাবি করে দলের প্রতি সকলের আনুগত্য রয়েছে বলে বোঝানোর চেষ্টা করছে, ঠিক তখনই এই ব্যাপারে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যেখানে পুলিশ দিয়ে অনেক তৃণমূলের নেতাদের আটকানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করতে দেখা গেল তাকে।

সূত্রের খবর, এদিন নন্দীগ্রামের মাটি থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই ব্যাপারে সরব হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, “বাড়ির সামনে পুলিশ বসিয়ে নেতাদের বিজেপিতে যোগ দেওয়া থেকে আটকাচ্ছে তৃণমূল। রান্নাঘরে, বাথরুমে নেতাদের সঙ্গে পুলিশ যাচ্ছে। তাই শুভেন্দুদার সঙ্গে দল ছাড়তে চাইলেও অনেকে পারেননি। তৃণমূলে কোনো গণতন্ত্র নেই।” বলা বাহুল্য, তৃণমূলের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর সবথেকে গ্রহণযোগ্য এবং সাংগঠনিক মুখ হিসেবে পরিচিত ছিলেন এই শুভেন্দু অধিকারী।ফলে তিনি দল ছাড়তে পারেন বলে যখন জল্পনা তৈরি হয়েছিল, তখন আশঙ্কা ঘনীভূত হতে শুরু করেছিল শাসকদলের অন্দরমহলে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়লে তার সঙ্গে তৃণমূলের অনেকেই যে বিজেপিতে পা বাড়াবেন, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত ছিল একাংশ। কিন্তু বাস্তবে তেমনটা না হওয়ায় তৈরি হয়েছিল সংশয়। আর এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে পুলিশ দিয়ে আটকানো হয়েছে বলে বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা গেল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। আর দিলীপবাবুর এই মন্তব্য যে ঘাসফুল শিবিরকে অত্যন্ত চাপে রাখবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা।

অনেকেই বলছেন, ভারতবর্ষে বহুদলীয় গণতন্ত্র রয়েছে। এক্ষেত্রে যে যার স্বাধীন মত নিজ নিজ রাজনৈতিক দল করতেই পারে। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী দলবদলের পর তার প্রভাব প্রতিপত্তি সম্পর্কে অবগত থাকা অনেকেই তৃণমূলে ভাঙ্গনের ব্যাপক আশঙ্কা করেছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেরকম বড় মাত্রায় ভাঙ্গন ঘটেনি তৃণমূল কংগ্রেসের। হাওড়া জেলার তৃণমূল নেতারা একের পর এক বিদ্রোহ ঘোষণা করলেও, এখনও পর্যন্ত সেভাবে দলত্যাগ করতে দেখা যায়নি তাদের।

আর এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে অনেকে দলবদল করতে চাইলেও, পুলিশ দিয়ে ভয় দেখানোর কারণে তারা বিজেপিতে যোগ দিতে পারেননি বলে অভিযোগ করলেন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ। কিন্তু কেন এভাবে পুলিশ দিয়ে কারও রাজনৈতিক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হবে! যদি দিলীপ ঘোষের এই অভিযোগ সত্যি হয়, তাহলে তা গণতন্ত্রের পক্ষে অত্যন্ত অশুভ লক্ষণ বলেই দাবি করছেন সমালোচক মহলের একাংশের। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!