এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > কর্মীরা মার খাচ্ছেন, বিধায়কদের জন্য কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা! বিজেপির অন্দরে তীব্র অস্বস্তি

কর্মীরা মার খাচ্ছেন, বিধায়কদের জন্য কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা! বিজেপির অন্দরে তীব্র অস্বস্তি


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যজুড়ে রাজনৈতিক অশান্তির সৃষ্টি হয়েছে। বারবার আক্রান্ত হচ্ছেন বিজেপির কর্মী, সমর্থকরা, এমন অভিযোগ বারবার উঠেছে। বিজেপির অভিযোগ, তাদের কর্মী, সমর্থকদের বাড়িঘর, দোকানপাট ভাঙচুর, মারধর, এমনকি হত্যা পর্যন্ত করা হচ্ছে। বহু বিজেপি কর্মী সন্ত্রাসের কারণে ঘরছাড়া। নিজেদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারছেন না বেশকিছু বিজেপি কর্মী। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির বিধায়কদের কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। দলের এই সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিজেপির বেশকিছু সাধারণ কর্মী।

অভিযোগ উঠেছে, বিজেপি নেতা কর্মীরা বারবার মারধর, হেনস্তার সম্মুখীন হচ্ছেন। প্রাণ বাঁচাতে বহু কর্মী ঘরছাড়া হয়ে রয়েছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এর পক্ষ থেকে প্রতিনিধিদল রাজ্যে পাঠানো হলেও, রাজ্যজুড়ে সন্ত্রাস কতদূর বন্ধ হয়েছে? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে দলের সাধারণ নেতাকর্মীদের সুরক্ষার কথা না ভেবে বিধায়কদের সুরক্ষার আঁটোসাঁটো ব্যবস্থা মেনে নিতে পারছেন না দলের বহু সাধারণ কর্মী। দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে তীব্রভাবে। তাঁরা মার খাবেন, প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে থাকবেন। কিন্তু তাদের নেতারা সুরক্ষিত থাকবেন এসি ঘরে বসে নির্বাচনে জয়লাভ করবেন। এটা তারা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না। ক্ষোভ ক্রমশ বাড়ছে। নিচুতলার সংগঠন ক্রমশ ভাঙ্গনের পরিস্থিতির দিকে চলে যাচ্ছে।

দলের শীর্ষ নেতৃত্ব দলের ৭৭ জন বিধায়ককে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যার জন্য তাঁদের আবেদন করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অধিকাংশ বিধায়ক কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। কিন্তু দলের সাধারণ কর্মীদের নিরাপত্তার তেমন কোনো ব্যবস্থাই করতে পারেনি দল, এমন অভিযোগ বারবার এসেছে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা রাজ্যে এসে বেশকিছু আক্রান্ত কর্মীদের সঙ্গে দেখা করে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ধর্ণা দিলেও অবস্থার খুব একটা বদল ঘটাতে সক্ষম হননি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বেশ কিছু স্থানে বিজেপি কর্মীরা অভিযোগ করেছেন যে, বিপদের দিনে পাশে পাওয়া যাচ্ছে না দলের নেতাদের। অনেক সময়ই ফোন অফ করে রাখা,ফোন না ধরা এমন অভিযোগ বিজেপির বহু প্রার্থী ও জেলাস্তরের নেতাদের বিরুদ্ধে বারবার এসেছে। ফলে ক্ষুব্ধ দলের নিচু মহল। অসহায় কর্মীদের ক্ষোভ বাড়ছে। বারবার উঠছে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি। এই পরিস্থিতিতে নেতাকর্মীদের কথা না ভেবে শুধুমাত্র বিধায়কদের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার সিদ্ধান্তে দলের অন্দরে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। যা থেকে অস্বস্তি বাড়ছে দলের। আবার, অনেকে এটাও বলছেন যে, বিধায়কদের যদি কেন্দ্রীয় বাহিনীর সুরক্ষা দেয়া হয়। তবে, সাধারণ মানুষের সঙ্গে তাঁদের বিচ্ছিন্নতা তৈরি হবার সম্ভাবনা রয়েছে। যার ফলে পায়ের তলার মাটি ধীরে ধীরে সরে যেতে পারে গেরুয়া শিবিরের। বিরোধীদল গণ আন্দোলনে শামিল না হলে রাজ্যবাসীর মনে যে দাগ কাটা যাবে না, সে কথাও অস্বীকার করা যায় না।

এক্ষেত্রে বারবার তুলনা করা হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিজেপি নেতাদের। মনে রাখতে হবে, দীর্ঘ সময় ধরে বিরোধী দলনেত্রীর ভূমিকায় ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেসময় বারবার তিনি লড়াইয়ের সম্মুখীন হয়েছেন, হেনস্থার সম্মুখীন হয়েছেন। কিন্তু দলের কর্মীরা আক্রান্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে তিনি সেখানে ছুটে গেছেন। তৃণমূল কর্মী আক্রান্ত হলে আন্দোলন করে, প্রতিবাদ জানিয়ে তুলকালাম বাধিয়ে দিয়েছেন তিনি। এ জন্যই তাঁকে বলা হয় স্ট্রিট ফাইটার।

বিজেপি কর্মীরাও তাদের নেতাদের কাছে এমন চান। এই অবস্থায় তাদের সুরক্ষার কথা না ভেবে, শুধুমাত্র বিধায়কদের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর সুরক্ষা দলের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। দলের সংগঠন যদি মজবুত না হয়, সাধারণ কর্মীরা যদি দলের পাশ থেকে সরে যেতে থাকেন, তবে তা অশনি সংকেত হয়ে দেখা দিতে পারে, এমনটাই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অভিমত।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!