ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে করোনার করালগ্রাস থেকে কতটা রক্ষা করতে পেরেছে কেন্দ্র? সামনে এলো রিপোর্ট জাতীয় বিশেষ খবর July 28, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা সংক্রমন এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এদেশের অর্থনীতি, শিল্প, জনজীবনের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। অর্থনীতির মেরুদন্ড দুর্বল করে দিয়েছে। কেড়ে নিয়েছে বহু মানুষের জীবিকা। করোনা সংক্রমণকালে যাতে দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প গুলি টিকে থাকতে পারে, সে কারণে গত বছর বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এবার এ বিষয়ে একটি রিপোর্ট সামনে এনেছে শিল্প সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। তাদের এই রিপোর্টে বেশ কিছু বিষয় উঠে এসেছে। গতবছর কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্রকল্প। এই প্রকল্পের আওতায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য বেশকিছু ঘোষণা করা হয়েছিল। যেখানে জানানো হয়েছিল, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে সরকারি গ্যারান্টিযুক্ত ঋণ দিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দেয়া হবে। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির বকেয়ার ক্ষেত্রেও সাহায্যের বার্তা দেয়া হয়েছিল। তবে, শিল্প সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে যে, ত্রাণের যে ব্যবস্থা করা হয়েছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় কিছুই নয়। এছাড়া রিপোর্টে জানানো হয়েছে, দ্রুত চাহিদা বৃদ্ধি করতে নগদ অর্থের জরুরী যোগান দেওয়া দরকার ছিল। কিন্তু সরকার ঋণ নির্ভর দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করেছিল। এ কারণে বিপর্যস্ত ছোট মাঝারি সংস্থাগুলি সেভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এই রিপোর্টে জানানো হয়েছে, করোনা সংক্রমনের কারণে বহু মানুষের জীবিকা চলে গেছে। অসংখ্য পরিবার সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। করোনার প্রথম ঢেউয়ের পর দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে ছোট ও মাঝারি সংস্থাগুলোর বিপদ আরো বেড়ে যায়। তবে এমএসএমই মন্ত্রকের কাছ থেকে কমিটি জানতে পেরেছে যে, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ক্ষতি নির্ধারণ করতে সেভাবে কোনো সমীক্ষা করা হয়নি। তাই রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ছোট ও মাঝারি সংস্থাগুলিকে ঘুরে দাঁড়ানোর উপায় করে দিতে সমস্যা সমাধানে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। বৃহৎ সংস্থাগুলির পাশাপাশি ক্ষুদ্র সংস্থাগুলিও যাতে সমস্ত রকম সরকারি সুবিধা পেতে পারে। তার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে কেন্দ্রকে। এরসঙ্গে সাধারণ মানুষকে বিপদ থেকে রক্ষা করতে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবন ঘটাতে দ্রুত বড় আর্থিক প্যাকেজের ঘোষণার কথা জানানো হয়েছে। ইতিপূর্বে একাধিক বিরোধী শিবির থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, কেন্দ্রীয় সরকার রাজকোষ থেকে অর্থ না দিয়ে ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করে দিয়ে নিজের দায় সেরেছে। এবার একই অভিযোগ উঠে এলো এই রিপোর্টে। রিপোর্টে জানানো হয়েছে ৫০ % এমএসএমই গ্যারান্টিযুক্ত ঋণ পেয়েছে। ব্যাঙ্কগুলি সবসময় ঋণ দিতে রাজি হয়নি। এইসব সমস্যা দ্রুত সমাধানের আর্জি জানানো হয়েছে রিপোর্টে। আপনার মতামত জানান -