“কন্ঠে আমার কেসের মালা” এফআইআর দায়ের হতেই ফের বিস্ফোরক মদন! কলকাতা তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য May 21, 2023 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট– সম্প্রতি এক রোগীকে ভর্তি না করানোর জন্য এসএসকেএমে গিয়ে কার্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে রীতিমতো সোচ্চার হন তিনি। আর তারপর থেকেই মদন মিত্রের একের পর এক মন্তব্য নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে ঝড় পড়ে যায়। ইতিমধ্যেই এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের তরফে সেই মদন মিত্রের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। আর সেই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে আরও একবার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক। স্পষ্ট ভাষায় তিনি জানালেন, কেস খাওয়া তার লগ্নে রয়েছে। কিন্তু যখন তার দল ক্ষমতায় এবং তিনি সেই দলের বিধায়ক, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুর্দিনের সঙ্গী মদন মিত্রের এই বক্তব্য কি অভিমান সূচক এবং ইঙ্গিত পূর্ণ! তা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই এসএসকেএমে মদন মিত্রের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আর তারপরেই এই তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এদিন সেই ব্যাপারে মদন মিত্রকে একটি প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে এই তৃণমূল বিধায়ক বলেন, “আসলে কেস খাওয়া আমার লগ্নে রয়েছে। ছাত্র পরিষদ করার সময় প্রথম কেস খেয়েছিলাম, তারপর বামফ্রন্টের আমলে কেস খেয়েছি। এখন তৃণমূলের আমলে কেস খেলাম। কন্ঠে আমার কেসের মালা, ফুলের মালা নয়।”আর শাসকদলের বিধায়কের মুখ থেকে এই ধরনের মন্তব্য রীতিমতো ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করছেন একাংশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসএসকেএমের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পর থেকেই মদন মিত্র একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করতে শুরু করেছিলেন। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দিকে তো প্রশ্ন তুলেছিলেন বটেই, পাশাপাশি দলটা যে শুধু মাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নয়, সেই ব্যাপারেও মন্তব্য করে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের ঘুম উড়িয়ে দিয়েছিলেন এই দুর্দিনের তৃণমূল নেতা। তবে শনিবার দিনভর মদন মিত্রকে নিয়ে তোলপাড় হওয়ার পর সন্ধ্যায় সেই মদন মিত্রের সঙ্গে কুনাল ঘোষের সাক্ষাতের পর গোটা বিষয়টি মিটে যাবে বলেই ধরে নেওয়া হয়েছিল। তবে এরপর এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সেই মদন মিত্রের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। আর এবার সেই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে “কেস খাওয়া লগ্নে রয়েছে” বলে মদন মিত্রের মন্তব্য রীতিমতো তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। তবে মদনবাবুর এই মন্তব্যের প্রভাব রাজ্য রাজনীতিতে কিভাবে পড়ে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -