সরকারি কর্মচারী পরিষদের লাগাতার চাপের ফলে আজ সুখবর পেতে চলেছেন এই পেনশনভোগীরা কলকাতা বিশেষ খবর রাজ্য January 11, 2019 রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বোচ্চ নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গর্বের সঙ্গে জানান যে – তাঁর সরকার এতটাই কর্মচারী দরদী যে তিনি এসেই মাস পয়লায় সকলের বেতন ও পেনশনের ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু, ব্যক্তিগত জীবনে বেশ কিছু ঝামেলার জন্য শোভন চট্টোপাধ্যায় রাজ্যের মন্ত্রীত্ত্বের পাশাপাশি কলকাতা পুরসভার মেয়রপদে থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হলে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়ে কলকাতা মেয়র পদের দায়িত্ত্ব নেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। আর তিনি নতুন দায়িত্ত্ব নিয়ে এতটাই ব্যস্ত হয়ে পড়েন যে বোধহয় ভুলেই যান তাঁর দায়িত্ত্বে থাকা নগরোন্নয়ন দপ্তরের অন্তর্গত কেএমডিএ, কেএমডব্লিউএসএ ও কেআইটি-র কর্মীরা নতুন বছরের ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও পেনশনই পাননি! যা ওই দপ্তরের প্রায় ৮ হাজার পেনশনভোগীর কাছে এক কথায় নজিরবিহীন। সবথেকে বড় কথা, এই নিয়ে পেনশনভোগীদের তরফে দপ্তরের চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসারের সঙ্গে দফায় দফায় যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান – শীঘ্রই সমস্যা মিটে যাবে, পেনশন পেয়ে যাবেন। কিন্তু, এতদিন কোনো নির্দিষ্ট দিনের কথা জানাতেই পারেননি – কবে হবে সেই পেনশন। আর এই নজিরবিহীন ঘটনা নিয়ে প্রথম থেকেই রীতিমত ক্ষুব্ধ ও সরব সরকারি কর্মচারী পরিষদ। সংগঠনের রাজ্য আহ্বায়ক দেবাশীষ শীল এই নিয়ে সংবাদমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করে এর সমাধান – কোনো পথই ছাড়েননি তিনি। সংবাদমাধ্যমের সামনে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি জানিয়েছিলেন, আসলে এই সরকার খেলা-মেলা-কার্নিভ্যাল নিয়ে এত ব্যস্ত যে পেনশনের মত অতি গুরুত্ত্বপূর্ন বিষয় অক্লেশে ভুলে যেতে পারে! এই সরকার – সরকারি কর্মচারী, শিক্ষক ও পেনশনভোগীদের জন্য ‘বঞ্চনা’ ছাড়া আর কিছুই যে করে না এই ঘটনায় আবারো প্রমাণিত হয়ে গেল! আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এরপর গতকাল দেবাশীষবাবুর নেতৃত্ত্বে সরকারী কর্মচারী পরিষদ এবং উন্নয়ন সংস্থার যুক্ত সংগ্রাম কমিটির যৌথ উদ্যোগে একটি প্রতিনিধিদল উন্নয়ন ভবনে প্রথমে কেএমডিএর স্পেশাল সেক্রেটারি ও পরে সর্বোচ্চ কর্তাব্যাক্তি তথা সিইও সঞ্জয় বনসালের সঙ্গে দেখা করেন। কেএমডিএর প্রায় ৪ হাজার অবসরপ্রাপ্ত কর্মীসহ রাজ্য সরকারের অধীনস্থ অন্যান্য কয়েকটি উন্নয়নমূলক সংস্থার আরও প্রায় ৪ হাজার অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের গত ডিসেম্বর মাসের পেনসন গতকাল পর্যন্ত না পাওয়ায় প্রতিনিধিদল তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং কালবিলম্ব না করে পেনসন মিটিয়ে দেবার দাবী করেন। আর দেবাশীষবাবুর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের এই পদক্ষেপের পরেই সিইও সঞ্জয় বনসাল সুষ্পষ্ট আশ্বাস দেন যে আজকের মধ্যে পেনশন মিটিয়ে দেওয়া হবে। অন্যদিকে, সংস্থার চেয়ারম্যান তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, গতকালই অর্থ দপ্তর এই সংক্রান্ত ফাইলে অনুমোদন দিয়েছে – সুতরাং, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আজই নিজেদের প্রাপ্য পেনশন পেয়ে যাবেন। গতকালের প্রতিনিধি দলে দেবাশীষ শীল সহ প্রাণবন্ধু নাগ, ডঃ অণিমেষ হালদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। দেবাশীষবাবু পরে জানান, আমরা সংস্থাকে জানিয়ে এসেছি আজকের মধ্যে হকের পেনশনের সুরাহা না হলে আমরা সংস্থার সামনে প্রতিবাদ ও ধর্ণা কর্মসূচি নিতে বাধ্য হব। আপনার মতামত জানান -